কাঠঠোকরা ঘুম ভাঙায়
প্রতি দিন ভোরবেলা স্কুলে যাওয়ার জন্য আমি ঘুম থেকে উঠি। কিছু দিন আগে ঘুম থেকে উঠে হঠাৎ ‘কররর্ কররর্’ এক অদ্ভুত আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলাম। প্রতি দিনই শুনি আর ভাবি আওয়াজটা কোথা থেকে আসছে? এক দিন দেখি, আমাদের বাড়ির জানলার পাশেই আমগাছের ডালে বসে আছে সুন্দর একটি পাখি। এবং যখনই পাখিটা তার ঠোঁট দিয়ে গাছের ডালে আঘাত করছে, তখনই আওয়াজটা হচ্ছে। তখনই বুঝতে পারলাম এটাই কাঠঠোকরা। প্রতি দিন সকালে এখন ওর আওয়াজেই আমার ঘুম ভাঙে। ওর সঙ্গে কেমন যেন বন্ধুত্ব হয়ে গেছে।
উর্জস্বী ঘোষ। চতুর্থ শ্রেণি, ওয়েল্যান্ড গোল্ডস্মিথ স্কুল
তিড়িংবিড়িং লাফ
দুটো মুরগিছানার মধ্যে একটা ধবধবে সাদা, অন্যটা বাদামি। রোজ সকালে যেই খাঁচা থেকে ওদেরকে ছাদে ছাড়া হয়, তখন ওদের আনন্দ দেখে কে! তিড়িংবিড়িং করে লাফিয়ে সারা ছাদ চরে বেড়ায় আর ফুলগাছের টব থেকে পোকামাকড়, পিঁপড়ে ধরে ধরে খায়। এক দিন কাঠপিঁপড়ে ওদের গালে কামড়ে দেওয়ার পর ওরা কাঠপিঁপড়েকে এড়িয়ে চলে। বাবা কাঠপিঁপড়ে মেরে দিলে ওরা গপ করে গিলে ফেলে। চালের খুদ খেতেও পছন্দ করে। আর ভালবাসে আমার সঙ্গে খেলতে। এক দিন খেলার সময় একটা কাক সাদা ছানাটাকে ছোঁ মেরে তুলে নিল। এর পর বাদামি রঙের ছানাটা বন্ধুর জন্য কান্নাকাটি করে মারা গেল।
চিরন্তন হরি। ক্লাস ওয়ান, রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন, সোদপুর
খুশির বাহার
আমার পোষা পায়রার নাম খুশি। খুব ছোটবেলায় নিয়ে এসেছিলাম। যখন উড়তে শিখল তখন ছেড়ে দিলাম। এখন সে রোজ তিন বার বাড়ির ছাদে আসে। খাবারের জন্য ‘বকম বকম’ ডাকে আমাদের সাড়া না পেলে খাবারের বাটিটা মুখে ধরে ছাদের দরজায় ঠোকে। তখন আমি ও মা তাকে খাবার দিয়ে আসি। খুশি খাবার খায়, নাচ দেখায়। তার পর উড়ে যায়।
দেবকুমার বক্সী। তৃতীয় শ্রেণি, রাজপুর নন্ডী রমারানী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বর্ধমান
নজরদার
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া
ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা, অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ
প্রতিবেশীর রোজকার জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো:
নজরদার, রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০০১