Donald Trump on Russia-Ukraine War

‘অবাধ্য’ পুতিনকে সাজা দিতে ‘দাবার ঘুঁটি’ জ়েলেনস্কি! সরাসরি মস্কোয় হামলা করতে ঘুরপথে ইউক্রেনকে কাজে লাগাবেন ট্রাম্প?

মস্কো ও সেন্ট পিটার্সবার্গে আক্রমণ শানাতে ঘুরপথে এ বার ইউক্রেনকে হাতিয়ার সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাল্টা আমেরিকাকে পরমাণু অস্ত্রে নিশানা করবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন? বাড়ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৫ ০৭:৫৭
Share:
০১ ২০

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতকে কেন্দ্র করে ফের বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক! কিভকে দিয়ে মস্কোকে নিশানা করার ছক কষছে আমেরিকা। সেই লক্ষ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি, নতুন করে ক্রেমলিনকে দিয়েছেন শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি। ওয়াশিংটন ঘুরপথে মস্কোয় হামলা চালাতে সক্ষম হলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যে চুপ করে বসে থাকবেন না, তা বলাই বাহুল্য। সেই প্রত্যাঘাত যুক্তরাষ্ট্রের উপরে নেমে এলে পূর্ব ইউরোপের লড়াই বিশ্বযুদ্ধে বদলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, বলছেন বিশ্লেষকেরা।

০২ ২০

গত বছর নির্বাচনী প্রচারের সময় কুর্সি পেলে মাত্র সাত দিনের মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। শুধু তা-ই নয়, ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কির উপরে ‘অবৈধ ভাবে’ ক্ষমতা ধরে রাখার অভিযোগও করেন তিনি। শপথ নেওয়ার পর পূর্ব ইউরোপে শান্তি ফেরাতে কিভে বন্ধ হয় আমেরিকার হাতিয়ার সরবরাহ। পাশাপাশি, চলতি বছরের মার্চে শান্তিচুক্তি নিয়ে জ়েলেনস্কির সঙ্গে হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বৈঠক ভেস্তে যায় ট্রাম্পের। কিন্তু, সাড়ে তিন মাসের মধ্যেই ১৮০ ডিগ্রি বেঁকে ফের ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক হাতিয়ার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্ট।

Advertisement
০৩ ২০

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের দাবি, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপে সম্পূর্ণ অন্য দিকে মোড় নিতে পারে ইউক্রেন যুদ্ধ। লড়াই আরও গণবিধ্বংসী ও ভয়ঙ্কর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও কেন মত বদলালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট? গত ১৪ জুলাই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেই তাঁর ব্যাখ্যা দিয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর দাবি, বার বার বলা সত্ত্বেও শান্তিপ্রতিষ্ঠায় কোনও গরজ দেখাচ্ছেন না পুতিন। আর তাই কিভকে অত্যাধুনিক হাতিয়ার দেওয়া ছাড়া তাঁর কাছে অন্য রাস্তা নেই।

০৪ ২০

গত ১৪ জুলাই মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইউরোপীয় শক্তিজোট ‘উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংগঠন’ বা নেটোর (নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজ়েশন) মহাসচিব মার্ক রাটের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। সেখানে তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসা রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয় তাঁদের। এর পরই যুক্তরাষ্ট্রের তরফে নেটোর সদস্য দেশগুলির মাধ্যমে কিভকে আরও বেশি উন্নত হাতিয়ার সরবরাহের কথা ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি, ওয়াশিংটনের যে ঘুরপথে মস্কোকে নিশানা করার ছক রয়েছে, তা-ও পরিষ্কার হয়ে যায়।

০৫ ২০

গত ৪ জুলাই জ়েলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ট্রাম্প। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের রাষ্ট্রপ্রধানকে জিজ্ঞাসা করেন যে, ওয়াশিংটন দূরপাল্লার হাতিয়ার দিলে মস্কো বা সেন্ট পিটার্সবার্গকে নিশানা করতে কি পারবে কিভ? জবাবে জ়েলেনস্কি বলেন, তাঁর বাহিনী এই ধরনের আক্রমণ শানাতে সক্ষম। ঠিক তার পরেই নেটোভুক্ত দেশগুলির মাধ্যমে আমেরিকার ইউক্রেনকে হাতিয়ার সরবরাহের খবর সামনে আসায় দুনিয়া জুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছে।

০৬ ২০

মার্কিন গণমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, হাজার কোটি ডলারের অত্যাধুনিক হাতিয়ার নেটোভুক্ত দেশগুলির হাতে তুলে দেবেন ট্রাম্প। রাটের সঙ্গে বৈঠকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অস্ত্রগুলির মধ্যে থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্টের এ ভাবে ঘুরপথে কিভকে অস্ত্র দেওয়ার নেপথ্যে একাধিক কারণ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কূটনৈতিক চালে পুতিনকে ইউরোপের যুদ্ধেই ব্যস্ত রাখতে চাইছেন তিনি।

০৭ ২০

ট্রাম্পের পূর্বসূরি জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ইউক্রেনকে লাগাতার হাতিয়ার সরবরাহ করছিল আমেরিকা। তখনই হঠাৎ করে ‘পরমাণু নীতি’ (পড়ুন নিউক্লিয়ার ডকট্রিন) বদলে দিয়ে ওয়াশিংটনের পাল্টা রক্তচাপ বাড়িয়ে দেন পুতিন। পাল্টা হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, যদি কোনও দেশ কিভকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বা অন্য কোনও হাতিয়ার দিয়ে সাহায্য করে, তা হলে তাকে শত্রু বলে মেনে নেবে মস্কো। তখন প্রয়োজনে ওই রাষ্ট্রের উপরে পরমাণু হামলা চালাতে দ্বিতীয় বার ভাববে না ক্রেমলিন।

০৮ ২০

পুতিনের ওই হুমকিতে কাজ হয়েছিল ম্যাজিকের মতো। তড়িঘড়ি ইউক্রেনের হাতিয়ার সরবরাহের গতি কমিয়ে দেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুধু তা-ই নয়, কোনও ভাবেই কিভকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিতে রাজি হয়নি তাঁর সরকার। আর তাই সুচতুর ট্রাম্প ঘুরপথে জ়েলেনস্কিকে ওই অস্ত্র দিতে চাইছেন। কারণ, তিনি জানেন এ ক্ষেত্রে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করবে ইউরোপীয় কোনও দেশ, ওয়াশিংটন নয়। আর এ ভাবেই রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ এড়াতে চাইছেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্ট।

০৯ ২০

বিশ্লেষকদের কেউ কেউ অবশ্য এর জন্য ট্রাম্পকে পুরোপুরি দোষ দিতে রাজি নন। জানুয়ারিতে শপথ নেওয়ার পর অন্তত ছ’বার পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, কোনও ভাবেই সংঘর্ষবিরতিতে রাজি করানো যায়নি মস্কোর দণ্ডমুণ্ডের কর্তাকে। আর তাই ১৪ জুলাই রাটের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ক্রেমলিনকে নতুন করে শুল্ক-হুমকি দেন তিনি। বলেন, ‘‘৫০ দিনের মধ্যে মস্কোকে শান্তি সমঝোতায় আসতে হবে। না হলে রাশিয়ার বাণিজ্যিক বন্ধুদের উপরে ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দেব আমরা।’’

১০ ২০

সংবাদমাধ্যমের দাবি, গত ৩ ও ৪ তারিখ পুতিনের সঙ্গে শেষ বার ফোনে কথা বলেন ট্রাম্প। সেখানেও কোনও সমাধানসূত্র না বার হওয়ায় জ়েলেনস্কির সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। গত জুনে রুশ বায়ুসেনার একাধিক ছাউনিতে ড্রোন হামলা চালিয়ে তাদের একগুচ্ছ বোমারু বিমান ধ্বংস করে ইউক্রেন। কিভের ওই পরিকল্পিত আক্রমণে হকচকিয়ে যায় মস্কো। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকের দাবি, সেই কারণে জ়েলেনস্কিকে দূরপাল্লার হাতিয়ার দিয়ে ‘জুয়া’ খেলার সাহস পেয়েছেন ট্রাম্প।

