বলিউডের ‘শাহেনশা’ বলে কথা! পাঁচ দশকের কেরিয়ার। তার মধ্যে দু’শোর বেশি ছবিতে অভিনয়! তবে অমিতাভ বচ্চনের কেরিয়ারের ঝুলিতে এমন একাধিক ছবি রয়েছে যা কখনও মুক্তিই পায়নি। তার মধ্যে অধিকাংশ ছবিতেই অভিনেত্রী রেখার সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন তিনি।
১৯৭৩ সালে জুন মাসে বলি অভিনেত্রী জয়া বচ্চনকে বিয়ে করেন অমিতাভ। ‘মিলি’, ‘অভিমান’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘শোলে’, ‘সিলসিলা’, ‘বাবুর্চি’, ‘জঞ্জির’, ‘কভি খুশি কভি গম’-এর মতো একাধিক হিন্দি ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে অমিতাভ এবং জয়াকে।
অমিতাভ-জয়া বাস্তবে জুটি বাঁধলেও নায়কের সঙ্গে রেখার জুটি দর্শকের মনে আলাদা জায়গা করে নেয়। কানাঘুষো শোনা যেতে থাকে, বড় পর্দার বাইরেও নাকি দুই তারকার সম্পর্ক ছিল। তা নিয়ে অবশ্য বলিপাড়ায় কম চর্চা হয়নি।
রেখার সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ। তার মধ্যে তিনটি ছবি কোনও দিন মুক্তি পায়নি। ছবির শুটিং শুরু হলেও সেগুলি প্রেক্ষাগৃহের মুখ দেখেনি। কোনও ক্ষেত্রে ছবি মুক্তি পেলেও মুখবদল হয়ে যায় তারকার।
বলিপাড়ার জনশ্রুতি, ১৯৭২ সালে ‘অপনা পরায়া’ নামের একটি হিন্দি ছবির শুটিং শুরু হয়। সেই ছবির মুখ্যচরিত্রে অভিনয়ের কথা ছিল অমিতাভ এবং রেখার। সেই সময় দু’জনেই ফিল্মজগতের নবাগত তারকা। এক মাস শুটিং চলার পর ছবির কাজ মাঝপথে থেমে যায়।
শুটিংয়ের মাঝপথে ছবি থেকে বাদ পড়ে যান অমিতাভ। অমিতাভের পরিবর্তে সেই চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় সঞ্জয় খানকে। পরে সেই ছবির নামও বদলে যায়। ‘দুনিয়া কা মেলা’ নামে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় সেই ছবি।
আশির দশকের ঘটনা। ‘টাইগার’ নামের একটি হিন্দি ছবিতে অভিনয় করার কথা ছিল অমিতাভ এবং রেখার। তাঁদের সঙ্গে অভিনয় করার কথা ছিল বলি অভিনেতা সঞ্জীব কুমারেরও। কিন্তু সেই ছবি মুক্তিই পায়নি।
বলিউডের গুঞ্জন, ‘টাইগার’ ছবিটি নিয়ে প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে ছবির তারকাদের মতবিরোধ শুরু হয়। দু’পক্ষের মধ্যে মতের মিল না হওয়ায় শুরুর আগেই ছবির শুটিংয়ে পাকাপাকি ভাবে দাঁড়ি পড়ে যায়।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, ‘এক থা চন্দর এক থি সুধা’ নামের তারকাখচিত একটি ছবির শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেই ছবিতে অমিতাভ এবং রেখার পাশাপাশি অভিনয় করার কথা ছিল জয়ারও। কিন্তু সেই ছবির শুটিং শুরু হতে না হতেই থেমে যায়।
শোনা যায়, ছবির শুটিং শুরু হওয়ার পর টাকাপয়সা নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। তাই শুটিং শুরু হওয়ার পরেই তা থেমে যায়। প্রযোজনার পাশাপাশি আরও নানা বিষয় নিয়ে সমস্যা শুরু হয়। ফলে সেই ছবির কাজ পাকাপাকি ভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
বলিউডের জনশ্রুতি, ‘সরফরোশ’ নামের একটি হিন্দি ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল অমিতাভের। ছবিতে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করার কথা ছিল পরভিন ববি, কাদের খান এবং শক্তি কপূরের মতো বলি তারকাদের। এই ছবির শুটিং শুরু হলেও মাঝপথে থেমে যায়।
শোনা যায়, ‘সরফরোশ’ ছবির শুটিং মাঝরাস্তায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে মতবিরোধ। পরে আর সেই সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ছবির কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’ ছবিতে অমিতাভের সঙ্গে অভিনয় করতে দেখা যায় বলি নায়িকা মাধুরী দীক্ষিতকে। কিন্তু তাঁদের দু’জনের জুটি বেঁধে অভিনয়ের কথা ছিল অন্য এক ছবিতে। সেই ছবিও প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়নি।
শোনা যায়, ‘সঙ্কট’ নামের একটি ছবিতে অভিনয়ের কথা ছিল অমিতাভ এবং মাধুরীর। সেই ছবির বেশ কয়েকটি দৃশ্যের শুটিংও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কোনও এক অজানা কারণে সেই ছবির কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
কানাঘুষো শোনা যায়, বলি পরিচালক সুজিত সরকারের সঙ্গে ‘শুবাইট’ নামের একটি ছবিতে অভিনয় করার কথা ছিল অমিতাভের। কিন্তু আইনি জটিলতায় জড়িয়ে যাওয়ার কারণে সেই ছবির কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, ‘আলিশান’ নামের একটি ছবির শুটিং শুরু করে ফেলেছিলেন অমিতাভ। এক সপ্তাহ শুটিংও করে ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু অর্থাভাবের কারণে সেই কাজ মাঝপথে থেমে যায়।
শোনা যায়, ‘আলিশান’ ছবির বাজেট জোগাড় করা হয়ে গেলেও পরে শুটিংয়ের তারিখ নিয়ে সমস্যা শুরু হয়। অমিতাভ তখন অন্য ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় আর সময় বার করতে পারেননি। তাই এই ছবির কাজও বরাবরের মতো থেমে যায়।