Interpol

মুণ্ডহীন দেহ থেকে করোটি-কঙ্কাল, ৫০-এর বেশি বিদেশিনি হত্যাকাণ্ডে খেলা ঘোরায় ‘কালো’ নোটিস! কী ভাবে?

রেড কর্নারের মতো অচেনা মৃতদেহ শনাক্ত করতে ব্ল্যাক নোটিস জারি করে থাকে ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজ়েশন’ বা ইন্টারপোল। এই নোটিসগুলির উপর ভিত্তি করে ‘অপারেশন আইডেন্টিফাই মি’ চালিয়েছিল এই আন্তর্জাতিক পুলিশ সংগঠন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২৫ ১০:৫৬
Share:
০১ ২০

‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজ়েশন’ বা ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিসের কথা আমরা অনেকেই জানি। এটি আসলে একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা। এক দেশে খুব বড় ধরনের কোনও অপরাধ করে যখন অভিযুক্ত অন্য দেশে পালিয়ে যায়, তখন সংশ্লিষ্ট দেশটি ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হলে সেই অপরাধীর সন্ধান চেয়ে জারি হয় রেড কর্নার নোটিস। আন্তর্জাতিক পুলিশ সংগঠনটির মোট সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা ১৯৬। প্রতিষ্ঠানটি যে কোনও নোটিস জারি করলে, সদস্য দেশগুলি তা মানতে বাধ্য।

০২ ২০

তবে ইন্টারপোল শুধুমাত্র রেড কর্নার নোটিস জারি করে এমন নয়। কালো, লাল, নীল, সবুজ, হলুদ, কমলা ও বেগনির মতো একগুচ্ছ নোটিস জারি করার এক্তিয়ার রয়েছে এই আন্তর্জাতিক পুলিশ সংগঠনের। নোটিসের এ রকম কিম্ভূত নাম হওয়ায় সুনির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। আসলে ইন্টারপোলের এই নোটিসগুলির বাঁ দিকে উল্লম্ব ভাবে একটি লাল রঙের দাগ টানা থাকে। সেখান থেকেই এর ‘রেড কর্নার’ নামকরণ করা হয়েছে। বাকি নোটিসগুলির ক্ষেত্রেও নিয়ম একই। তাদের প্রতিটির কার্যকারিতা অবশ্য আলাদা।

Advertisement
০৩ ২০

মূলত অচেনা মৃতদেহকে শনাক্ত করতে ‘ব্ল্যাক কর্নার’ নোটিস দিয়ে থাকে ইন্টারপোল। এক বার সেটি জারি হলে সদস্য দেশগুলির পুলিশবাহিনীর কাছে পাঠানো হয় তার প্রতিলিপি। উদ্দেশ্য, নিহত ব্যক্তি বিদেশি নাগরিক হলে এই পদ্ধতিতে ইন্টারপোলের নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে দেহ শনাক্ত করবেন তদন্তকারী।

০৪ ২০

২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংগঠনের সেক্রেটারি-জেনারেলের পদ পান জার্মান অফিসার উরগেন স্টক। অবসরের মুখে এসে তিনি লক্ষ করেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের অনুরোধে জারি করা বহু ব্ল্যাক কর্নার নোটিস নিষ্ক্রিয় ভাবে পড়ে রয়েছে। অথচ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে পচাগলা মৃতদেহ থেকে ডিএনএ, দাঁতের গঠন, আঙুলের ছাপ, মুখের ছবি ইত্যাদি সংরক্ষণ করে রেখেছেন তদন্তকারীরা।

০৫ ২০

বিষয়টি নজরে আসতেই এ ব্যাপারে উদ্যোগী হন স্টক। নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম এবং জার্মানির মোট ২২টি অজ্ঞাতপরিচয় মৃতদেহের নাম-ধামের খোঁজ করার নির্দেশ দেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য ওয়েবসাইটে তুলে দেয় ইন্টারপোল। এই কর্মযজ্ঞের পোশাকি নাম রাখা হয় ‘অপারেশন আইডেন্টিফাই মি’, যা শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ১০ মে।

