মার্কিন শক্তিজোট ‘উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংগঠন’ বা নেটোকে (নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজ়েশন) নিয়ে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস! আর তাতেই কি পচা শামুকে পা কাটতে চলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ)? রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাম্প্রতিক একটি মন্তব্যে অন্তত তেমনটাই মনে করছেন দুনিয়ার তাবড় প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা। পশ্চিমি শক্তির যাবতীয় প্রতিরোধ ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে মস্কো যে গোটা ইউক্রেন দখলের ছক কষছে, তা একরকম স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
চলতি বছরের ২৪ জুন নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে বসবে ৩২ দেশের সংগঠন নেটোর পরবর্তী বৈঠক। চলবে ২৬ তারিখ পর্যন্ত। ঠিক তার আগে রাশিয়ার সামরিক শক্তি নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করায় খবরের শিরোনামে এসেছেন ইইউ-এর শীর্ষ কূটনীতিক কাজ়া কালাস। ফ্রান্সের স্ট্রসবার্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্ট তিনি বলেন, ‘‘নেটো এবং ইইউ একজোট হলে মস্কোর আর কিছুই করার থাকবে না। আগ্রাসী পুতিনকে আটকাতে আমাদের একসঙ্গে থাকতে হবে।’’
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নে রয়েছে মোট ২৭টি দেশ। এর মধ্যে ফ্রান্স ও জার্মানি-সহ ২৩টি রাষ্ট্র নেটোর সদস্য। এই দুই দেশকে ইইউ-এর মূল চালিকাশক্তি বলা যেতে পারে। ফলে কালাসের ওই মন্তব্যের পর ফের নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে নেটো বনাম মস্কোর সংঘাতের প্রসঙ্গ। আর ঠিক তখনই পুতিন ‘সম্পূর্ণ ইউক্রেন দখল’-এর কথা বলায় পরিস্থিতি জটিল হয়েছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা।
ইইউ-এর শীর্ষ কূটনীতিক কালাসকে ‘অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী’ বলার নেপথ্যে বিশেষজ্ঞেরা একাধিক যুক্তি দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, নেটোর সামরিক শক্তির আসল মালিক আমেরিকা। কিন্তু, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মোটেই কট্টর রুশবিরোধী নন। উল্টে মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক তৈরি করার দিকে প্রবল আগ্রহ রয়েছে তাঁর। সম্প্রতি, কানাডায় জি-৭ ভুক্ত দেশগুলির বৈঠকে গিয়ে সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি। সেখানে ট্রাম্প বলেন, ‘‘রাশিয়াকে অবশ্যই এই সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।’’
এ-হেন মস্কোর উপর বেশ ‘সদয়’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট কিন্তু নেটোভুক্ত দেশগুলির প্রতিরক্ষা বাজেট নিয়ে মোটেই সন্তুষ্ট নন। আর তাই কুর্সিতে বসা ইস্তক এই খাতে বাকি সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে তাদের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপির (গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট) পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত ব্যয়বরাদ্দের জন্য চাপ দিয়ে চলেছেন তিনি। চলতি আর্থিক বছরে (পড়ুন ২০২৫-’২৬) সামরিক বাহিনীকে মজবুত করতে ৮০ হাজার কোটি ইউরো খরচের পরিকল্পনা রয়েছে ইইউ-ভুক্ত দেশগুলির।
একই ভাবে ট্রাম্পের চাপে নেটোর অন্যান্য সদস্যরাষ্ট্রও প্রতিরক্ষা খাতে বাড়িয়েছে তাদের ব্যয়বরাদ্দ। কিন্তু, তা সত্ত্বেও এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে মোটেই খুশি করতে পারেনি। বরং ইউরোপ থেকে ধীরে ধীরে সৈন্যহ্রাসের পক্ষপাতী ট্রাম্প। বর্তমানে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় বেশি করে নজর দিতে চাইছে ওয়াশিংটন। কারণ, সেখানে দিন দিন বেড়েই চলেছে চিনের ‘দাদাগিরি’। তাই ‘আগ্রাসী’ বেজিংকে ঠেকাতে সমুদ্রবাণিজ্যের ওই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় নজরদারি বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগনের।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ইউরোপের সেনাছাউনিগুলি থেকে মার্কিন সৈন্য ধীরে ধীরে ঘরে ফিরলে দুর্বল হয়ে পড়বে নেটো। তখন বাকি দেশগুলির পক্ষে পুতিনের আক্রমণ সামলানো সম্ভব হবে না। তা ছাড়া এই শক্তিজোটের মধ্যে আরও কয়েকটি জায়গায় ভাঙন ধরার আশঙ্কা রয়েছে। নেটো সরাসরি মস্কোর বিরুদ্ধে যুদ্ধের ময়দানে নামলে সেই সুযোগ মোটেই হাতছাড়া করবে না ক্রেমলিন। উল্টে এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্রুত পতনের আশঙ্কা রয়েছে।
স্ট্রসবার্গের পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে কালাস বার বার ইইউ এবং নেটোর সম্মিলিত বাহিনীর পরিসংখ্যান তুলে ধরে রাশিয়ার শক্তিকে খাটো করেছেন। বর্তমানে মস্কোর হাতে রয়েছে ১৩ লক্ষ সক্রিয় সৈনিক। অন্য দিকে নেটোর সৈন্যসংখ্যা প্রায় ৩৪ লক্ষ। অর্থাৎ, ক্রেমলিনের প্রায় তিন গুণ ফৌজ রয়েছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন এই ইউরোপীয় শক্তিজোটের কাছে। কিন্তু সমস্যা হল এই সম্মিলিত বাহিনীর মধ্যে আমেরিকান সেনার সংখ্যা প্রায় ২০ লক্ষ। ফলে ওয়াশিংটন পুতিনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরতে না চাইলে সংখ্যার বিচারে দু’পক্ষের শক্তি দাঁড়াবে সমান সমান।
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের দাবি, আমেরিকাকে বাদ দিলে নেটোভুক্ত দেশগুলির আরও একটি সমস্যা রয়েছে। সেটা হল, দীর্ঘ দিন যাবৎ তাদের কারও কোনও যুদ্ধের অভিজ্ঞতা নেই। অন্য দিকে গত তিন বছর যাবৎ ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় লড়ছে রুশ ফৌজ। এর আগে সিরিয়া এবং আফ্রিকার একাধিক গৃহযুদ্ধে যোগ দিয়েছে মস্কো। ক্রেমলিনের হাতিয়ার নির্মাণশিল্পও বেশ বড়। বিশ্বের সর্বাধিক পরমাণু বোমাও রয়েছে পুতিনের হাতে। নেটোর অধিকাংশ দেশের অস্ত্রের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের উপরে মাত্রাতিরিক্ত নির্ভরশীলতা রয়েছে। লড়াইয়ের সময়ে যা বিপদ ডেকে আনতে পারে।
নেটোভুক্ত ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে তুরস্কের সৈন্যবাহিনী সবচেয়ে বড়। আঙ্কারার কাছে আছে আটলাখি ফৌজ। কিন্তু, রাশিয়ার সঙ্গে এই দেশটির সম্পর্ক বেশ ভাল। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে কয়েক বছর আগে মস্কোর থেকে ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বা এয়ার ডিফেন্স কেনে তুরস্ক। শুধু তা-ই নয়, বর্তমানে ‘ব্রিকস’-এর সদস্যপদ পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে আঙ্কারা। এই গোষ্ঠীর সদস্যরাষ্ট্রগুলির মধ্যে রাশিয়ার পাশাপাশি রয়েছে চিন, ভারত, ব্রাজ়িল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা।
এই পরিস্থিতিতে ইউরোপে নেটো বনাম রাশিয়া যুদ্ধ বাধলে তুরস্ক আদৌ মস্কোর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরবে কি না, তা নিয়ে বেশ সন্দেহ রয়েছে। এই শক্তিজোটে আবার বেশ কয়েকটি জায়গায় ভাঙনের চোরাস্রোত রয়েছে। উদাহরণ হিসাবে গ্রিসের কথা বলা যেতে পারে। আথেন্স নেটোয় থাকলেও আঙ্কারার সঙ্গে গ্রিকদের পুরনো সীমান্তবিবাদ রয়েছে। অন্য দিকে হাঙ্গেরি এবং স্লোভাকিয়া এই শক্তিজোটের সদস্য হয়েও ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে প্রবল ভাবে সমর্থন করেছে।
একই কথা ইটালির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সেখানকার প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি নানা ইস্যুতে মস্কোর নিন্দা করলেও সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে নারাজ। বর্তমান একাধিক অভ্যন্তরীণ সমস্যায় ভুগছে রোম। তার মধ্যে অন্যতম হল বয়স্ক নাগরিকদের সংখ্যা বৃদ্ধি। তাই ট্রাম্পের নির্দেশমতো প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় জিডিপির পাঁচ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি রয়েছে তাঁর। এই সমস্ত কারণে নেটোর ‘মিথ’ খুব দ্রুত ইউরোপে ভাঙতে চলেছে বলে মনে করেন অধিকাংশ বিশ্লেষক।
‘স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ বা সিপ্রির দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের চেয়ে অনেক বেশি পরমাণু হাতিয়ার রয়েছে রাশিয়ার কাছে। এককথায় সমগ্র ইউরোপকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে পুতিনের। তা ছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধে বহুল পরিমাণে হাইপারসনিক (শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ গতিশীল) ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে মস্কো। সেগুলির তাণ্ডব দেখে আতঙ্কিত গোটা বিশ্ব। এই ধরনের কোনও ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ নেই ইউরোপের নেটোভুক্ত দেশগুলির কাছে।
এ ছাড়া মহাকাশে ছড়িয়ে আছে রাশিয়ার একগুচ্ছ গুপ্তচর কৃত্রিম উপগ্রহ। আবার শত্রুর কৃত্রিম উপগ্রহ বা নভোযানকে উড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতাও রয়েছে মস্কোর। আধুনিক যুদ্ধে এগুলির প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে। অথচ এই ধরনের কোনও অস্ত্র নেই নেটোভুক্ত ইউরোপীয় দেশগুলির কাছে। এ ব্যাপারে পুরোপুরি আমেরিকার উপর নির্ভরশীল তারা।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নেটো যুদ্ধ ঘোষণা করলে চুপ করে বসে থাকবে না চিন এবং উত্তর কোরিয়া। এই দুই দেশের থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদত অবশ্যই পাবে মস্কো। সে ক্ষেত্রে তুল্যমূল্য বিচারে নেটোর তুলনায় অনেকটাই পাল্লা ভারী হবে ক্রেমলিনের। ‘অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী’ ইইউ-এর শীর্ষ কূটনীতিক কালাস এগুলি একেবারেই ভেবে দেখেননি বলে দাবি বিশ্লেষকদের।
অতীতে বহু বার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থায় অদম্য সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করে যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে দেখা গিয়েছে রাশিয়াকে। ১৮১২ সালের ২৮ জুন মস্কোর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালান কিংবদন্তি ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট। কিন্তু সেখান থেকে খালি হাতে ফিরতে হয় তাঁকে। উল্টে ওই সংঘর্ষে ধ্বংস হয় তাঁর ‘গ্র্যান্ড আর্মি’। এর তিন বছরের মাথায় (পড়ুন ১৮১৫ সাল) ওয়াটারলুর যুদ্ধে চূড়ান্ত পরাজয় হলে রাজপাট ছেড়ে চিরতরে নির্বাসনে যেতে হয়েছিল নেপোলিয়নকে।
এই ঘটনার ১২৯ বছর পর একই ভুল করেন জার্মান ফ্যুয়েরার অ্যাডল্ফ হিটলার। ১৯৪১ সালের ২২ জুন তাঁর নির্দেশে তৎকালীন সোভিয়েন ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া) আক্রমণ করে বসে নাৎসি বাহিনী। পূর্ব ফ্রন্টের লড়াইয়ে ৩০ লক্ষ সৈনিক, তিন হাজার ট্যাঙ্ক, ২,৫০০ বিমান এবং সাত হাজার কামান পাঠিয়েছিল বার্লিন। হিটলার এই অভিযানের নামকরণ করেন ‘অপারেশন বারবারোসা’। এতে প্রাথমিক ভাবে সাফল্য মিললেও বছর ঘুরতেই সম্পূর্ণ পাল্টে যায় পরিস্থিতি। ১৯৪৩ সালে স্টালিনগ্রাদের যুদ্ধে নাৎসি বাহিনী আত্মসমর্পণ করলে নিশ্চিত হয়ে যায় জার্মানির পরাজয়।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, আগামী দিনে নেটোর আক্রমণের মুখে পড়লে ফের পুরনো দিনের মতো বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে রুশ সেনা ও সরকার। মস্কোর সেই প্রতিরোধ ভাঙা এই শক্তিজোটের পক্ষে কঠিন। ‘অপারেশন বারবারোসা’য় নাৎসিদের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে ২ কোটি ৭০ লক্ষ রুশবাসীর মৃত্যু হয়েছিল। স্টালিনগ্রাদের যুদ্ধে প্রাণ হারান ১৫ লক্ষ মানুষ। তার পরও শেষ হাসি হেসেছিল তৎকালীন সোভিয়েত সরকার। ইউরোপে সেই ছবি ফের এক বার দেখতে পাওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশ্লেষকেরা।
গত ২০ জুন সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে পড়েন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের এখানে একটা কথা প্রচলিত আছে। যেখানে মস্কো বাহিনীর পা পড়ে সেটাই আমাদের। রুশ এবং ইউক্রেনীয় নাগরিকদের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। সেই সূত্রে ইউক্রেনের পুরোটাই আমাদের।’’ ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অবশ্য তাঁর এই মন্তব্যের প্রবল সমালোচনা করেছেন।
বর্তমানে পূর্বের প্রতিবেশী দেশটির পাঁচ ভাগের এক ভাগ জমি রয়েছে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। ইউক্রেনের লুহানস্ক এলাকার ৯৯ শতাংশ, ডোনেৎস্কের ৭০ শতাংশ, জ়াপোরিঝঝিয়া, খেরসন, খারকিভ, সুমি, ডিনিপ্রপেট্রোভস্কের বেশ কিছু অঞ্চলে পুরোপুরি দখল করে নিয়েছে মস্কো। ২০১৪ সালে কৃষ্ণসাগর সংলগ্ন ক্রাইমিয়া উপদ্বীপটিকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করেন পুতিন। নেটোভুক্ত দেশগুলি তাঁকে আটকাতে পারবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞ মহল।