জীবনধারাই বদলে ফেলতে চলেছে এই আশ্চর্য আবিষ্কার। আগেই অবশ্য এই ‘সেক্স-রোবট’ আবিষ্কার হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু বাজারে ছাড়ার অনুমতি মিলছিল না। এই রোবট এখন থাকতে পারে আপনার ঘরে, ঠিক রোবট নয়, রোবটের ছাঁচ। বলা যায়, পুরুষ বা নারীর একটি ‘কাঠামো’। এ বার, রাস্তায় চলতে, কলেজে, অফিসে, সেমিনারে, নাইট ক্লাবে, যে কোনও জায়গায়, যে কোনও সময়ে কাউকে দেখে যদি হৃদয় ব্যাকুল হয়, তা হলে, নেক্সট স্টেপ হল, কোনও ক্রমে সেই মানুষটির থেকে, তাঁর পূর্ণ সম্মতি অনুসারে ‘সেক্সুয়াল পাসওয়ার্ড’টি জেনে নেওয়া। এর পর, নিজের ঘরে ফিরে, কোনও একান্ত মুহূর্তে ওই সঙ্গী-কাঠামোটির কপালের ছোট্ট স্ক্রিনে পাসওয়ার্ডটি দিলেই, প্রণয়ী মানুষটির ঘরের কাঠামোটিতে বিপ বিপ করে সংকেত যাবে। তিনি রাজি হয়ে প্রস্তাবে সাড়া দিলে, কাঠামোর মধ্যে ফুটে উঠবে ‘অ্যাক্সেস গ্রান্টেড’। ব্যস, সঙ্গে সঙ্গে কাঠামোটির শরীর হয়ে উঠবে হুবহু প্রণয়ীরই শরীরের রূপ এবং এই দুজন ‘ফিজিও-ভার্চুয়াল’ ভাবে মিলিত হতে পারবেন। অনুভূতি নাকি বাস্তবের সমান সুখকর। শুধু তাই নয়, কোনও শারীরিক ত্রুটি থাকলে, সেটাও উন্নত বিজ্ঞান সংগমকালে মেরামত করে দেবে। কিছু রক্ষণশীল সংগঠন এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছেন বটে, কিন্তু তা ধোপে টিকবে না বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা। মানবাধিকার কমিশন বলছেন, পরস্পরের সম্মতিক্রমে যৌনতার বিরুদ্ধে এই যুগে যে কোনও কথাই মূর্খামি। তার উপর এখানে তো সত্যিকারের মিলনটা হচ্ছে রোবটের সঙ্গে, প্রযুক্তি তাকে অন্য মানুষের শারীর-মানসিক গঠনের হুবহু আদলে ঢাললেও, একে ঠিকঠাক পরকীয়া বলাই যাবে না। তা ছাড়া, এই আবিষ্কার দম্পতি বা অনুগত প্রেমিক-প্রেমিকারও মুশকিল-আসান। কেরিয়ার আর প্রণয়ের শত্রু হতে পারবে না। প্রেমিকা ভিয়েতনামে চাকরি নিয়ে চলে গেলেও প্রেমিক ভাগলপুরে থেকেই তাঁর স্পর্শসুখ অনুভব করবেন।
সোমেন ভট্টাচার্য, দিয়াড়াপাড়া রোড, নদিয়া