০৬ ২০

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র মহিলাদের মৃতদেহ বেছে নেয় ইন্টারপোল। এঁরা প্রত্যেকেই খুন হন নৃশংস ভাবে। হত্যার পর প্রমাণ লোপাট করতে কারও দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে আততায়ী। কারও আবার দেহ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টাও হয়। নিহত ২২ জনের মধ্যে কয়েক জন প্রাণ হারিয়েছেন ৩০ থেকে ৪০ বছর আগে। তবে এঁদের প্রত্যেকের বায়োমেট্রিক তথ্য এবং ব্যবহৃত জিনিসপত্র ছিল পুলিশের হেফাজতে। এটুকুর উপর ভরসা করে কাজে নামে ওই আন্তর্জাতিক পুলিশ সংগঠন।

০৭ ২০

‘অপারেশন আইডেন্টিফাই মি’র মাধ্যমে নিহতদের পরিচয় বার করতে প্রথমেই তাঁদের ছবি, শারীরিক গঠন এবং ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া বিভিন্ন সামগ্রীর ছবি ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে আপলোড করেন স্টক। আশা, ওই সব তথ্য এবং ছবি দেখে নিহতদের শনাক্ত করবেন তাঁদের কোনও প্রিয়জন। দ্বিতীয় ধাপে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ইন্টারপোল বা তদন্তকারী দেশের জাতীয় পুলিশবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলা হয়। ওয়েবসাইটে গোটা বিষয়টি আবেদনের সুরে লেখেন আন্তর্জাতিক পুলিশ সংগঠনের কর্তাব্যক্তিরা।

০৮ ২০

কিন্তু, নিহতদের পরিচয় জানা না থাকায় প্রতিটা ঘটনার একটি করে নামকরণ করেছে ইন্টারপোল। উদাহরণ হিসাবে ‘দ্য গার্ল অন দ্য পার্কিং লট’-এর কথা বলা যেতে পারে। ১৯৭৬ সালের ২৪ অক্টোবর উট্রেখট ও আর্নহেম-এর মধ্যবর্তী এলাকায় এ১২ মোটরওয়ের পাশে মাটি এবং গাছপালার আড়াল থেকে এক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করে নেদারল্যান্ডস পুলিশ। ফরেন্সিক পরীক্ষায় জানা যায়, মেয়েটির বয়স ১৩ থেকে ২০। তাঁর চুলের রং ছিল লালচে বাদামি। উচ্চতা চার ফুট নয় থেকে পাঁচ ফুট চার ইঞ্চির মধ্যে। নিহত তরুণীর শরীরে কোনও পোশাক ছিল না। তদন্তকারীদের ধারণা, মেয়েটি জার্মান।

০৯ ২০

‘টেটেরিনজেন গার্ল’কে নেদারল্যান্ডস পুলিশ খুঁজে পায় ১৯৯০-এর ২৫ ডিসেম্বর, ব্রেডার কাছাকাছি এক জঙ্গলের মধ্যে। মৃতার বয়স ১৫ থেকে ২৫-এর মধ্যে, চুলের রং গাঢ় বাদামি বা প্রায় কালো, উচ্চতা পাঁচ ফুট, জলপাই রঙের ত্বক। মেয়েটির পরনে ছিল লাল রঙের টার্টলনেক সোয়েটার এবং বার্গান্ডি রঙের কর্ডের প্যান্ট। অন্তর্বাস কিংবা জুতো পাওয়া যায়নি। মেয়েটি যে ব্র্যান্ডের সোয়েটার পরেছিল তা সেই সময় নেদারল্যান্ডসে পাওয়া যেত না। পুলিশের ধারণা, এই মেয়েটি পাচারচক্রের শিকার। ফরেন্সিক তদন্তে মেয়েটির উপর নিয়মিত শারীরিক নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল।

১০ ২০

রাজধানী আমস্টারডামের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ১৯৯২-র ৭ সেপ্টেম্বর এক পথচারী আকস্মিক ভাবেই একজোড়া কাটা হাত পথের ধারে পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি পুলিশে খবর দিলে পাশের খালে তল্লাশি করে একজোড়া কাটা পা উদ্ধার করা হয়। এর পর পুলিশ কুকুরের সাহায্য নিয়ে একটি নীল রঙের স্যুটকেসের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয় এক মহিলার দেহ। দেহে কোনও পোশাক ছিল না। ময়নাতদন্তে দেখা যায়, সম্প্রতি মহিলার হিস্টেরেক্টমি অপারেশন হয়েছিল। মৃতের আনুমানিক বয়স ২৫-৪৫, উচ্চতা পাঁচ ফুট চার থেকে পাঁচ ফুট দশের মধ্যে। ‘দ্য উওম্যান ইন দ্য ক্যানাল’-এর মাথার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

১১ ২০

খণ্ডিত আর এক মহিলার পরিচয় ‘উওম্যান অ্যাট দ্য বর্ডার’। নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়াম সীমান্তের হেট জুইন উপকূলবর্তী এলাকায় মেলে তাঁর দেহ। ১৯৯৪-এর ৬ জুলাই সেখানকার সাবেক সংগ্রহশালার সামনে ঘাসের উপর মেয়েটির দেহাংশ পড়ে থাকতে দেখে এক পর্যটক খবর দেন ডাচ পুলিশে। সঙ্গে সঙ্গে এলাকা ঘিরে শুরু হয় তল্লাশি। পরের দিন পার্শ্ববর্তী খাল থেকে উদ্ধার হয় আরও দেহাংশ।

১২ ২০

১৯৯৫-এর ১৩ জানুয়ারি আমস্টেলভিনের খালে উদ্ধার হওয়া মৃত তরুণীর নাম ‘দ্য উওম্যান উইথ দ্য ব্রেসলেট’ রেখেছে ইন্টারপোল। ওই দিন খালের জলে প্লাস্টিকের প্যাকেট ভাসতে দেখে ডাচ পুলিশে খবর দেন এক পথচারী। জল থেকে তোলার পর তার ভিতরে মেলে চাদরে মোড়া তরুণীর মৃতদেহ। নিহতের মাথা, পায়ের নীচের অংশ এবং একটি বাহু উধাও ছিল। মেয়েটির শরীরে কোনও পোশাক ছিল না। তবে তাঁর থেকে একটি ব্রেসলেট পান তদন্তকারীরা।

১৩ ২০

আমস্টারডামের জেকব ভ্যান লেনেপকেডের একটি হাউসবোটে ১৯৯৮-এর জানুয়ারিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিভলে ভস্মীভূত হাউসবোটের ভিতর থেকে এক তরুণীর দেহ উদ্ধার করে নেদারল্যান্ডসের পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, মেয়েটি নাম ভাঁড়িয়ে সেখানে থাকছিলেন। তাঁর পরিচয় জানতে এই কেসটির নামকরণ হয়, ‘দ্য উওম্যান অন দ্য বোট’। তদন্তকারীদের দাবি, মেয়েটি সোনালি রঙের কানের দুল এবং সরু দু’টি সোনালি রঙের হার পরেছিলেন। তার মধ্যে একটিতে আবার ঝুলছিল হৃদয়ের আকারের পেনডেন্ট।

১৪ ২০

পরিচয়হীনাদের তালিকায় নাম রয়েছে ‘দ্য উওম্যান ইন দ্য গাস্প রিভার’-এর। তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয় ১৯৯৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর। ওই দিন আমস্টারডামের কাছে ড্রাইমন্ডের গাস্প নদীতে একটি কন্টেনার ভাসতে দেখে ডাচ পুলিশের মনে সন্দেহ দানা বাঁধে। ডাঙায় তুলে সেটি খুলতেই ভিতর থেকে আন্দাজ ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সি তরুণীর দেহ পান তাঁরা। মেয়েটির দেহে গুলির ক্ষত ছিল। নিহতের পিঠে একটি ব্যাগ পায় ডাচ পুলিশ। তাতে আবার সাপের খোলসের ছাপ ছিল। এ ছাড়া তরুণীর হাতে ছিল চৌকো আকারের ব্র্যান্ডেড ঘড়ি।

১৫ ২০

প্রিয়জনদের অপেক্ষায় দিন গুনছেন কুয়ো থেকে উদ্ধার হওয়া তরুণীর দেহও। ১৯৯১ সালের ৬ অগস্ট হলসবিক প্রদেশের অ্যাটেনহোভেনড্রেফে তাঁর দেহ উদ্ধার করে বেলজিয়াম পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, অন্তত দু’বছর কুয়োয় পড়েছিল তাঁর দেহ। মেয়েটির আনুমানিক বয়স ৩০ থেকে ৫০ বছর, উচ্চতা পাঁচ ফুট। কার্ডিয়ান এবং কালো রঙের টি-শার্ট পরেছিলেন তিনি। আঙুলে ছিল প্লাস্টিক বা শিঙের আংটি। ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে এই কেসটির নাম ‘দ্য উওমেন ইন দ্য ওয়েল’।

১৬ ২০

২০২১ সালের ২৩ জুন সেন্ট ডেনিসের আবর্জনার স্তূপ থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার করে ফরাসি পুলিশ। ব্যাগটির মধ্যে ছিল একটি করোটি, কয়েকটি হাড় এবং একটা কাটা পা। ওই হাড় পরীক্ষা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, খুন হওয়া মেয়েটির বয়স ছিল আনুমানিক ২০ বছর। পাঁচ ফুট তিন থেকে পাঁচ ফুট ছয়ের মধ্যে উচ্চতা ছিল তাঁর। ত্বক এবং চুলের রং ছিল কালো, আর চোখের মণি ছিল গাঢ় বাদামি। ইন্টারপোলের কাছে এই হতভাগ্যের পরিচয় এখনও ‘দ্য ইয়ং উওম্যান ফাউন্ড ইন সেন্ট-ডেনিস’।

১৭ ২০

পরিচয় ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছে ‘দ্য উওম্যান উইথ দ্য রিচমন্ড ডেন্টাল ক্রাউন’। ২০০৫ সালের ৭ জানুয়ারি, তার ক্ষতবিক্ষত দেহ ফ্রান্সের সাঁ-ক্যুরি গ্রামের ৪৪ নম্বর সেকেন্ডারি রোডের পাশ থেকে উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। আততায়ী নিহত তরুণীর দেহ বৃষ্টির জলের একটি পাইপের ব্যাগের মধ্যে তার দিয়ে বেঁধে ফেলে রেখে গিয়েছিল। মেয়েটির চামড়ার রং ছিল সাদা। গাঢ় চেস্টনাট রঙের ঢেউখেলানো এবং ছোট চুল ছিল তাঁর। গোলাপি টপ আর লাল রঙের ব্রা পরেছিলেন তিনি।

১৮ ২০

এই অপারেশনে মাত্র একটি ঘটনায় সাফল্য পায় ইন্টারপোল। ১৯৯২ সালের ৩ জুন বেলজিয়ামের টেন ইখোভেলিতে নদীর জলে ভেসে আসে এক তরুণীর দেহ। নৃশংস ভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছিল। তাঁর শরীরে একটি ফুলের ট্যাটু পান তদন্তকারীরা। সেখানে ‘আর’ আদ্যক্ষরটি লেখা ছিল। ২০২৩ সালে ‘অপারেশন আইডেন্টিফাই মি’র মাধ্যমে তাঁকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। নিহত তরুণী বছর ৩১-এর রিটা রবার্টস বলে জানা গিয়েছে। তিনি ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক।

১৯ ২০

‘অপারেশন আইডেন্টিফাই মি’তে সাফল্য মাত্র একটি হলেও ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দিয়েছে ইন্টারপোলের সমস্ত সদস্য রাষ্ট্র। ফলে গত বছরের অক্টোবরে এর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করেছে এই আন্তর্জাতিক পুলিশ সংগঠন। এ বার ছ’টি দেশের ৪৬ জন মহিলার মৃতদেহ চিহ্নিতকরণের বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে এই আন্তর্জাতিক পুলিশ সংগঠন। তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই ছ’টি ইউরোপীয় রাষ্ট্র হল বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, নেদারল্যান্ডস এবং‌ স্পেন।

২০ ২০

দ্বিতীয় পর্যায়ের মিশনের গোড়াতেই অবশ্য সাফল্য পেয়েছে ইন্টারপোল। চলতি বছরে নিহতদের মধ্যে এক জনের পরিচয় জানা গিয়েছে। তাঁর নাম আইনোহা ইজাগা ইবিতা লিমাআইনোহা ইজাগা ইবিয়েতা লিমা। ল্যাটিন আমেরিকার প্যারাগুয়েবাসী বছর ৩৩-এর এই মেয়েটির ইন্টারপোলের খাতায় পরিচয় ছিল ‘দ্য উওম্যান ইন দ্য শেড’ হিসাবে। স্পেনের একটি খামারবাড়ি থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement