হ্যালোউইন পার্টিতে যখন সকলে ভয় পাওয়ার খেলায় মত্ত, তখনই জীবনের বড় পদক্ষেপ করে ফেললেন তিনি। হাঁটু মুড়ে বসে বান্ধবী জেসমিনকে প্রেমের প্রস্তাব দেন সিদ্ধার্থ মাল্য। সেই ছবি পোস্ট করেন সমাজমাধ্যমে। যাঁর হাত ধরলেন দীপিকার প্রাক্তন প্রেমিক, তিনি কে?
বান্ধবীকে সিদ্ধার্থের প্রেমপ্রস্তাব দেওয়ার ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, কমলা রঙের কুমড়োর পোশাক পরেছেন বিজয় মাল্যের পুত্র। আর জেসমিন সেজেছেন ডাইনি।
হাঁটু মুড়ে জেসমিনের সামনে বসে রয়েছেন একদা কিংফিশার কর্তার ছেলে। তরুণীর মুখে লাজুক হাসি। সিদ্ধার্থ এই ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘‘আমার ধারণা, তুমি এখন সারা জীবনের জন্য আমার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছ। আমি তোমায় ভালবাসি।’’
এর পর সিদ্ধার্থ আরও লিখেছেন, ‘‘এই কুমড়োকে সম্মতি জানানোর জন্য ধন্যবাদ।’’ হ্যালোউইন পার্টিতে কুমড়ো সেজেছিলেন তিনি।
এর পর জেসমিনও বেশ কিছু ছবি দিয়েছেন সমাজমাধ্যমে। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, জীবনের বাকি দিনগুলি সব থেকে ভাল বন্ধুর সঙ্গে কাটাতে পারবেন বলে কৃতজ্ঞ। দিনটিকে বিশেষ করতে যাঁরা সাহায্য করেছেন, তাঁদেরও ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি।
সিদ্ধার্থ পেশায় মডেল, অভিনেতা। বেশ কিছু ছবি, টিভির অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা গিয়েছে। কমেডি ছবি ‘ব্রাহ্মণ নমন’ ছবিতেও দেখা গিয়েছে সিদ্ধার্থকে। অনলাইন ভিডিয়ো সিরিজেও সঞ্চালনা করেছেন তিনি।
অতীতে দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে একাধিক বার দেখা গিয়েছিল সিদ্ধার্থকে। দু’জনের সম্পর্কের গুঞ্জনও শোনা গিয়েছিল। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) মালিকানা ছিল বিজয়ের। সে সময় আইপিএলে আরসিবির খেলায় সিদ্ধার্থের সঙ্গে মাঠে দীপিকাকেও হাজির থাকতে দেখা যেত।
একটি ম্যাচে দীপিকা এবং সিদ্ধার্থকে চুমু খেতে দেখা গিয়েছিল। পরে ২০১৪ সালে একটি সাক্ষাৎকারে দীপিকাকে ‘ডেট’ করার কথা স্বীকার করেন সিদ্ধার্থ। বলেন, ‘‘হ্যাঁ আমরা ডেট করতাম। এখনও ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে।’’
সিদ্ধার্থের বাবা বিজয় এখন দেশছাড়া। কিংফিশার এয়ারলাইনস গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। অভিযোগ, হাজার কোটি টাকার ঋণ খেলাপ করে দেশ ছেড়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে দেশে প্রত্যার্পণের চেষ্টা করছে।
সিদ্ধার্থ প্রেমপ্রস্তাব দেওয়ার ছবি পোস্ট করার পরেই অভিনন্দন জানান হৃতিক রোশনের প্রাক্তন স্ত্রী সুজ়ান খান, সলমন খানের বোন অর্পিতা শর্মা, ক্যাটরিনার বোন ইসাবেল কইফ, অনুশা দাণ্ডেকররা।
এ সবের পরেই একটা প্রশ্ন ঘুরছে। কে এই জেসমিন, যাঁর সঙ্গে বাঁধা পড়লেন সিদ্ধার্থ। সিদ্ধার্থ নিজে অবশ্য প্রেমিকার পরিচয় প্রকাশ করতে চাননি। আড়াল করার সব রকম চেষ্টাই নাকি করছেন।
সমাজমাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, জেসমিন থাকেন আমেরিকায়। বেশির ভাগ ছবিতেই তাঁকে লস অ্যাঞ্জেলস এবং আশপাশের এলাকায় দেখা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সেখানেই থাকেন তিনি।
সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা ছবি থেকে এ-ও জানা গিয়েছে, ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন তিনি। সময়-সুযোগ পেলেই বেড়াতে যান। শুধু বেড়ানো নয়, অ্যাডভেঞ্চারও পছন্দ করেন জেসমিন।
সিদ্ধার্থেরও জন্ম ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলসে। তাঁর উচ্চশিক্ষা ব্রিটেনে। সেখানে ওয়েলিংটন কলেজে পড়াশোনা করেছেন তিনি। তার পর লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।
এর পর রয়্যাল সেন্ট্রাল স্কুল অফ স্পিচ অ্যান্ড ড্রামায় পড়াশোনা করেন সিদ্ধার্থ। সেই থেকেই অভিনয়ের প্রতি তাঁর ঝোঁক।
কানাঘুষো, আমেরিকাতেই ছেলেবেলায় জেসমিনের সঙ্গে পরিচয় সিদ্ধার্থের। জেসমিন নিজেও সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘সব থেকে ভাল বন্ধু’-র সঙ্গে বাকি জীবন কাটাতে চলেছেন। সে কারণেই মনে করা হচ্ছে, ছোটবেলা থেকেই বন্ধু দু’জন।
কবে বিয়ে করছেন তাঁরা, সেই নিয়ে অবশ্য কেউই মুখ খোলেননি। মনে করা হচ্ছে, শীঘ্রই চার হাত এক হবে। আর তাতেও থাকবে হ্যালোউইনে প্রেমপ্রস্তাব দেওয়ার মতোই চমক।