১১ ২০

ইউক্রেন যুদ্ধে শান্তি সমঝোতার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের ৫০ দিনের হুমকির পর এই ইস্যুতে বিবৃতি দিয়েছেন আমেরিকার সাবেক বিদেশমন্ত্রী মাইক পম্পেও। ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে প্রথম বার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তাঁকে ওই পদে বসান ট্রাম্প। বিষয়টির গুরুত্ব বোঝাতে ইরানের উদাহরণ দিয়েছেন তিনি। পম্পেও বলেছেন, ‘‘ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি অবজ্ঞা করছিল তেহরান। সেই কারণে সাবেক পারস্য দেশে হামলা চালায় আমাদের কৌশলগত ‘স্টেল্‌থ’ বোমারু বিমান। তার পর ইজ়রায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ থামাতে বাধ্য হয় ইরান। রাশিয়ার এটা মনে রাখা উচিত।’’

১২ ২০

১৬ জুলাই ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পুনরাবৃত্তি শোনা গিয়েছে নেটো মহাসচিব মার্ক রাটের গলায়। ভারত, ব্রাজ়িল ও চিনের নাম করে তিনি বলেন, ‘‘নিষেধ সত্ত্বেও রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে গেলে, মস্কোর থেকে তেল ও গ্যাস কিনতে থাকলে কঠোর আর্থিক শাস্তির মুখে পড়তে হবে। ক্রেমলিন যদি শান্তি আলোচনাকে গুরুত্ব সহকারে না নেয়, তা হলে এই দেশগুলির উপরেও ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।’’

১৩ ২০

বিশ্লেষকদের দাবি, ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর নেপথ্যে ট্রাম্পের একাধিক উদ্দেশ্য রয়েছে। প্রথমত, এর মাধ্যমে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করবেন তিনি। দ্বিতীয়ত, সংঘাত বন্ধ করতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করায় তাঁর জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার রাস্তা মসৃণ হতে পারে। তৃতীয়ত, ইউক্রেনে বিরল ধাতুর খনিগুলির দখল নিতে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। লড়াই থামলে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে পা রাখতে পারবে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক সংস্থা। অন্য দিকে, সম্পূর্ণ ইউক্রেন কব্জা করার পরিকল্পনা রয়েছে মস্কোর।

১৪ ২০

পুতিনকে নিয়ে ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় ভয়ের জায়গা হল, ‘ব্রিকস’। সংশ্লিষ্ট সংগঠনটিতে রাশিয়া ছাড়াও রয়েছে ভারত, চিন, ব্রাজ়িল ও দক্ষিণ আফ্রিকা। পরবর্তী কালে এতে যোগ দেয় মিশর, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। অর্থাৎ, বর্তমানে মোট ১০টি দেশের সংগঠন হল ‘ব্রিকস’। এই গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির নতুন একটি মুদ্রা চালু করার প্রস্তাব দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। সেটি বাজারে এলে মার্কিন ডলারের আসন টলে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। আর তাই কিভ ও নেটোর ইউরোপীয় সদস্যদের ব্যবহার করে মস্কোকে হারাতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন তিনি।

১৫ ২০

তবে ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা মোটেই সহজ নয়। কারণ, পম্পেওর যুক্তি মেনে কখনওই ইরান ও রাশিয়াকে এক সারিতে রাখা সম্ভব নয়। পুতিনের হাতে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্ত্রভান্ডার। ঘুরপথে নেটোর মাধ্যমে কিভকে অস্ত্র সরবরাহ করার বিষয়টি ভালই বুঝতে পারছেন তিনি। আর তাই মস্কো বা সেন্ট পিটার্সবার্গকে বাঁচাতে সরাসরি আমেরিকার উপর আণবিক বোমা ফেলার নির্দেশ দিতেই পারেন তিনি। সে ক্ষেত্রে বিপদে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র।

