স্মুদি খেলেই ঘন হবে চুল? কী ভাবে তৈরি করবেন সেটি? ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
চুল ঝরার সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। শুধু যে অযত্নই তার কারণ, এমন নয়। হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে, সঠিক পুষ্টির অভাবে, ক্ষতিকর রাসায়নিক সমৃদ্ধ প্রসাধনীর ব্যবহারে বা জেনেটিক কারণেও চুল পড়ে।
সমস্যার সমাধানে প্রথমেই সকলে চুলের যত্নে নজর দেন। বদলে ফেলেন প্রসাধনী বা বিভিন্ন ব্যবহার করেন। শুধু পরিচর্যাই যথেষ্ট নয়, বলছেন ছত্তিসগঢ়ের পুষ্টিবিদ খুশি ছাবড়া। নিজের সমাজমাধ্যমে মাঝেমধ্যে সুস্থ থাকার নানা রকম পরামর্শ দেন তিনি। খুশি জানাচ্ছেন এমন এক স্মুদির কথা, যা পুষ্টিগুণে ভরপুর। চুল পড়ার নেপথ্যে যে সমস্ত ভিটামিন, খনিজের অভাব হতে পারে, তার সবটাই পূরণ হবে এই বিশেষ স্মুদি খেলে।
১৫ দিন টানা সেই স্মুদি খেলেই, ধীরে ধীরে হাল ফিরবে চুলের, বলছেন পুষ্টিবিদ। খুশি জানিয়েছেন, সুস্থ থাকতে এই স্মুদি নিয়মিত খান তিনি। সেই প্রণালী ভাগ করে নিয়েছেন বাকিদের সঙ্গেও। শুধু চুল নয়, প্রোটিন নির্ভর স্মুদির গুণে পেশিও সবল হবে, শরীর পাবে প্রয়োজনীয় পুষ্টি।
উপকরণ
১ টেবিল চামচ কাঠবাদামের মাখন: ভিটামিন ই
সামান্য একটু হালিম বা আলাইভ বীজ (আলাইভ গাছের বীজ): আয়রন এবং ফোলেটের ঘাটতি পূরণ করবে
১ টেবিল চামচ কুমড়োর বীজ: জ়িঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম
১ টেবিল চামচ কালো তিলের বীজ: কপার, বি কমপ্লেক্স
১ স্কুপ প্রোটিন পাউডার: অ্যামাইনো অ্যাসিড
কাঠবাদামের মাখন: ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিডের অন্যতম উৎস কাঠবাদামের মাখন। চুলের ডগা ভেঙে যাওয়া, রুক্ষ ভাব দূর করতে সাহায্য করবে এই মাখন। চিনেবাদামেরও মাখন হয়, তবে কাঠবাদামের মাখন চুলের জন্য অন্য ভাবে কাজ করে, বলছেন পুষ্টিবিদ।
আলাইভ বীজ: আলাইভ এক ধরনের গাছ। এই গাছের বীজ ভেষজ ওষুধ হিসাবে ব্যবহার হয়। ফেরিটিনের মাত্রা ঠিক রাখতে বীজটি সাহায্য করে। ফেরিটিন হল এক এক ধরনের প্রোটিন, যা আয়রন সঞ্চয়ে এবং রক্তে মেশাতে সাহায্য করে। প্রোটিনের মাত্রা কমলে আয়রনের ঘাটতি হতে পারে। হালিম বা আলাইভ বীজ, মাথার ত্বকে, চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। বিশেষত চুল পাতলা হলে, এই বীজ উপকারী। কিন্তু খেতে হবে খুব অল্প পরিমাণে, না হলে হজমে সমস্যা হতে পারে।
কুমড়োর বীজ: জ়িঙ্কের অভাব হলেও চুল ঝরতে পারে। কুমড়োর বীজ অনিদ্রা দূর করতে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং চুল ঝরা রোধে সহায়ক। জ়িঙ্ক ছাড়াও এতে রয়েছে বায়োটিন এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। চুলের স্বাস্থ্যরক্ষায় যা অত্যন্ত কার্যকর।
কালো তিল: কালো তিলে মেলে ক্যালশিয়াম। রয়েছে কপারও। চুলের অকালপক্বতা দূর করতে কপারের মতো খনিজ জরুরি। চুল মজবুত করতে, মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে।
স্মুদি তৈরির পদ্ধতি
নির্দিষ্ট পরিমাণ বীজ অল্প জলে ভিজিয়ে রাখুন। তার পর মিক্সারে সেগুলি দিয়ে ঘুরিয়ে নিন। জল যোগ করুন। দিয়ে দিন প্রোটিন পাউডার। একেবারে শেষ ধাপে কাঠবাদামের মাখন মিশিয়ে তা গুলে নিন। প্রাতরাশে এই স্মুদি এক গ্লাস করে খেলেই ধীরে ধীরে চুলের হাল ফিরবে।