• ভূগোল শিক্ষকের পড়ানোটা বুঝতে পারি না। আর পড়ায় আমার মন বসে না, খেলতে বা কম্পিউটার করতে ইচ্ছে হয়।
অভিলাষা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চম শ্রেণি, সেন্ট অ্যাগনেস স্কুল, খড়্গপুর
অভিলাষা, তুমি যদি তোমার ভূগোল শিক্ষকের পড়ানো বুঝতে না পারো, তা হলে তোমার শ্রেণির কোনও বন্ধু অথবা তোমার বাড়ির কাউকে বলো, তিনি যদি বুঝিয়ে দেন। তা ছাড়া, ভূগোল শিক্ষকমশায় যা ক্লাসে পড়াবেন সেটা যদি তুমি আগের থেকে পড়ে যাও, তা হলে তোমার ওঁর পড়ানো বুঝতে সুবিধে হতে পারে।
আর দেখো, খেলা করতে বা কম্পিউটার করতে আমাদের সকলেরই ভাল লাগে। কিন্তু পরীক্ষায় ভাল নাম্বার নিয়ে পাশ করতে কি ভাল লাগে না? সেটাও ইচ্ছে করে। তা হলে খেলা করা আর কম্পিউটার করার ইচ্ছে একটু সংযত করতে হবে। না পড়লে কি পরীক্ষায় পাশ করবে? আর ফেল করলে কি খেলা বা কম্পিউটার করতে ভাল লাগবে? তাই, সময় বের করে পড়ো। পড়াটা কিছু দিন পরে ভাল লাগতে শুরু করবে। তখন আর জোর করতে হবে না। নিজেই পড়তে বসবে। চেষ্টা করো, পারবে।
• আমার দুটি প্রধান সমস্যা। ১) পরীক্ষার সময় নার্ভাস বোধ করি, ২) খবরের কাগজ পড়তে অনেক বেশি সময় ব্যয় করি। আমি বুঝি যে সময় নষ্ট হচ্ছে কিন্তু খবরের কাগজ ছাড়তে পারি না। কী করব?
সুমনা সিংহ। অষ্টম শ্রেণি, অশোকনগর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় (উঃ মাঃ)
সুমনা, তুমি তো ভাল ছাত্রী, ভাল রেজাল্টও করো। সেই চাপই তোমাকে পরীক্ষার সময় নার্ভাস করে দেয়। অর্থাৎ, যদি ভাল রেজাল্ট না করতে পারো, তা হলে কী হবে— এই উৎকণ্ঠাই নার্ভাসনেসের কারণ।
পরীক্ষায় ভাল-মন্দ করার, অনেক নাম্বার পাবার ভাবনা ছেড়ে বিষয়টাকে জানার, বোঝার চেষ্টা করো। দু’এক বার নাম্বার কম হলে কিছু যায় আসে না। পরীক্ষায় নার্ভাসনেসের একটা প্রধান কারণ হল, পরীক্ষায় উপযুক্ত প্রস্তুতি না থাকা। সেই প্রস্তুতিটা করো ঠিক ভাবে। উপযুক্ত ব্যায়াম, খাওয়া আর বিশ্রাম অর্থাৎ রাতে ঠিক মতো ঘুমোনো খুব দরকার। বেশি নার্ভাস বোধ করলে বাড়িতে ‘নকল পরীক্ষা’র অভ্যেস করতে পারো (মক টেস্ট)। মনে রাখবে, প্রশ্নপত্র পেয়ে অন্তত দু’বার ভাল করে প্রশ্নপত্র পড়বে— শান্ত মনে। অস্থির বোধ করলে কয়েক বার।
খবরের কাগজ পড়া একটা নেশার মতো। নেশা ছাড়তে হলে যেমন নেশার জিনিস একেবারে ত্যাগ করতে হয়, তোমাকেও তাই করতে হবে। যে সময় খবরের কাগজ পড়ো, সে সময় অন্য কিছু দিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখো। ধীরে ধীরে অভ্যেসটা কমে যাবে।
খামে ভরো মুশকিল
পড়াশোনা, শিক্ষক বা বন্ধুদের নিয়ে তোমার যা মুশকিল, জানাও আমাদের। চিঠির উত্তর দেবেন সাইকো-অ্যানালিস্ট পুষ্পা মিশ্র, বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
চিঠিতে তোমার নাম আর ক্লাস জানাতে ভুলো না। খামের উপরে লেখো:
ইসকুলে মুশকিল,
রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার িস্ট্রট,
কলকাতা ৭০০০০১