১৬ ২০

এ ছাড়া নেটোভুক্ত দেশগুলির মধ্যে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ড এবং বাল্টিক দেশগুলিকে বাদ দিলে অনেকেই এই পদ্ধতিতে জেলেনস্কির কাছে দূরপাল্লার হাতিয়ার পৌঁছোনোর ঘোর বিরোধী। উদাহরণ হিসাবে ইটালি, গ্রিস, পর্তুগাল বা স্পেনের কথা বলা যেতে পারে। নেটোর সদস্য হওয়া সত্ত্বেও তুরস্কের আবার ব্রিকসের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় স্বপ্ন রয়েছে। এককালের ‘ইউরোপের রুগ্ন মানুষ’ এখনও ব্যবহার করে মস্কোর তৈরি একাধিক হাতিয়ার।

১৭ ২০

তৃতীয়ত, আমেরিকা ঘুরপথে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার হাতিয়ার সরবরাহ করলে এবং ফের শুল্ক চাপালে আরও কাছাকাছি আসতে পারে রাশিয়া, ভারত ও চিন। পরমাণু শক্তিধর এই তিন দেশের অর্থনীতি যথেষ্ট বড়। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ইরান, ব্রাজ়িল এবং উত্তর কোরিয়াকে পাশে পাবে মস্কো। বর্তমানে খুব সস্তায় মস্কোর থেকে খনিজ তেল কিনছে নয়াদিল্লি। মুদ্রাস্ফীতির হার ঠিক রাখতে তাই ট্রাম্পের হুমকি মেনে ক্রেমলিনের সঙ্গে থাকা ওই চুক্তি থেকে কেন্দ্রের মুখ ফিরিয়ে নেওয়া বেশ কঠিন।

১৮ ২০

সম্প্রতি, তাইওয়ান সংঘাতকে কেন্দ্র করে চিন ও আমেরিকার মধ্যে যুদ্ধ বাধলে কোন কোন ‘বন্ধু’ পাশে থাকবে তা জানতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ ব্যাপারে ওয়াশিংটনকে খোলাখুলি ভাবে সাহায্য করার গরজ দেখায়নি কেউই। উল্টে বেজিঙের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার ইঙ্গিত দেয় কৌশলগত মিত্র অস্ট্রেলিয়া। জাপানের অবস্থানও ছিল বেশ শীতল। ট্রাম্পের ক্ষেত্রে এটা বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

১৯ ২০

গত ১৫ জুলাই এই ইস্যুতে বিবৃতি দেন রুশ বিদেশমন্ত্রী সর্গেই লেভরভ। বেজিঙে ‘সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা’ বা এসইও-ভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের মাঝেই তিনি বলেন, ‘‘আমেরিকার সঙ্গে আমাদের তিন শতাংশেরও কম লেনদেন রয়েছে। তাই শুল্কের কোনও প্রভাবই আমাদের অর্থনীতিতে পড়বে না।’’ ট্রাম্পের ৫০ দিনের ‘চূড়ান্ত সময়সীমা’কে গুরুত্ব দিতে রাজি হননি তিনি।

২০ ২০

এই পরিস্থিতিতে ফের ট্রাম্প, পুতিন ও জ়েলেনস্কিকে নিয়ে মিমের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীরা। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের গলায় ধরা পড়েছে ‘হতাশা’র সুর। তিনি বলেন, ‘‘আমার সিদ্ধান্তকে সকলের সম্মান করা উচিত। সেটা মেনে চলাই আশু কর্তব্য। অথচ তেমনটা কিছুতেই হচ্ছে না।’’

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement