বক্স অফিসে দুর্দান্ত সাফল্য। অস্কার এবং গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডের মঞ্চে স্বীকৃতি। ‘আরআরআর’ এবং ছবির ‘নাটু নাটু’ গানের দৌলতে রামচরণ এখন চেনা নাম। শুধু তেলগু ছবির জগতেই আটকে নেই তাঁর জনপ্রিয়তা, সেই গণ্ডি পেরিয়ে গোটা দেশের কাছেই পরিচিত নাম রামচরণ। রোজ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তাঁর অনুগামীর সংখ্যা। কিন্তু টুইটারে রামচরণ ক’জনকে অনুসরণ করেন জানেন?
‘আরআরআর’-এর দৌলতে গোটা দুনিয়ায় পরিচিত নাম রামচরণ। সেরা মৌলিক গানের বিভাগে অস্কার পেয়েছে ‘আরআরআর’ ছবির গান ‘নাটু নাটু’। তবে ‘মগধীরা’, ‘ধ্রুব’-এর মতো ছবি আগেই সুপারস্টারের তকমা এনে দিয়েছিল তাঁকে। সমাজমাধ্যমেও সমান জনপ্রিয় রামচরণ। টুইটারে তাঁর অনুগামীর সংখ্যা ৩০ লক্ষ। যদিও তিনি মাত্র ছ’জনকে অনুসরণ করেন। কারা তাঁরা?
টুইটারে যাঁদের অনুসরণ করেন রামচরণ, তার মধ্যে প্রথম নাম অবশ্যই তাঁর বাবা তথা তেলগু সুপারস্টার চিরঞ্জীবী। বাবা যে তাঁর খুব প্রিয়, প্রায়ই বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলে থাকেন রামচরণ।
একটি সংবাদ মাধ্যমকে সম্প্রতি রামচরণ জানিয়েছেন, ‘আরআরআর’ অস্কার পাওয়ার পর যখন দেশে ফিরছিলেন তাঁরা, তাঁর বাবা চিরঞ্জীবী দিল্লি বিমানবন্দরে ছুটে এসেছিলেন। ছেলের সঙ্গে দেখা করার জন্য। এতটাই উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলেন যে, হায়দরাবাদে বসে আর অপেক্ষা করতে পারছিলেন না।
বাবার পর রামচরণ টুইটারে অনুসরণ করেন তাঁর সাফল্যের অন্যতম ‘কারিগর’ এসএস রাজামৌলিকে। কেন অনুসরণ করেন, তা বোধ হয় না বললেও চলে। রামচরণের জীবনের অন্যতম সেরা হিট ‘আরআরআর’-এর পরিচালক রাজামৌলিকে কি ফলো না করলে চলে!
একটি সাক্ষাৎকারে রামচরণ বলেছিলেন, ‘‘১৪ বছর আগে মগধীরা করেছিলাম। আমি টাস্ক-মাস্টারদের সঙ্গে কাজ করতে ভালবাসি। যাঁরা আমাকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করেছেন, তাঁদের আমি খুব পছন্দ করি। আমার স্ত্রী সেই কাজটি করেছেন। রাজামৌলিও তা-ই। তাঁর সঙ্গে কাজ করা অনেকটা স্কুলে যাওয়ার মতো। আমার বাবা এবং পবন কল্যাণের পর রাজামৌলিকে সব থেকে বেশি সম্মান করি। প্রভাস, জুনিয়র এনটিআর-সহ প্রত্যেক অভিনেতাকে তাঁদের জীবনের সব থেকে বড় হিট উপহার দিয়েছেনে রাজামৌলি। আর এটা এক মাত্র রাজামৌলিই পারেন।’’
তাঁর সাফল্যের অনেকটা কৃতিত্বই হল স্ত্রী উপাসনার, বার বার সাক্ষাৎকারে বলে থাকেন রামচরণ। সেই উপাসনাকেও টুইটারে অনুসরণ করেন নায়ক।
২০১২ সালে বিয়ে হয়েছিল উপাসনার সঙ্গে রামচরণের। খুব শিগগিরই প্রথম সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন উপাসনা। মাস কয়েক আগে সেই সুখবর ভাগ করে নিয়েছেন চিরঞ্জীবী।
চিরঞ্জীবী সুখবর জানিয়ে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘‘আমি এটা জানাতে পেরে আনন্দিত। হনুমানজির কৃপায় রামচরণ ও তাঁর স্ত্রী উপাসনা তাঁদের প্রথম সন্তানের অপেক্ষা করছে। ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা পরিবারের তরফ থেকে।’’
বার বার কাকা পবন কল্যাণের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা, ভালবাসার কথা জানিয়েছেন রামচরণ। পবন অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতির জগতেও সফল। সেই পবন কল্যাণকেও টুইটারে অনুসরণ করেন রামচরণ।
চিরঞ্জীবীর ছোট ভাই পবন। সমাজমাধ্যমে তাঁকে ‘গুরু’, ‘অনুপ্রেরণা’ বলেও জানিয়েছেন রামচরণ। পবনও বার বার জানিয়েছেন, ভাইপো তাঁর ঠিক কতটা প্রিয়।
আর এক পরিচালক শঙ্কর সন্মুগমকেও টুইটারে ফলো করেন রামচরণ। শঙ্করের ‘আরসি ১৫’ ছবিতে অভিনয় করছেন রামচরণ। এই রাজনৈতিক থ্রিলার ছবিতে তিনি দ্বৈত চরিত্রে রয়েছেন বলে খবর।
অনেকেই মনে করছেন, এই ছবি রামচরণের কেরিয়ারে নতুন জোয়ার আনবে। ‘আরআরআর’-এর সাফল্যকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে এই ছবির সাফল্য। ছবিতে রামচরণের বিপরীতে রয়েছেন কিয়ারা আডবানী।
ভিন্ন ধরনের পোস্টের জন্য সমাজমাধ্যমে দারুণ জনপ্রিয় মাহিন্দ্রা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রা। তাঁর অনুগামীর সংখ্যা লাখ লাখ। সেই আনন্দকে টুইটারে অনুসরণ করেন রামচরণ।
সম্প্রতি হায়দরাবাদে একটি অনুষ্ঠানে আনন্দের সঙ্গে দেখা হয়েছিল রামচরণের। সাক্ষাতের সেই ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন আনন্দ। সেখানে দেখা গিয়েছে, ‘নাটু নাটু’ নাচের ভঙ্গি শিখছেন তিনি। আর এই ভঙ্গি নাকি রামচরণের থেকেও দ্রুত শিখেছেন তিনি, জানিয়েছেন খোদ নায়ক।