Donald Trump and QUAD

ভারতের সঙ্গে ‘শুল্কযুদ্ধে’ দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য! চিনবিরোধী ‘কোয়াড’কে নিজের হাতে খুন করলেন ট্রাম্প?

ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে গঠিত চতুঃশক্তিজোট ‘কোয়াড’কে একরকম ধ্বংস করে ফেলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নয়াদিল্লির সঙ্গে তাঁর শুল্কসংঘাতের আবহে এমনটাই মত বিশ্লেষকদের একাংশের।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:১৮
Share:
০১ ১৯

চিনবিরোধী চতুঃশক্তিজোট ‘কোয়াড’-এর পুনরুজ্জীবনে বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। সেই তিনিই কি নিজের হাতে বাজিয়ে দিলেন সংশ্লিষ্ট সংগঠনটির মৃত্যুঘণ্টা? ভারতের সঙ্গে ‘শুল্কযুদ্ধে’ জড়ানো ইস্তক এই প্রশ্নে নিজের দেশে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তা-ই নয়, এর জন্য অচিরেই ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় মার্কিন নৌবাহিনীকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে বলে সতর্ক করেছেন সাবেক সেনাকর্তা ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা।

০২ ১৯

‘কোয়াড্রিল্যাটেরাল সিকিউরিটি ডায়লগ’ বা কোয়াড অবশ্য কোনও সামরিক সমঝোতা নয়। মূলত, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার চারটি দেশ নিজেদের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধিতে গড়ে তোলে এই সংগঠন। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও এর সদস্য জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া। আগামী দিনে আরও কিছু দেশকে নিয়ে ‘কোয়াড প্লাস’ তৈরির পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু, তার আগেই ছন্দপতন। কারণ, আগামী নভেম্বরে নয়াদিল্লিতে সংশ্লিষ্ট সংগঠনটির বৈঠকে যোগ দেবেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর জেরে ‘কোয়াড’ গুরুত্বহীন হল বলে মনে করছেন দুঁদে কূটনীতিকরা।

Advertisement
০৩ ১৯

বেজিংবিরোধী চতুঃশক্তি জোটটির ‘অকালমৃত্যু’র নেপথ্যে ট্রাম্পকেই দায়ী করছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁদের কথায়, গত চার বছরে কোয়াডভুক্ত দেশগুলি একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার নিরাপত্তার প্রশ্নে ক্ষুদ্র স্বার্থ সরিয়ে রেখে ঐক্যবদ্ধ হতে দেখা গিয়েছে তাদের। কিন্তু, দ্বিতীয় বারের জন্য প্রেসিডেন্ট হয়ে সে সবের ধার ধারছেন না ট্রাম্প। বাকি তিন সদস্যের স্বার্থবিরোধী একের পর এক পদক্ষেপ করছেন তিনি। এতে যথেষ্ট বিরক্ত ভারত, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া।

০৪ ১৯

জন্মের সময় থেকেই কোয়াডের ‘অসুস্থতা’ ছিল চোখে পড়ার মতো। ২০০৭ সালে সংশ্লিষ্ট জোটটি তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা নেন জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজ়ো আবে। কিন্তু, বছর ঘুরতেই সংগঠনটি থেকে নাম প্রত্যাহার করেন অস্ট্রেলিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কেভিন রুড। কারণ, কোয়াডকে চিনবিরোধী শক্তিজোট হিসাবে দেখার ক্ষেত্রে প্রবল আপত্তি ছিল তাঁর। ক্যানবেরা বেরিয়ে যাওয়ায় পুরোপুরি ঠান্ডা ঘরে চলে যায় ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার চতুঃশক্তি গোষ্ঠী।

০৫ ১৯

২০০৯ থেকে টানা আট বছর দু’দফায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন বারাক হুসেন ওবামা। এশিয়ার দিকে নজর দেওয়ার বিশেষ নীতি গ্রহণ করেন তিনি। কিন্তু, তা সত্ত্বেও কোয়াডের পুনরুজ্জীবন নিয়ে মাথা ঘামাতে দেখা যায়নি তাঁকে। ২০১৭ সালে প্রথম বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়ে এ ব্যাপারে উদ্যোগী হন ট্রাম্প। ওই সময়ে অবশ্য বাণিজ্যযুদ্ধে চিনকে পর্যুদস্ত করতে মরিয়া ছিল ওয়াশিংটন। সেই লক্ষ্যে বেজিঙের পণ্যে বিপুল অঙ্কের শুল্ক চাপিয়ে দেন তিনি।

০৬ ১৯

২০১৯ সালে ট্রাম্পের নেতৃত্বে কোয়াডভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আয়োজন করে আমেরিকা। সেখানে নিউ জ়িল্যান্ড, রিপাবলিক অফ কোরিয়া বা আরওকে (পরিচিত নাম দক্ষিণ কোরিয়া) এবং ভিয়েতনামকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার নিরাপত্তা ও উন্নয়নমূলক কাজে এই দেশগুলিকে সঙ্গে নিয়ে চলার নীল নকশাও প্রকাশ্যে আনে ওয়াশিংটন। ফলে কোয়াডকে যে ট্রাম্প কলেবরে বড় করতে চাইছেন, তা তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।

০৭ ১৯

যুক্তরাষ্ট্রের ওই বৈঠকের পরেই ‘কোয়াড প্লাস’-এর গঠন নিয়ে তুঙ্গে ওঠে জল্পনা। ট্রাম্পের উত্তরসূরি জো বাইডেনও সেই নীতি থেকে সরে আসেননি। ২০২১ সাল থেকে ‘বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন’-এর রেওয়াজ আয়ত্ত করে এই সংগঠন। ফলে শেষ পাঁচ বছরে সদস্য দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানদের মোট ছ’বার বৈঠক করতে দেখা গিয়েছে, যার মধ্যে দু’টি হয়েছে ভার্চুয়ালি।

০৮ ১৯

গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর কোয়াডভুক্ত দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানেরা শেষ বার একত্রিত হন যুক্তরাষ্ট্রের উইলমিংটনে। তখনই পরবর্তী বৈঠকের আয়োজক দেশ হিসাবে ভারতকে বেছে নেন তাঁরা। সেই বৈঠকেই ট্রাম্প যোগ দেবেন না বলে একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে জনপ্রিয় মার্কিন গণমাধ্যম ‘নিউ ইয়র্ক টাইম্‌স’। যদিও ওয়াশিংটনের তরফে সরকারি ভাবে এখনও কিছু বলা হয়নি। ‘সুপার পাওয়ার’ দেশটির প্রেসিডেন্ট শেষ পর্যন্ত নয়াদিল্লির সম্মেলনে না এলে কোয়াড যে দিশাহীন হয়ে পড়বে, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

০৯ ১৯

বিশ্লেষকদের দাবি, কোয়াডের ব্যাপারে ট্রাম্পের উৎসাহ হারানোর নেপথ্যে একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথমত, সংশ্লিষ্ট সংগঠনটিকে দীর্ঘ দিন ধরেই একটি সামরিক সংস্থায় বদলে ফেলতে চাইছে আমেরিকা। কিন্তু, তাতে প্রবল আপত্তি রয়েছে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার। দ্বিতীয়ত, সরাসরি চিনের নাম করে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেয়নি কোয়াড। ফলত, একে বেজিংবিরোধী গোষ্ঠী হিসাবে তুলে ধরতে সমস্যা হচ্ছে ওয়াশিংটনের। আর তাই সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীটি থেকে বেরিয়ে যেতে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

১০ ১৯

দ্বিতীয়ত, ক্যানসার দূরীকরণ এবং মহামারি ঠেকাতে গত কয়েক বছরে বিশেষ একটি তহবিল তৈরি করেছে কোয়াড। কিন্তু, চিকিৎসাক্ষেত্রে উন্নতির জন্য সেখানে কোটি কোটি ডলার দেওয়ার ব্যাপারে প্রবল আপত্তি রয়েছে ট্রাম্পের। তাঁর যুক্তি, রোগ প্রতিরোধ গবেষণা যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে হওয়াই শ্রেয়। তা হলে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হবে মার্কিন সরকারের। ফলে তাঁর নির্দেশে আমেরিকার স্বাস্থ্য সচিব রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র ওই তহবিলটিকে একরকম ভেঙেই দিয়েছেন।

১১ ১৯

এ ছাড়া কোয়াডভুক্ত দেশগুলি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় পরিবহণ ক্ষেত্রে সক্ষমতা পেতে একটি লজিস্টিক নেটওয়ার্কের পাইলট প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে সংশ্লিষ্ট নেটওয়ার্কটিকে কাজে লাগানোর চিন্তাভাবনা ছিল তাদের। এর জন্য পরিকাঠামোগত উন্নয়নে বিপুল বরাদ্দের প্রয়োজন অবশ্যাম্ভাবী হয়ে পড়ে। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন এ ব্যাপারেও নির্লিপ্ততা দেখিয়েছে।

১২ ১৯

গত বছর কোয়াডের বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চার সদস্য দেশ। অন্য দিকে দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে খোলাখুলি ভাবে জীবাশ্ম জ্বালানি উত্তোলন এবং তা বিশ্বব্যাপী বিক্রির পক্ষে সওয়াল করেছেন ট্রাম্প। তাঁর এই দৃষ্টিভঙ্গি চতুঃশক্তিজোটের পূর্ববর্তী চিন্তাভাবনার নিরিখে সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এই অবস্থায় সংশ্লিষ্ট সংগঠনটিকে মজবুত করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ করা মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষে বেশ কঠিন, বলছেন বিশ্লেষকেরা।

১৩ ১৯

গত ২৭ অগস্ট থেকে ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ করে শুল্ক নিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর জেরে মার্কিন বাজারে বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করে লাভের অর্থ ঘরে তোলা এ দেশের ব্যবসায়ীদের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে ইতিমধ্যেই বিকল্প বাজারের খোঁজ শুরু করে দিয়েছে নয়াদিল্লি। পাশাপাশি, সীমান্ত সংঘাত ভুলে চিনের কাছাকাছি যেতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। ফলে বেজিংবিরোধী জোট হিসাবে কোয়াডের প্রয়োজনীয়তাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কাছে ফুরিয়ে গিয়েছে, বলছেন বিশ্লেষকেরা।

১৪ ১৯

এ বছরের ৩১ অগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিনের তিয়েনজ়িনে চলা ‘সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা’ বা এসসিও (সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজ়েশন) সম্মেলনে যোগ দেন মোদী। সেখানে ড্রাগন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন তিনি। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির ব্যাপারে দু’তরফে নেওয়া হয় একাধিক সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি, জার্মানি ও ফ্রান্স-সহ একাধিক ইউরোপীয় দেশের সঙ্গে ‘মুক্তি বাণিজ্যচুক্তি’ বা এফটিএ (ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট) করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে নয়াদিল্লি।

১৫ ১৯

ট্রাম্পকে বাদ দিলে কোয়াডের ‘অপমৃত্যু’র জন্য অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনিয়ো অ্যালবানিজ়ের দায়ও নেহাত কম নয়। গত জুলাইয়ে হঠাৎ করেই চিন সফরে যান তিনি। সেখানে বেজিঙের সঙ্গে একাধিক বাণিজ্যচুক্তি সেরে ফেলতে দেখা যায় তাঁকে। অ্যালবানিজ়ের দাবি, ড্রাগনভূমির সঙ্গে পণ্যের লেনদেন ক্যানবেরার স্বার্থবিরোধী নয়। তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মতো করে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে জোর দেওয়ার ইচ্ছাও নেই তাদের।

১৬ ১৯

জাপানের আবার কোয়াডকে নিয়ে অন্য সমস্যা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সংগঠনটিকে সামনে রেখে চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মার্কিন নিরাপত্তা পেতে আগ্রহী টোকিয়ো। যদিও সেটা দিতে নারাজ ট্রাম্প। ইতিমধ্যেই সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ফলে আলাদা করে ভারত, ফিলিপিন্স বা ভিয়েতনামের মতো দেশগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি করছে প্রশান্ত মহাসাগরের ওই দ্বীপরাষ্ট্র।

১৭ ১৯

তবে এগুলির উল্টো যুক্তিও রয়েছে। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, ট্রাম্প জমানায় আপাতত কোয়াড ঠান্ডা ঘরে গেলেও এটি পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে, এমনটা নয়। কারণ, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় দিন দিন বাড়ছে চিনের ‘দৌরাত্ম্য’। বেজিঙের ‘পিপল্‌স লিবারেশন আর্মি’ বা পিএলএ নৌসেনা ইতিমধ্যেই সেখানে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে যুক্তরাষ্ট্রের জলযোদ্ধাদের। ফলে ড্রাগনবিরোধী জোটকে পুরোপুরি অগ্রাহ্য করা ওয়াশিংটনের পক্ষে যথেষ্ট কঠিন।

১৮ ১৯

আর তাই নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করতে তৎপর হয়েছেন ট্রাম্প। গত ৫ সেপ্টেম্বর ‘ভারত ও রাশিয়াকে চিনের অন্ধকারে হারিয়ে ফেললাম’ বলে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন তিনি। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ১৮০ ডিগ্রি বেঁকে গিয়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ভারতকে হারিয়ে ফেলিনি। ভারতের উপর আমরা খুব বড় একটা শুল্ক আরোপ করেছি— ৫০ শতাংশ। এটা খুবই চড়া শুল্ক।’’ এর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সুসম্পর্কের কথা জানিয়ে দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

১৯ ১৯

ভারত সম্পর্কে ট্রাম্পের এ-হেন ইতিবাচক মন্তব্যের পর নিজে থেকে বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী মোদীও। ৬ সেপ্টেম্বর সকালে সমাজমাধ্যমে দু’লাইনের একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনুভূতি এবং আমাদের সম্পর্ক নিয়ে ওঁর ইতিবাচক বক্তব্যের প্রশংসা করছি। আমরা এর সম্পূর্ণ প্রতিদান দেব।’’ ফলে দু’তরফে বরফ গলতে শুরু করেছে বলে ইতিমধ্যেই তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement