খণ্ড খণ্ড পা, তাই সন্ধিপদ
বাড়ির ছাদের টবে চন্দ্রমল্লিকা, নয়নতারা, ডালিয়া, কনকধুতরা, নীলকণ্ঠ ইত্যাদি নানা ধরনের ফুল গাছ আছে। সেখানে নানা রঙের ছোটবড় প্রজাপতি ফুলে-ফুলে উড়ে বেড়ায় সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। ওরা যখন ফুলের মধু খায় তখন পাখা উঁচু করে খায় আর যখন এক ফুল থেকে অন্য ফুলে উড়ে যায়, তখন পাখার বাহার মেলে যায়। প্রজাপতির দেহকাণ্ডের মধ্যে দুই জোড়া ডানা ও তিন জোড়া খণ্ড খণ্ড পা আছে। প্রজাপতিকে সন্ধিপদ প্রাণী বলে স্বচক্ষে দেখলাম তার খণ্ড খণ্ড পায়ের জন্য। মাথায় দুটি বড় শুঁড় ও দুটো চোখ আছে। প্রজাপতি যখন ফুলে মধু খেতে বসে তখন স্প্রিংয়ের মতো একটি শোষণ যন্ত্র ফুলে ঢুকিয়ে আরামে মধু খায়।
অর্ণব চোংদার। সপ্তম শ্রেণি, বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম উচ্চ বিদ্যালয়
‘বকম বকম’ করে কত কথা
রোজ সকালে একদল পায়রা আসত বাড়ির ছাদে। আমি গেলেই তারা ‘বকম বকম’ করে আমাকে যেন কী সব বলত। এক দিন কিছু গম নিয়ে গিয়ে ছাদে ছড়িয়ে দিলাম। কিছুক্ষণ পর দেখি পায়রার দল এসে খুঁটে খুঁটে সেই গম খেতে লাগল আর ‘বকম বকম’ করে আমাকে কত কথাই না বলতে লাগল। তার পর থেকে ওরা ঠিক সকালবেলায় ছাদে এসে বসে থাকে। আমিও ওদের খেতে দিয়ে এসে পড়তে বসি।
সায়ন খাঁড়া। পঞ্চম শ্রেণি, বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউশন, হাওড়া
বুলবুলির ডিম
বাড়ির বাগানের কেতকী গাছে একটি বুলবুলি পাখি খড়কুটো, পাতা দিয়ে বাসা বেঁধেছিল। গাছের এমন জায়গায় মাথা খাটিয়ে বাসাটি বানিয়েছিল যে, তাতে রোদ-বৃষ্টি লাগবে না। ওই বাসার মধ্যে বুলবুলি ফুলের কুঁড়ি, পাতা, ফল ইত্যাদি খাবার সংগ্রহ করে রেখেছিল। এক দিন দেখি, ডিম পেড়েছে। ডিমটি সাদার ওপর লাল ফুটকি দেওয়া। কয়েক দিন পর দেখি, ডিমের খোলসটা পড়ে আছে, কিন্তু বুলবুলি ও তার বাচ্চা উধাও। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।
সৌরিজা দে। ষষ্ঠ শ্রেণি, মানকর গার্লস হাই স্কুল
নজরদার
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার?
যদি বাড়িতে থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায়
বাসা বাঁধা উইপোকা, অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ
প্রতিবেশীর রোজকার জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের।
খামের উপরে লেখো:
নজরদার, রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০০১