পিসিওডি নিয়ন্ত্রণে রাখবে ‘জাদু মিঠাই’। ছবি: ফেসবুক।
বলিউড, টলিউডের তারকা থেকে সাধারণ মানুষ— ‘পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজ়িজ়’ অর্থাৎ পিসিওডির সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, প্রতি বছরে পিসিওডি আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। মূলত ‘হরমোনাল ডিজ়অর্ডার’ এই শারীরিক সমস্যার নেপথ্যে রয়েছে। পিসিওডি থাকলে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনযাপনে ব্যাঘাত ঘটে। অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ওজন বেড়ে যাওয়া, শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার মতো নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। পিসিওডি থাকলে জীবনযাপনে কিছুটা রাশ টানা জরুরি। শুধু ওষুধ খেয়ে পিসিওডি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না। বদল আনতে হবে জীবন যাপনে।
চিনিযুক্ত খাবার, সোডাজাতীয় পানীয়, ভাজাভুজি— একেবারেই খাবেন না পিসিওডি থাকলে। কারণ, এগুলি ওজন বাড়িয়ে দেয়। বিকল্প হিসাবে খেতে পারেন এমন কিছু খাবার, যেগুলি শরীরের যত্ন নেয়। এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশি করে কাঠবাদাম, ড্রাই ফ্রুটস, ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। সম্প্রতি অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুন্ডু পিসিওডি সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য একটি ‘মিঠাই’-এর রেসিপি ভাগ করে নিয়েছেন অনুরাগীদের সঙ্গে। অভিনেত্রীর দাবি, এই মিঠাই খেলে নাকি পিসিওডির সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সৌমিতৃষা সেই মিঠাইয়ের নাম দিয়েছেন ‘জাদু মিঠাই’।
কী কী লাগবে সেই মিষ্টি বানাতে?
আধ কাপ সূর্যমুখীর বীজ
আধ কাপ কুমড়োর বীজ
আধ কাপ সাদা তিল
এক কাপ মাখানা
আধ কাপ কাঠবাদাম
আধ কাপ আখরোট
১০০ গ্রাম ডার্ক চকোলেট
৫ টেবিল চামচ মৌরি
১ কাপ খেজুর
১ টেবিল চামচ ঘি
পরিমাণ মতো মধু
কী ভাবে বানাবেন?
প্রথমে সব বীজ শুকনো তাওয়ায় ভেজে গুঁড়ো করে নিন। একই ভাবে বাদাম, মাখানা, আখরোট, মৌরিও শুকনো তাওয়ায় ভেজে গুঁড়ো করে নিন। একটি কড়াইতে ঘি গরম করে খেজুরগুলি ভেজে নিন। এ বার সামান্য জল দিয়ে খেজুর বেটে নিন। একটি বড় পাত্রে সব শুকনো উপকরণগুলি নিয়ে তার সঙ্গে বাটা খেজুর, মধু আর সামান্য জল দিয়ে ভাল করে মেখে নিন। এ বার সেই মণ্ড খেকে ছোট ছোট লাড্ডু বানিয়ে নিন। এ বার ডার্ক চকোলেটটি গলিয়ে নিন। লাড্ডুগুলি ডার্ক চকোলেটে ডুবিয়ে নিন। একটি ট্রেতে বাটার পেপার সাজিয়ে লাড্ডুগুলি তার উপর রেখে ফ্রিজে রেখে দিন। তৈরি হয়ে যাবে ‘জাদু মিঠাই’।