চলবে না আর তাঁর ক্ষুরধার কলম। প্রয়াত মহাশ্বেতা দেবী। সাহিত্যক্ষেত্রে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে চিরজীবন। তাঁর রক্তেই ছিল সাহিত্যচর্চার গভীর নেশা। জন্ম ঢাকায়। বাবা মণীশ ঘটক ছিলেন সে সময়ের এক জন স্বনামধন্য সাহিত্যিক। মা ধরিত্রী দেবীও পিছিয়ে ছিলেন না। সে সময়ের এক জন নাম করা লেখিকা ছিলেন তিনি। আর মহাশ্বেতা দেবীর কাকা ঋত্বিক ঘটকের চলচ্চিত্র ক্ষেত্রে অবদান তো সবারই জানা। বাংলাভাগের পর ভিটে ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গে এসে বসবাস শুরু করেন। পড়াশোনাতেও তুখোড় ছিলেন মহাশ্বেতা। ইংরেজি ভাষা নিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। এর পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে মাস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তী কালে আইপিটিএ আন্দোলনের পুরোধা বিজন ভট্টাচার্যের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। মহাশ্বেতাদেবীর লেখনী সর্বকালীন হয়ে থাকবে তাঁর লেখায় চিন্তাভাবনার প্রসারতা আর দার্শনিক পরিস্ফুটনের জোরে। তাঁর লেখনীর স্বতন্ত্রতাই তাঁকে সাহিত্যক্ষেত্রে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে। মহাশ্বেতা দেবীর জীবনের কিছু ফ্রেম ফিরে দেখা যাক।
আরও পড়ুন: প্রয়াত মহাশ্বেতা দেবী (১৯২৬-২০১৬)
ছবি: আনন্দবাজার পত্রিকার লাইব্রেরি থেকে।