নজরদার

আমাদের একটা গাভি ও তার বাচ্চা আছে। স্কুলে যাওয়ার আগে বাচ্চাটার গায়ে প্রত্যেক দিনই হাত বুলিয়ে দিই। যখন হাত বোলাই তখন ওর মা আমার দিকে শিং নাড়ে। ভয়ে চলে আসি।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৪ ০০:০০
Share:

আমাদের একটা গাভি ও তার বাচ্চা আছে। স্কুলে যাওয়ার আগে বাচ্চাটার গায়ে প্রত্যেক দিনই হাত বুলিয়ে দিই। যখন হাত বোলাই তখন ওর মা আমার দিকে শিং নাড়ে। ভয়ে চলে আসি। এক দিন স্কুল থেকে ফিরে দেখি গাভিটা দুধ দিচ্ছে। আর আমার দাদু বাচ্চাটার গলা চুলকে দিচ্ছে, আর তখন গাভিটা দাদুর পিঠে শিং ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমি বললাম, দাদু গাভিটা তোমাকে গুঁতোচ্ছে। দাদু বলল, না রে ওটা একটু আদর চাইছে। যখন বাছুরটা আবার দুধ খেতে গেল তখন গাভিটা দাদুর কাঁধে তার গলাটা তুলে দিল। দাদু বলল, দেখছিস তো দাদু। গাভিটার গলায় হাত বুলিয়ে দিল তখন সে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল। এর পর থেকে আমিও গাভিটার গলায় হাত বুলিয়ে দিই ও আর শিং নাড়ে না। তখন থেকে গাভিটা আমাকে দেখলেই তার গলাটা বাড়িয়ে দেয়। আমি হাত বুলিয়ে দিই।

Advertisement

সৌরিণ মণ্ডল। চতুর্থ শ্রেণি, তালপুর, তারকেশ্বর, হুগলি

স্নেহের টানে

Advertisement

আমাদের জানলার ওপরে ঘুলঘুলিতে দুটো চড়াই বাস করত। সারা দিন ফুড়ুত্‌ ফুড়ুত্‌ উড়ত আর কিচিরমিচির করে বাড়িটাকে চঞ্চল করে রাখত। বাবা বলত, ‘সুন্দর রং করা দেওয়ালটাকে নোংরা করছে আর পড়াশোনায় মনোযোগের ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। ওটাকে বিদায় দিতে হবে।’ এক দিন কাগজে ভাল করে আঠা দিয়ে ঘুলঘুলির মুখে সেঁটে দেওয়া হল। পরের দিন ঘুলঘুলির মুখে সেঁটে দেওয়া কাগজটা কিছুটা ছেঁড়া দেখা গেলেও পাখি দুটোকে আর দেখা গেল না। বাবা বলল, ‘যাক, আপদ বিদায় হয়েছে।’ দিন দশেক পরে অন্য আর একটি বিপত্তি দেখা গেল। ঘুলঘুলির ভিতর থেকে খুব ক্ষীণ স্বরে কিচ্ কিচ্ শব্দ কানে এল। কৌতূহলবশত কাগজের মুখটা খুলতেই বড় চড়াই দুটো ফুড়ুত্‌ করে উড়ে গেল। ভিতরে দেখা গেল দুটো ছানা ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে চুপটি মেরে বসে আছে। বাবা নিজেই কাগজটা খুলে দিলেন।

রিয়াজ রাইহান। সপ্তম শ্রেণি, বারাসাত মহাত্মা গাঁধী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়

নজরদার

চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা, অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো:

নজরদার, রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা,

৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০০১

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement