Ukraine Drone Attack

খোলা জায়গায় বোমারু বিমান রাখাই কাল! অস্ত্র হ্রাস চুক্তিকে ঢাল করে পুতিনের ‘রক্ত ঝরাল’ ইউক্রেন?

রুশ বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার সাফল্য নিয়ে দুনিয়া জুড়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এ ক্ষেত্রে আমেরিকার সঙ্গে হওয়া মস্কোর অস্ত্র হ্রাস চুক্তিকে কিভ ঢাল করেছে বলে মনে করেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০২৫ ০৭:৪৬
Share:
০১ ১৯

ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় ক্ষতবিক্ষত রাশিয়া! কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ৪১টা যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে মস্কোর বুকে মোক্ষম আঘাত হেনেছে কিভ। ঘটনার চুলচেরা বিশ্লেষণে নেমে ‘ঠান্ডা লড়াই’ পর্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হওয়া তৎকালীন সোভিয়েত সরকারের একটি চুক্তিকেই দুষছেন ক্রেমলিনের গোয়েন্দারা। চুক্তির শর্ত মেনে শক্তিশালী বোমারু বিমানকেও অরক্ষিত অবস্থায় খোলা জায়গায় রাখতে বাধ্য হন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দুঁদে কমান্ডারেরা।

০২ ১৯

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের দাবি, মস্কো-ওয়াশিংটনের ‘নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি’কে ঢাল করে যুদ্ধের মধ্যে খেলা ঘুরিয়েছে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির গুপ্তচর বাহিনী। দূরপাল্লার বোমারু বিমানগুলি খোলা জায়গায় রাখার শর্ত রাশিয়া অক্ষরে অক্ষরে না মানলে, এই ড্রোন হামলা আদৌ সফল হত কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সংশ্লিষ্ট চুক্তিটি থেকে এ বার বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। এর ফলে ইউরোপের পাশাপাশি আমেরিকারও যুদ্ধের আগুনে পোড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Advertisement
০৩ ১৯

রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে কিভের সফল হামলার প্রশংসা করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট চুক্তিটির দিকে ইতিমধ্যেই সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বা এনএসএ (ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসার) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইকেল ফ্লিন। এক্স হ্যান্ডলে (আগে নাম ছিল টুইটার) এই প্রাক্তন মার্কিন সেনানী লিখেছেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে চুক্তির কারণেই বোমারু বিমানগুলিকে খোলা আকাশের নীচে অরক্ষিত অবস্থায় রাখতে বাধ্য হয় মস্কো। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাজিমাত করেছেন ধুরন্ধর জ়েলেনস্কি।’’

০৪ ১৯

সমাজমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ২৪তম এনএসএর এ হেন পোস্টের পর দুনিয়া জু়ড়ে শুরু হয় শোরগোল। কোন আন্তর্জাতিক নিয়ম মানতে রাশিয়া বাধ্য, তা নিয়ে নেটদুনিয়ায় ওঠে বিতর্কের ঝড়। সেই সঙ্গে প্রকাশ্যে আসে ‘কৌশলগত অস্ত্র হ্রাস চুক্তি’ বা স্টার্ট-এর (স্ট্যাটেজ়িক আর্মস রিডাকশান ট্রিটি) প্রসঙ্গ। ২০১০ সালের ৮ এপ্রিল মস্কোর সঙ্গে যা সেরে ফেলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক হুসেন ওবামা। ক্রেমলিনের প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে তখন ছিলেন অধুনা পুতিন-ঘনিষ্ঠ রুশ সিকিউরিটি কাউন্সিলের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি আনাতোলিয়েভিচ মেদভেদেভ।

০৫ ১৯

বিশ্লেষকদের দাবি, পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা হ্রাস করার লক্ষ্য নিয়ে ২১ শতকের প্রথম দশকে সংশ্লিষ্ট চুক্তিটি সেরে ফলে রাশিয়া ও আমেরিকা। এর শর্ত অনুযায়ী, কৌশলগত আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ডুবোজাহাজের ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, বোমারু বিমানের সংখ্যা এবং আণবিক ওয়ারহেডের সংখ্যা সংক্রান্ত তথ্য একে অপরের সঙ্গে দেওয়া-নেওয়া করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছিল। চুক্তিটিতে মস্কোর টিইউ-১৬০ এবং টিইউ-৯৫-এর মতো শক্তিশালী বোমারু বিমানের কথা বিশেষ ভাবে বলা রয়েছে।

০৬ ১৯

বিশ্বের ৯০ শতাংশ পরমাণু হাতিয়ার রয়েছে ক্রেমলিন ও ওয়াশিংটনের কাছে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, সেই কারণেই সম্ভাব্য আণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা দূর করতে এই চুক্তির ব্যাপারে শেষ পর্যন্ত একমত হন ওবামা ও মেদভেদেভ। শর্ত অনুযায়ী এত দিন পর্যন্ত দু’পক্ষই খোলা জায়গায় রাখত তাদের বোমারু বিমান। গুপ্তচর কৃত্রিম উপগ্রহে যাতে স্পষ্ট ভাবে সেগুলিকে দেখা যায়, তাই ওই ব্যবস্থা। যুদ্ধের সময়ে এই নিয়ম মানতে গিয়ে মস্কোকে চরম খেসারত দিতে হল বলে মনে করছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা।

০৭ ১৯

এই স্টার্ট চুক্তির জন্ম কিন্তু ওবামা-মেদভেদেভের আমলে নয়। পরমাণু অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে ‘শীত যুদ্ধ’র একেবারে অন্তিম পর্বে এসে সংশ্লিষ্ট চুক্তিটি করে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং আমেরিকা। এতে সই হওয়ার তারিখটি ছিল ১৯৯১ সালের ৩১ জুলাই। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে চুক্তি স্বাক্ষরের পাঁচ মাসের মধ্যে সোভিয়েত ভেঙে জন্ম হয় রাশিয়া-সহ ১৫টি রাষ্ট্রের। আরও তিন বছর পর ১৯৯৪ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে সংশ্লিষ্ট চুক্তিটি মেনে চলা শুরু করে মস্কো এবং ওয়াশিংটন।

০৮ ১৯

পরবর্তী দশকগুলিতে পরমাণু অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে ‘সুপার পাওয়ার’ এই দুই দেশ চেষ্টার কোনও ত্রুটি করেনি। ২০০২ সালে কৌশলগত আক্রমণ হ্রাস চুক্তি বা সর্ট-এ (স্ট্র্যাটেজ়িক অফেনসিভ রিডাকশান ট্রিটি) আবদ্ধ হয় ক্রেমলিন এবং ওয়াশিংটন। ২০১১ সালে সংশ্লিষ্ট চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। ঠিক তার এক বছর আগেই ওবামা ও মেদভেদেভের মধ্যে নতুন করে স্টার্ট-এ সই হওয়ায় হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছিল গোটা বিশ্ব। দু’পক্ষের মধ্যে চরম শত্রুতা থাকা সত্ত্বেও এর নিয়মকানুন কখনওই লঙ্ঘন করেনি রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।

০৯ ১৯

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মস্কোর কাছে আর স্টার্ট মেনে চলার কোনও বাধ্যবাধকতা ছিল না। কারণ, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংশ্লিষ্ট চুক্তিটিকে স্থগিত করে দেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। আগামী বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু, তার পরও ক্রেমলিন বোমারু বিমানকে কেন খোলা জায়গায় অরক্ষিত অবস্থায় রেখেছিল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

১০ ১৯

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা মনে করেন, গত ৩০ বছরের অভ্যাসবশত বোমারু বিমানগুলিকে খোলা জায়গায় রেখেছিল মস্কোর বায়ুসেনা। ট্রাকে করে ঘাঁটি পর্যন্ত ড্রোন নিয়ে এসে ইউক্রেন যে হামলা চালাতে পারে সেই ধারণাই তাদের ছিল না। ক্রেমলিনের এই দুর্বলতাকে চিহ্নিত করে সক্রিয় হয় জ়েলেনস্কির গুপ্তচর সংস্থা সিকিউরিটি সার্ভিস অফ ইউক্রেন বা এসবিইউ।

১১ ১৯

রুশ গণমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিভের এই অপারেশনের পোশাকি নাম ছিল ‘মাকড়সার জাল’। এতে সাফল্য পেতে ‘ঘুমিয়ে’ থাকা এক এজেন্টকে সক্রিয় করে কিভের গুপ্তচর সংস্থা। ওই ব্যক্তির নাম আর্টেম টিমোফিয়েভ। বর্তমানে তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছেন মস্কোর গোয়েন্দারা। কিন্তু রুশ যুদ্ধবিমানের ‘শিকার’ সেরে কর্পূরের মতো উবে গিয়েছেন তিনি।

১২ ১৯

সংবাদ সংস্থা ‘ডেলি মেল’ জানিয়েছে, ইউক্রেনের জাইতোমিরে জন্ম হওয়া টিমোফিয়েডকে বেশ কয়েক বছর আগে রাশিয়া পাঠায় কিভের গুপ্তচর সংস্থা। সাধারণ একজন উদ্যোগপতি হিসাবে পূর্ব ইউরোপের দেশটির চেলিয়াবিনস্কে বাস করতেন তিনি। মস্কোর বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করতে চার জন ট্রাকচালককে নিয়োগ করেন কিভের এই গুপ্তচর। এ ভাবে সংশ্লিষ্ট ট্রাকগুলিতেই কৃত্রিম মেধা বা এআই (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স) পরিচালিত আত্মঘাতী ড্রোনগুলিকে লক্ষ্যের কাছে নিয়ে যেতে সক্ষম হন তিনি।

১৩ ১৯

সূত্রের খবর, এর পর মোট ১১৭টি ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়ে মস্কোর পাঁচটি বিমানঘাঁটি তছনছ করে দেয় ইউক্রেন। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, গুপ্তচর আর্টেমের বুদ্ধির জেরে রাশিয়ার অনেকটা ভিতরে ঢুকে সফল হামলা করতে পেরেছে কিভ। উদাহরণ হিসাবে বেলায়া বিমানঘাঁটির কথা বলা যেতে পারে। ইউক্রেন সীমান্ত থেকে এর দূরত্ব ৪,৫০০ কিলোমিটার। এ ছাড়া কিভ থেকে ওলেনিয়া ২০০০ কিলোমিটার, ইভানোভো ৮৫০ কিলোমিটার এবং রিয়াজ়ানের দিয়াগিলেভো ৫২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বলে জানা গিয়েছে।

১৪ ১৯

ইউক্রেনের এ হেন সফল হামলার পরে ধ্বংসের ছবি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে কৃত্রিম উপগ্রহ ‘ক্যাপেলা স্পেস’। সেখানে বেলায়া বায়ুসেনা ঘাঁটিতে বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ দেখা গিয়েছে। ওই বিমানঘাঁটিতেই রাখা ছিল রুশ বোমারু বিমান— টিইউ-৯৫ এবং টিইউ-২২। কিভের ড্রোন ওই বিমানগুলিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে উপগ্রহচিত্রে। ‘ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স’-এর বিশ্লেষক ব্র্যাডি আফ্রিকও এই দুই বোমারু বিমান ধ্বংসের ব্যাপারে সহমত পোষণ করেছেন।

১৫ ১৯

ইভানোভো বিমানঘাঁটির উপগ্রহচিত্রও প্রকাশ্যে এসেছে। এই বিমানঘাঁটিতে রাখা ছিল রাশিয়ার উন্নত এ-৫০ এডব্লিউএসিএস। এই বিমান সাধারণত সেনাবাহিনীকে শত্রুবিমান সম্পর্কে আগাম তথ্য দেয়। এ হেন এ-৫০ এডব্লিউএসিএস ধ্বংস হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইউক্রেনের মতে, এই ক্ষতি রাশিয়ার বিমানবাহিনীর কাছে অত্যন্ত চিন্তার।

১৬ ১৯

উপগ্রহচিত্রে রিয়াজ়ানের দিয়াগিলেভো বিমানঘাঁটিতে ধ্বংসপ্রাপ্ত বেশ কয়েকটি যুদ্ধট্যাঙ্কার দেখা গিয়েছে। এ ছাড়াও রাশিয়ার পূর্ব প্রান্তের ইউক্রেইঙ্কার বিমানঘাঁটিতে থাকা টিইউ-৯৫ ধ্বংস হয়েছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। জ়েলেনস্কি জানিয়েছিলেন, দেড় বছর আগে এই হামলায় অনুমোদন দিয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকে দেড় বছর ধরে প্রস্তুতি চলেছে। অবশেষে এতে সাফল্য মেলায় কিভ ফৌজের মনোবল যে কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে তা বলাই বাহুল্য।

১৭ ১৯

গত ১ জুন রাশিয়ার পাঁচটি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায় ইউক্রেন। এর প্রতিশোধ নিতে পাল্টা বড় রকমের প্রত্যাঘাতের ছক কষছে মস্কো। তবে তার আগে আর্টেমকে নিকেশ করতে চাইছে রুশ গুপ্তচর সংস্থা এফএসবি। ইতিমধ্যেই তাঁর নিয়োগ করা ট্রাকচালকদের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে নিকেশ করতে ক্রেমলিন ভাড়াটে খুনি নিয়োগ করতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।

১৮ ১৯

ইউক্রেনের দাবি, এই হামলায় অত্যন্ত সস্তা দরের এফপিভি (ফার্স্ট পার্সন ভিউ) ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। উচ্চ শক্তির বিস্ফোরণের জেরে রুশ বোমারু বিমানের বহরের ৩৪ শতাংশ ধ্বংস করেছে কিভ। এ ছাড়া ৭০০ কোটি ডলারের লোকসান হয়েছে মস্কোর। যদিও এই তথ্য মানতে রাজি নয় ক্রেমলিন। বরং ক্ষত ভুলে পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে পুতিন বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডারেরা, খবর সূত্রের।

১৯ ১৯

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের দাবি, রাশিয়ার ভিতরে ঢুকে ইউক্রেনের এই আক্রমণের ফলে আরও জটিল হল ইউরোপে যুদ্ধ। এর জন্য পুতিনের পরবর্তী নিশানা কিভ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি, জ়েলেনস্কিকে সাহায্য করার খেসারত দিতে হতে পারে জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেনকে। বার্লিন, প্যারিস এবং লন্ডন আক্রমণ করতে পারে তাঁর সেনা। সেই আতঙ্কে পশ্চিম ও মধ্য ইউরোপের এই শহরগুলিতে জারি হয়েছে সতর্কতা।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement