নজরদার

এক দিন বিকেলে আমাদের বাড়ির কুয়োর পাড়ে একটা ছোট পায়রা বসেছিল। সেটা সবে উড়তে শিখেছে। এখনও গায়ে ভাল করে পালক গজায়নি। হঠাৎ করে দেখি পায়রাটা কুয়োর জলে পড়ে ছটফট করছে, তা দেখে আমার কী কান্না! সঙ্গে সঙ্গে আমার ঠাকুমা ও জ্যাঠা দু’জনে মিলে দড়ি-বালতি করে পায়রাটাকে তুলল।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৫ ০০:০৩
Share:

একটি ছোট্ট পায়রার কথা

Advertisement

এক দিন বিকেলে আমাদের বাড়ির কুয়োর পাড়ে একটা ছোট পায়রা বসেছিল। সেটা সবে উড়তে শিখেছে। এখনও গায়ে ভাল করে পালক গজায়নি। হঠাৎ করে দেখি পায়রাটা কুয়োর জলে পড়ে ছটফট করছে, তা দেখে আমার কী কান্না! সঙ্গে সঙ্গে আমার ঠাকুমা ও জ্যাঠা দু’জনে মিলে দড়ি-বালতি করে পায়রাটাকে তুলল।

তখন দেখি পায়রাটা ঠান্ডায় কাঁপছে। আমরা তখন তাড়াতাড়ি একটা শুকনো কাপড় জড়িয়ে ওকে একটা ঝুড়ি ঢাকা দিয়ে রেখে দিলাম। সকালে উঠে একটু জল ও একটু চাল খাইয়ে ওকে ছেড়ে দিলাম। বাবা প্রতি দিন সকালে অনেক পায়রাকে চাল খেতে দেয়, দেখি সেই পায়রাটাও প্রতি দিন বাবার হাত থেকে চাল খায়। ওই পায়রাটা যেন আমাদের পোষা হয়ে গিয়েছে। এখন সে অনেক বড় হয়েছে। অনেক পালকও গজিয়ে গেছে। এখন ও আকাশে অনেক দূর পর্যন্ত উড়তে পারে। এটা দেখে আমার খুব আনন্দ লাগে।

Advertisement

দেবলীনা মুখোপাধ্যায়। তৃতীয় শ্রেণি, আনন্দধারা শিশু নিকেতন, বীরভূম

কাকের ছানারা

শ্রেণিকক্ষের জানলা দিয়ে একটি কাঁঠালগাছ দেখা যায়। এক দিন দেখলাম সেখানে দুটি কাক বাসা তৈরি করার জন্য শুকনো ডালপালা এনে জড়ো করছে এবং দু’তিন দিনের মধ্যে সেই বাসাটি তৈরি করে ফেলল। কিছু দিন পরে মা-কাকটা দুটি ডিম পেড়ে ছিল এবং দুজনে মিলে সারাক্ষণ ডিমগুলো পাহারা দিত। তার পর দেখলাম একটি কাক সব সময় ডিমগুলোর উপর বসে থাকে।

অন্য একটি কাক তার জন্য খাবার নিয়ে আসে। এক সপ্তাহ বাদে দেখি সেই দুটো ডিম থেকে দুটো ছোট ছোট বাচ্চা হয়েছে। এর পর লক্ষ করলাম বাচ্চা দুটোর লাল ঠোঁটের মধ্যে দিয়ে মা কাকটা খাবার ঢুকিয়ে দেয় রোজ। আর বাচ্চাগুলো চিঁ-চিঁ করে ডাকে। কয়েক দিন পর দেখলাম, বাচ্চাগুলো ছোট ছোট ডানা দিয়ে অল্প উড়তে শিখেছে। এর পর এক দিন দেখলাম, কাঁঠাল গাছে কাকের বাসাটা রয়েছে, কিন্তু কাকগুলো নেই।

উত্তরা মাইতি। পঞ্চম শ্রেণি, মিলনগড় বালিকা বিদ্যালয়, কলকাতা

নজরদার

চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা, অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের।
খামের উপরে লেখো:

নজরদার, রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা,

৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০০১

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement