India Afghanistan Relations

ভাঙে পাকিস্তান, ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে বার বার গড়ে ভারত! আফগানিস্তানের ‘পাক ক্ষত’য় কী ভাবে মলম দিচ্ছে কৌশলী দিল্লি?

পূর্বের দুই প্রতিবেশী ভারত এবং পাকিস্তানের সঙ্গে দু’রকমের সম্পর্ক রয়েছে আফগানিস্তানের। কাবুল-ইসলামাবাদের শত্রুতা যখন চড়ছে, তখনই ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পঠানভূমির তালিবান সরকার।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৫ ০৭:৫১
Share:
০১ ২০

প্রথমে রাজধানী কাবুল। তার পর সীমান্তবর্তী পকতিকা প্রদেশ। জঙ্গিদমনের নামে প্রতিবেশী আফগানিস্তানের একের পর এক এলাকাকে নিশানা করছে পাকিস্তান। সেখানকার তালিবান সরকার ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতেই ‘কাবুলিওয়ালার দেশ’টিকে তছনছ করতে যেন উঠেপড়ে লেগেছে ইসলামাবাদ! ফলে এশিয়ায় আকাশে ফের ঘনাচ্ছে যুদ্ধের কালো মেঘ। পূর্বের দুই প্রতিবেশীর সঙ্গে পঠানভূমির সম্পর্কের কেন এই ফারাক? এতে কতটা লাভবান হচ্ছে নয়াদিল্লি? ইতিমধ্যেই তার চুলচেরা বিশ্লেষণে মেতেছেন দুনিয়ার দুঁদে কূটনীতিকেরা।

০২ ২০

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের দাবি, কাবুল-ইসলামাবাদ শত্রুতার সম্পর্ক আজকের নয়। দেশভাগের সময় পুশতুভাষী পঠান অধ্যুষিত উত্তর-পশ্চিমের খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশটির অন্তর্ভুক্তি পাকিস্তানে হোক, তা চায়নি আফগানিস্তান। ভারত ভেঙে তৈরি হওয়া নতুন দেশটির অস্তিত্ব স্বীকার করা নিয়েও আপত্তি ছিল তাদের। ফলে পরবর্তী কালে খাইবার-পাখতুনখোয়ায় স্বাধীন পাশতুনিস্তান তৈরির দাবি উঠলে পর্দার আড়ালে থেকে সেই আন্দোলনকে হাওয়া দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ‘কাবুলিওয়ালার দেশ’টির বিরুদ্ধে।

Advertisement
০৩ ২০

পাক-আফগান সংঘাতের দ্বিতীয় জায়গাটি হল সীমান্ত বিবাদ। যে আন্তর্জাতিক রেখাটি এই দুই দেশকে আলাদা করেছে, তার নাম ‘ডুরান্ড লাইন’। ১৮৯৩ সালে সংশ্লিষ্ট সীমান্তটি তৈরি করে তৎকালীন ভারতের ব্রিটিশ সরকার। যদিও পাকিস্তানের জন্মের পর সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাটিকে মানতে চায়নি আফগান প্রশাসন। ২০২১ সালে কাবুলের কুর্সিতে দ্বিতীয় বারের জন্য তালিবান এলে, আরও জটিল হয় পরিস্থিতি। আন্তর্জাতিক সীমান্তের সমীক্ষা করে ইসলামাবাদের বেশ কিছু জমিকে পঠানভূমির অংশ বলে দাবি করে তারা। ফলে দু’পক্ষে চড়তে থাকে পারদ।

০৪ ২০

১৯৪৭ সালে প্রথম ভারত-পাক যুদ্ধে জম্মু-কাশ্মীরের এক তৃতীয়াংশ এলাকা দখল করে নেয় ইসলামাবাদের ফৌজ। ফলে নয়াদিল্লির হাতছাড়া হয় ভূস্বর্গের গিলগিট-বাল্টিস্তান এলাকা। জায়গাটির কৌশলগত গুরুত্ব অপরিসীম। গিলগিট-বাল্টিস্তান লাগোয়া সরু টিকির মতো একটি ভূভাগ রয়েছে, নাম ‘ওয়াখান বারান্দা’ (করিডর)। আবহমান কাল ধরে এই জায়গাটি ছিল ভারত ও আফগানিস্তানের সীমান্ত। যুগ যুগ ধরে ‘ওয়াখান বারান্দা’কে ব্যবহার করে এসেছেন কাবুল ও কন্দহরের বাসিন্দারা। অন্য দিকে, ওই রাস্তা ধরে মধ্য এশিয়ার দেশগুলিতে পণ্য সরবরাহ করত নয়াদিল্লিও।

০৫ ২০

ভারতের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত থাকা সত্ত্বেও গত ৭৮ বছর ধরে ইসলামাবাদের জন্য সেটা ব্যবহার করতে পারছে না আফগানিস্তান। পরবর্তী বছরগুলিতে এর প্রভাব পঠানভূমির অর্থনীতিতে দেখা গিয়েছিল। আর তাই ক্ষমতায় যেই থাকুক না কেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে (পাকিস্তান অকুপায়েড কাশ্মীর বা পিওকে) ভারতের অংশ হিসাবে প্রকাশ্যে ঘোষণা করতে কখনওই পিছপা হয়নি কাবুল। ফলে স্বাভাবিক ভাবই রাওয়ালপিন্ডির ফৌজি জেনারেলদের সঙ্গে তাদের বেড়েছে শত্রুতা।

০৬ ২০

পাকিস্তানের দিক থেকে আবার আফগানিস্তানকে নিয়ে অন্য সমস্যা রয়েছে। স্থলবেষ্টিত পশ্চিমের প্রতিবেশীকে নিজেদের আওতাভুক্ত করার স্বপ্ন দীর্ঘ দিন ধরেই দেখে আসছে ইসলামাবাদ। আর তাই হিন্দুকুশের কোলের দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ‘নাক গলানো’র ভাল রকম বদভ্যাস আছে পাক সরকার, সেনা এবং গুপ্তচর সংস্থা ‘ইন্টার সার্ভিসেস ইনটেলিজেন্স’ বা আইএসআইয়ের। দ্বিতীয় তালিবান প্রশাসনে ‘নিজেদের লোক’ ঢোকানোর কম চেষ্টা করেনি তারা। তবে এ ব্যাপারে দারুণ সাফল্য যে এসেছে, এমনটা নয়।

০৭ ২০

১৯৭৯ সালে আমু দরিয়া পেরিয়ে আফগানিস্তান আক্রমণ করে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের (বর্তমান রাশিয়া) ফৌজ। মস্কোর এ-হেন আগ্রাসী মনোভাবে প্রমাদ গোনে আমেরিকা। পঠানভূমিতে ক্রেমলিনকে হারাতে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে কোমর বেঁধে লেগে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তচর বাহিনী সিআইএ (সেন্ট্রাল ইনটেলিজেন্স এজেন্সি)। এর জন্য গোপনে একটি অভিযান শুরু করে তারা, নাম ‘অপারেশন সাইক্লোন’। এতে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের পূর্ণ সমর্থন পেয়েছিল ওয়াশিংটন। ফলে যথেষ্ট রক্তাক্ত হয়েছিল হিন্দুকুশের কোলের দেশ।

০৮ ২০

আফগানিস্তানে সোভিয়েত সৈন্যকে হারাতে ‘মুজ়াহিদিন’ বা ধর্মযোদ্ধা তৈরি করে আমেরিকা ও ইসলামাবাদের গুপ্তচর বাহিনী। ফলে রাতারাতি ‘কাবুলিওয়ালার দেশ’-এ বাড়তে থাকে কট্টরপন্থা এবং সন্ত্রাসবাদ। পাশাপাশি, সিআইএ এবং আইএসআইয়ের হাত ধরে বিপুল পরিমাণে হাতিয়ার ঢুকতে থাকে হিন্দুকুশের কোলের রাষ্ট্রে। সেখানকার মাটিতে জন্ম হয় কুখ্যাত জঙ্গিগোষ্ঠী ‘অল কায়দা’র। এই যুদ্ধের মাঝে পড়ে গিয়ে পঠানভূমির বহু নাগরিককে ঘরছাড়া হতে হয়েছিল। তাঁদের সিংহভাগ বাধ্য হয়ে আশ্রয় নেন পাকিস্তানে।

০৯ ২০

২০০১ সালে আফগানিস্তানে সরাসরি সামরিক অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্র। সে বারও স্থলবেষ্টিত পঠানভূমিতে সৈন্য পাঠাতে পাকিস্তানের জমি ব্যবহার করেছিল আমেরিকা। পরবর্তী ২০ বছর ধরে চলা মার্কিন আগ্রাসনে দ্বিতীয় বারের জন্য ভয়ঙ্কর এক গৃহযুদ্ধের মধ্যে পড়ে ‘কাবুলিওয়ালার দেশ’। ফলে পাকিস্তানে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে আফগান শরণার্থীর সংখ্যা। অন্য দিকে, এর মাধ্যমে পঠানভূমিকে নিয়ন্ত্রণের যাবতীয় চাবিকাঠি তাদের হাতে থাকুক, চেয়েছিল ইসলামাবাদ। এতে পূর্বের প্রতিবেশীর প্রতি কাবুলের বৃদ্ধি পায় ঘৃণা ও অবিশ্বাস।

১০ ২০

যুদ্ধের কারণে আফগানিস্তান ছেড়ে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের অবশ্য কোনও দিনই ভাল চোখে দেখেনি পাকিস্তান। ফলে ২০২১ সালের পর থেকে দফায় দফায় তাঁদের বহিষ্কার করতে থাকে ইসলামাবাদ। এতে হিন্দুকুশের কোলের দেশটিতে তৈরি হয় মানবিক সঙ্কট। ১৯৯৯ সালের পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা নেপাল থেকে আইসি-৮১৪ নামের ভারতের একটি যাত্রীবোঝাই বিমান ছিনতাই করে পঠানভূমির কন্দহরে নিয়ে যায়। ফলে মৌলানা মাসুদ আজ়হার নামের এক কুখ্যাত সন্ত্রাসীকে ছাড়তে বাধ্য হয় নয়াদিল্লি।

১১ ২০

ভারতের জেল থেকে ছাড়া পেতেই পাকিস্তানে গিয়ে ‘জইশ-ই-মহম্মদ’ নামের একটি জঙ্গি সংগঠনের জন্ম দেয় মাসুদ আজ়হার। ২০০১ সালে নয়াদিল্লির সংসদ ভবনে হামলা চালায় এই সংগঠনের সন্ত্রাসীরা। গোটা ঘটনায় ইসলামাবাদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ভাবে প্রবল অস্বস্তির মুখে পড়ে কাবুলও। ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পর্কের কিছুটা ফাটল ধরেছিল।

১২ ২০

২০০৭ সালে খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশে আত্মপ্রকাশ করে ‘তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান’ বা টিটিপি নামের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। জন্মের দিন থেকেই পাক সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তারা। টিটিপির অভিযোগ, ইসলামীয় রাষ্ট্রের যে সমস্ত রীতিনীতি মেনে চলা উচিত, ইসলামাবাদ মোটেই তা পালন করছে না। সেই কারণে সরকার বদলের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করে এই কট্টরপন্থী সংগঠন। রাওয়ালপিন্ডির জেনারেলরা অবশ্য একে জঙ্গিগোষ্ঠীর তকমা দিয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, টিটিপিকে সামনে রেখে সীমান্ত বিস্তারের চেষ্টা করছে আফগানিস্তানের তালিবান সরকার।

১৩ ২০

অন্য দিকে ঐতিহাসিক ভাবে ‘কাবুলিওয়ালার দেশ’টির সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণে বার বারই সেখানে মানবিক সাহায্য দেওয়া থেকে শুরু করে পরিকাঠামোগত সাহায্য করে গিয়েছে নয়াদিল্লি। ২০১৫ সালে ভারতীয় অর্থে তৈরি কাবুলের সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর জন্য ন’কোটি টাকা খরচ করেছিল এ দেশের সরকার। ঠিক এর পরের বছর (পড়ুন ২০১৬ সাল) সালমা বাঁধের উদ্বোধন করে আফগান সরকার। সেটিরও পরিকল্পনা থেকে নির্মাণকাজ, সবটাই করেছে ভারত।

১৪ ২০

এ ছাড়া বাঘলান প্রদেশের রাজধানী পুল-ই-খুমরি থেকে কাবুল পর্যন্ত বিদ্যুৎ পরিকাঠামো পুনর্নির্মাণ, শিশু হাসপাতালের পুনর্নির্মাণ এবং অ্যাম্বুল্যান্স-সহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রমাগত সরবরাহ করে যাচ্ছে ভারত। আফগানিস্তানে এমআরআই মেশিন, সিটি স্ক্যান মেশিন, টিকা এবং ক্যানসারের ওষুধ পাঠানোর ব্যাপারেও পিছিয়ে নেই নয়াদিল্লি। ২০২১ সাল থেকে সেখানে শাতুত বাঁধ তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন এ দেশের ইঞ্জিনিয়ারেরা। প্রস্তাবিক প্রকল্পের কাজ শেষ হলে কাবুলের ২০ লক্ষ বাসিন্দা পাবেন পরিস্রুত পানীয় জল।

১৫ ২০

বিশ্লেষকদের দাবি, ভারতের দিক থেকে আফগানিস্তানের প্রতি এই ‘বন্ধুত্ব’পূর্ণ অবস্থানের মূল কারণ হল বাণিজ্য। মধ্য এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে পণ্য লেনদেন করতে হলে ইরান এবং কাবুলের রাস্তা ধরা ছাড়া নয়াদিল্লির কাছে অন্য কোনও পথ খোলা নেই। তা ছাড়া স্বাধীনতার পর থেকে প্রতিবেশীদের প্রতি কখনওই শত্রু মনোভাবাপন্ন মনোভাব ছিল না এ দেশের সরকার। উল্টে তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে চলতে চায় সাউথ ব্লক।

১৬ ২০

উল্টো দিকে আফগান ভূখণ্ড এবং সে দেশের জনগণকে ব্যবহার করাই ইসলামাবাদের উদ্দেশ্য। সম্প্রতি এই নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ। তাঁর কথায়, ‘‘কাবুলের জন্যেই আমাদের দেশে রক্তপাত থামছে না। ৬০ লক্ষ আফগান শরণার্থী রাখার মূল্য এই ভাবে চোকাতে হচ্ছে আমাদের।’’ এখনই যে পঠানভূমিতে বিমান হামলার পরিমাণ রাওয়ালপিন্ডির জেনারেলরা কমাচ্ছেন না, তা-ও একরকম স্পষ্ট করেছেন তিনি।

১৭ ২০

চলতি বছরের ৯ অক্টোবর আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বোমাবর্ষণ করে পাক বায়ুসেনা। তাতে টিটিপি প্রধান নুর ওয়ালি মেহসুদ এবং সহকারী প্রধান কারি সইফুল্লা মেহসুদ নিহত হয়েছেন বলে সূত্র মারফত মিলেছে খবর। ঠিক তার পরেই দিল পকতিকা প্রদেশের মারঘি এলাকায় একটি বাজারকে নিশানা করে ইসলামাবাদের ফৌজ। বিষয়টি নিয়ে রাওয়ালপিন্ডির সেনা অফিসারদের চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছে সেখানকার তালিবান সরকার।

১৮ ২০

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, গত ৯ তারিখ ছ’দিনের ভারত সফরে আসেন তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। তিনি এ দেশের মাটিতে পা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কাবুলের আকাশে ঢুকে পড়ে পাকিস্তানের লড়াকু জেট। পরে এই নিয়ে ইসলামাবাদ ফৌজের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতরের (আইএসপিআর) প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধরি বলেন, ‘‘আফগানিস্তানের মাটি আমাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সেটা বরদাস্ত করা সম্ভব নয়।’’

১৯ ২০

কাবুলে বিমান হামলার পর পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেয় তালিবানের প্রতিরক্ষা দফতর। সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘আফগানিস্তানের সার্বভৌম ভূখণ্ড লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। নজিরবিহীন হিংসা এবং প্ররোচনামূলক এই পদক্ষেপের পরিণাম ভাল হবে না।’’ পঠানভূমির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা মহম্মদ ইয়াকুব তালিবানের প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মহম্মদ ওমরের পুত্র। তিনি আফগান তালিবানের অন্দরে ‘পাকিস্তান-ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে পরিচিত ‘হক্কানি নেটওয়ার্কে’র বিরোধী বলে পরিচিত।

২০ ২০

ভারত সফরে এসে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তালিবান সরকারের মুত্তাকি। এর পরই কাবুলের ‘টেকনিক্যাল মিশন’কে দূতাবাসে পরিণত করার কথা ঘোষণা করে নয়াদিল্লি। বিশ্লেষকদের দাবি, পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ বাধলে ভারতের সমর্থন পাবে আফগানিস্তান। আর সেটা ইসলামাবাদের পতন অন্যতম বড় কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement