চ্যাপ্টার টু-র অন্দরমহল।—নিজস্ব চিত্র।
কারও পৌষ মাস, তো কারও ক্রিসমাস। একদিকে যেমন পাটিসাপ্টা চলবে, আর এক দিকে জোরকদমে চলবে কেক, পেস্ট্রিও। কিন্তু তার মাঝে টার্কির মাংস বাদ গেলে চলে নাকি? এই মরসুমেই যে ঘটা করে অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের টার্কির মাংস খাওয়ার রীতি। টার্কির হরেক আইটেম খেতে চাইছেন অথচ মাথায় আসছে না কোনও রেস্তোরাঁর নাম। কি তাই তো?
বেশি ভেবে সময় নষ্ট না করে সোজা চলে আসুন মনি স্কোয়ারের চার তলায়। রেস্তোরাঁর নাম চ্যাপ্টার টু। রেস্তোরাঁয় ঢোকার মুখেই দেখবেন আকর্ডিয়ন হাতে একজন অপেক্ষা করছেন আপনাকে ওয়েলকাম জানাতে। আর ঢুকে যখন কী খাওয়া যায় ভাবছেন, তখন আপনার ভাবনাকে আর একটু জমিয়ে দেবে লাইভ মিউজিক।
টার্কি, ডাক, পোর্ক, ফিস আর চিকেন—যেমন মর্জি সেরার সেরা আইটেমগুলো গান শুনতে শুনতেই চেখে নিতে পারবেন এখানে। মূলত বড়দিন আর নতুন বছরকে মাথায় রেখেই চ্যাপ্টার টু-তে চলছে ফেস্টিভ ফিস্ট। আর সেই ফিস্টে পাবেন আলা কার্তে মেনু। কী নেই? চিকেন রাগাউট, হার্ব রোস্ট চিকেন, স্টাফড ফিলে অব বেকটি, গ্রিল্ড বেকটি ইন বাটার গার্লিক সস, স্টাফড আপেল পোর্ক, বার বি কিউ পোর্ক রিবস, রোস্ট টার্কি ইন রেড ওয়াইন সস, রোস্ট টার্কি ইন ক্র্যানবেরি সস, রোস্ট ডাক ইন অরেঞ্জ সস এবং রোস্ট পেকিং ডাক ইন হইসিন সস, ল্যাম্ব চপস, মাশরুম আস্পারাগাস রিসোট্টো, ব্রিটিশ রেলওয়ে চিকেন, প্রন নিউবার্গ। এ তো গেল আমিষের পালা। নিরামিষে রয়েছে ভেজিটেবল কার্পে আলা পোর্তুগিজ এবং কটেজ চিজ পাই।
জিভে জল আনা টার্কি।
আরও পড়ুন: খোদ কলকাতায় বিরিয়ানির চেনা ছক বদলাতে হাজির এরাই
১ ডিসেম্বর থেকেই চ্যাপ্টার টু-তে শুরু হয়ে গিয়েছে উৎসবের এই আমেজ। আর ১ জানুয়ারি গেলেও আপনি এই সব আইটেম পাবেন। আর জিভে জল আনা এই খাবারগুলো চেখে দেখতে ট্যাক্স ছাড়া ২৭৫-৬২৫ টাকা খরচা করলেই চলবে।
এখানেই শেষ নয়। রয়েছে অল্প খরচে বাফেমেনুও। সে মেনুতে থাকছে ল্যাম্ব ট্রটার্স সুপ, চিকেন মিনি ব্রেস্ট কাটলেট, চিকেন স্ট্রগানফ, সাওয়ার ক্রিম সস দিয়ে গ্রিল্ড প্রন। মুখ মিস্টি করার জন্য থাকবে প্লাম কেক, ক্যারামেল কাস্টার্ড এবং ব্রাউনি সহযোগে ভ্যানিলা আইস্ক্রিম। তবে এই স্পেশ্যাল বাফে শুধুই তিনটি স্পেশ্যাল দিনের জন্য, ২৪ এবং ২৫ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি।
তবে এই চ্যাপ্টার টু-তে খেতে আসার সব থেকে বড় মজার বিষয়টি হল লাইভ মিউজিক। পছন্দসই গান শুনতে শুনতে পছন্দের খাবার চেখে নেওয়ার মজাটাই যে আলাদা।
লাইভ মিউজিকের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া চ্যাপ্টার টু-তে।—নিজস্ব চিত্র।
আরও পড়ুন: খাস চিন থেকে আসে মশলাপাতি, তার পর চাপে ‘চাউম্যান’-এর রান্না
আর রেস্তরাঁয় লাইভ মিউজিক ফিরিয়ে আনার ইচ্ছে থেকে জন্ম চ্যাপ্টার টু-এর। ডেকোরেশন,অ্যামবিয়ন্স এমনকি খাবারেও একটা অ্যাংলো ইন্ডিয়ান ছোঁয়া রাখতেই চ্যাপ্টার টু- এর ভাবনা। রেস্তরাঁর দুই কর্ণধার শিলাদিত্য এবং দেবাদিত্য চৌধুরির কথায়,‘‘লাইভ মিউজিকের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া, ৬০,৭০,৮০ সালের পার্কস্ট্রিটের সেই লেগাসিই আমরা ফিরিয়ে আনতে চেয়েছি। হোক সে রোস্ট চিকেন বা রোস্ট টার্কি, খাদ্যরসিক মানুষজন যাতে এখানে এসে রাজকীয় খানাপিনা ক রতে পারেন, সে দিকে আমরা সব সময়েই নজর রাখি। আর লাইভ মিউজিক তো উৎসবের এই মরসুমকে আরও জমিয়ে দেবে।’’