ওটিটির পর্দার জন্য বানানো হয়েছে বটে। কিন্তু খরচের দিক দিয়ে সারা বিশ্বের ‘সবচেয়ে দামি ছবি’কেও টেক্কা দিয়ে ফেলেছে একটি ওয়েব সিরিজ়। জানা গিয়েছে, সেই সিরিজ়ের এক একটি পর্ব তৈরি করতে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।
জনপ্রিয় উপন্যাসের কাহিনির উপর ভিত্তি করে ২০০০ সালের পর তিনটি হলিউডি ছবি মুক্তি পায়। এই ‘মুভি ট্রিলজি’ মুক্তির পর চুটিয়ে ব্যবসা করে।
পরবর্তী কালে বড় পর্দা থেকে সেই কাহিনি ফুটে ওঠে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। ওটিটির পর্দায় মুক্তি পাওয়ার পর তা ‘সবচেয়ে দামি’ ওয়েব সিরিজ় হিসাবে নাম লিখিয়ে ফেলে।
২০০৩ সালে বড় পর্দায় শেষ বারের মতো মুক্তি পায় ‘দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস’ ছবির ‘ট্রিলজি’র শেষ ভাগ। তার পর ১৯ বছরের বিরতি। দর্শকের প্রিয় এই কাহিনি আবার যে নতুন রূপে প্রকাশ্যে আসবে সেই ধারণা ছিল না কারও।
২০২২ সালে ওটিটির পর্দায় মুক্তি পায় ‘দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস: দ্য রিংস অফ পাওয়ার’। তবে তা আট পর্বের ওয়েব সিরিজ়ের আকারে।
প্রথম সিজ়ন মুক্তি পাওয়ার দু’বছর পর ২০২৪ সালে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পায় ‘দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস: দ্য রিংস অফ পাওয়ার’-এর দ্বিতীয় সিজ়ন। সেটিও আটটি পর্ব নিয়ে গঠিত হয়।
জানা গিয়েছে, খরচের দিক থেকে নাকি সারা বিশ্বের ‘সবচেয়ে দামি’ ছবির চেয়েও ‘দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস: দ্য রিংস অফ পাওয়ার’-এর প্রথম সিজ়নটি এগিয়ে। সব মিলিয়ে এই সিজ়ন তৈরি করতে ভারতীয় মুদ্রায় খরচ হয়েছে ৮৩০০ কোটি টাকা।
রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ‘দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস: দ্য রিংস অফ পাওয়ার’-এর প্রথম সিজ়নের যাবতীয় স্বত্ব এবং প্রচারমূলক খরচও ছাপিয়ে গিয়েছে সব দিক থেকে।
জানা গিয়েছে যে, ‘দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস: দ্য রিংস অফ পাওয়ার’-এর প্রথম সিজ়নটি প্রযোজনা করতে ৩৮০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
‘দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস: দ্য রিংস অফ পাওয়ার’-এর প্রথম সিজ়নের এক একটি পর্ব নির্মাণের জন্য ভারতীয় মুদ্রায় মোট খরচ হয়েছে ৪৮০ কোটি টাকা।
ছবির সঙ্গে তুলনা করলে জানা যায়, ‘দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস’-এর তিনটি ছবি প্রযোজনা করতে মোট যা খরচ হয়েছে তা সিরিজ়়ের তুলনায় অনেক কম। তিনটি ছবি মিলিয়ে ভারতীয় মুদ্রায় ২২২৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
হলিপাড়া সূত্রে খবর, সারা বিশ্বের সবচেয়ে দামি ছবি ‘ স্টার ওয়ার্স: দ্য ফোর্স আওয়েকেন্স’। ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবি প্রযোজনার সময় ভারতীয় মুদ্রায় খরচ হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা।
ভারতের সবচেয়ে দামি ছবির তালিকায় নাম লিখিয়েছে ‘কল্কি ২৮৯৮এডি’, ‘আরআরআর’ এবং ‘আদিপুরুষ’। এই তিনটি ছবির মিলিত খরচের পরিমাণ ‘দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস: দ্য রিংস অফ পাওয়ার’-এর প্রথম সিজ়নের খরচের ১৫ ভাগের ১ ভাগ মাত্র।