থিয়েটার একটা সাংগঠনিক প্রক্রিয়া। থিয়েটার করতে গেলে সংগঠন লাগে। যিনি শৈল্পিক কারণে এই সংগঠনের কেন্দ্রে থাকেন সংগঠন সম্পর্কে তাঁর ধারণা থাকতেই হয়। শম্ভু মিত্র যখন দেখলেন যে, আইপিটিএ-তে থাকা যাচ্ছে না, প্রগতি শিবিরের সঙ্গে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তখন ভাসতে ভাসতে, ধাক্কা খেতে খেতে, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যের অনুপ্রেরণায় ‘বহুরূপী’ গড়ে তুললেন। সেটা ১৯৪৮ সাল। এই গড়ার কাজে তাঁর পাশে যাঁরা ছিলেন, সেই অমর গঙ্গোপাধ্যায়, কুমার রায়, মহম্মদ জাকারিয়ারা তখন নব্য যুবক। ফলে থিয়েটারকে উপলক্ষ করে এবং শম্ভু মিত্রকে কেন্দ্র করে যে সংগঠনটি তৈরি হল, সেখানে সকলে ভাল থিয়েটারের অনুসন্ধানে ব্রতী হলেন।
তাঁরা সবাই শম্ভু মিত্রের দর্শনে বিশ্বাসী ছিলেন। আমাদের ‘নান্দীকার’ হওয়ার পর যাঁরা দলে এসেছিলেন, তাঁরা অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় থিয়েটার বলতে কী বোঝেন, কোন থিয়েটার করতে চান, তার আকর্ষণে আসেননি। তাঁদের মনে হয়েছিল ‘নান্দীকার’ খুব সিরিয়াসলি থিয়েটার করে। তাই এসেছিলেন। ‘বহুরূপী’র বেলায় তা হয়নি। ভাল থিয়েটারের অনুসন্ধান, তার জন্য সংগঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা বুঝেই তাঁরা দলে এসেছিলেন। কোনও বড় আনন্দ পাওয়ার জন্য যে অনেক তাৎক্ষণিক আনন্দকে ছাড়তে হয়, এই বোধ তাঁদের ছিল। ছিল ‘বহুরূপী’র প্রবাদপ্রতিম শৃঙ্খলাও। আর এর সঙ্গে জুড়ে গিয়েছিল প্রত্যেক কথায় এবং কাজে শম্ভু মিত্রের নিজস্ব উৎকর্ষের মান। ‘বহুরূপী’র প্রত্যেক নবীন শিক্ষার্থীকে যে শ্রমসাধ্য সাধনার পথ পেরোতে হত তা আমাদের কাছে কিংবদন্তির পর্যায়ে পৌঁছেছিল। এ সব মিলিয়েই ‘বহুরূপী’ ওই রকম একটা জায়গায় পৌঁছতে পেরেছিল।
মজার ব্যাপার, যাঁরা পাইওনিয়ার হন, তাঁরা বুঝতে পারেন যে ভাবী কাল কোন পথে যাবে। সাংসারিক অসুবিধা বা খিদের সমস্যার বাইরে গিয়ে থিয়েটার যে আভাঁগার্দে হতে পারে, ওয়ে অফ লাইফ হতে পারে, সেটা শম্ভুদার আগে আমাদের দেশে কেউ ধরতেই পারেননি। তাঁর আগে যাঁরা আমাদের থিয়েটারের মাথা ছিলেন তাঁরাও গুণিজন, কিন্তু খানিকটা অগোছালো। তাঁদের মধ্যে একটা নেটিভ ইন্টেলিজেন্স ছিল। অ্যাক্টিং জানতেন। কিন্তু, নাটক পড়ে ছিল আবেগসর্বস্ব মান্ধাতার আমলে। শম্ভুদার থিয়েটারের মধ্যে বুদ্ধিদীপ্তি, সমাজ সচেতনতা, শিল্পগুণ— এই তিনের সবটা ফলিত ভাবে এল।
শম্ভুদা কোনও দিন ‘বহুরূপী’র সভাপতি বা সম্পাদক হতে চাননি। বুঝেছিলেন যে, ‘অফিস হোল্ড করে আমি তো সত্যি নেতা হতে পারব না। ওটা তো একটা ভোটে বদলে যায়। আমার যদি কোনও গুণ থাকে সেটাকে এর জন্য নষ্ট করতে পারব না।’ সংগঠক হিসেবে যাঁরা ওঁর পাশে পাশে ছিলেন, তাঁরাই শম্ভুদার মন বুঝে দলের কাজগুলো করে যেতেন। কিন্তু সব কিছুর পেছনে ওঁর একটা উপস্থিতি টের পাওয়া যেত।
ওঁর সঙ্গে কোনও দিন এই কথাগুলো হয়নি। যা কথা হয়েছে তার ‘রিডিং বিটউইন দ্য সেনটেন্সেস’ করে এই ভাবনাগুলো মনে আসছে।
মনে হয়, শম্ভুদা খুব ভেবেচিন্তেই আর্ট এবং অর্গানাইজেশনকে পাশাপাশি নিয়ে এগোতে পারতেন। তিনি মোটেই কাছাখোলা ধরনের ভিশনারি ছিলেন না। বাদল সরকারের ‘বাকি ইতিহাস’ যখন করলেন, তখন তিনি পার্ট করলেন না। কুমার রায়, তৃপ্তি মিত্র এবং অমর গঙ্গোপাধ্যায় পার্ট করলেন। ডিরেকশন দিলেন শম্ভুদা। একটা মাইলস্টোন প্রোডাকশন হল। সাতের দশকের গোড়ায় দেখলাম, তারাপদ মুখোপাধ্যায়কে দিয়ে নীতীশ সেনের ‘বর্বর বাঁশি’ ডিরেকশন দেওয়াচ্ছেন। বাদল সরকারের ‘ত্রিংশ শতাব্দী’ ডিরেকশন দিলেন হিমাংশু চট্টোপাধ্যায়। এই সব কিছুর পেছনে একটা মাস্টারপ্ল্যান কাজ করছিল। শম্ভুদা চাইছেন যে, তাজা ছেলেমেয়েরা ‘বহুরূপী’র দায়িত্ব নিক। ‘বহুরূপী’র নাটকে একটা টাটকা আমেজ আসুক। রকমারি কাজ হোক। এটা উনি পাঁচের দশক থেকেই শুরু করে দিয়েছিলেন। আমাদের সব সময় বলতেন যে, ভাল থিয়েটার যদি করতে না পারি তো করব না, কিন্তু ভদ্রলোক হয়ে তো থাকতে পারি! অর্থাৎ থিয়েটার যারা করবে, তারা যেন অশিক্ষিত না হয়, আড়বুঝো না হয়। তারা যেন যুক্তিবাদী হয় এবং নিজেদের জন্য উঁচু একটা লক্ষ্যমাত্রা রাখতে পারে।
খুব কঠোর মানুষ ছিলেন। আবার এ-ও দেখেছি যে, সাধারণত উনি দুর্বলের পক্ষ নিতেন। হয়তো এক জন কিছু একটা সহজ জিনিস বুঝতে পারছে না। উনি হয়তো ভাবলেন, কেন ও বোঝে না? এত দিন ধরে কাজ করছে, ওই কাজগুলো তো বেশ করে। তবে এটা কেন বুঝতে পারছে না? তা ছাড়া, ওকে বোঝানোর দায়িত্ব তো দলের আর সকলের ছিল! এই ভাবে গোটা দলকে তো বটেই, নিজেকেও প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিলেন।
বরাবরই ওঁর মধ্যে উৎকর্ষের চরমসীমায় পৌঁছনোর একটা সাধনা দেখেছি। থিয়েটার ছিল তার মাধ্যম। রবীন্দ্রনাথের মতোই সব কিছু খুব সুচারু, সুন্দর ভাবে করতে চাইতেন। খাঁটি বাঙালি ছিলেন। এমনিতে কোনও বিলাসিতা ছিল না। কিন্তু, অনেক জোড়া জুতো ছিল তাঁর। আর মাঝে মাঝে হাল্কা একটা পারফিউম লাগাতেন। মানে, মোটেই পাগলা দাশু টাইপের আর্টিস্ট বলা যেত না তাঁকে।
তিনি যে কতখানি ভদ্রলোক ছিলেন সেটা এ বার বলি। আমাদের নান্দীকারের ঘরে ‘গালিলেওর জীবন’-এর রিহার্সাল হচ্ছে। “রুদ্র, তোমার সঙ্গে একটু কথা আছে” বলে আমাকে পাশের ঘরে নিয়ে গেলেন। গিয়ে প্রোডাকশন ডিজাইন নিয়ে দু’টো কথা বললেন। আমি বললাম, “আর কিছু বলবেন?” উনি বললেন, “না, এটার জন্যই তোমাকে ডাকলাম।” আমি বললাম, “এটা তো আপনি ওখানেই বলতে পারতেন!” উনি কিছু বললেন না, হাসলেন। অর্থাৎ উনি যে কিছু পরামর্শ দিচ্ছেন, সেটা পাঁচ কান হয়ে নানা রকম কথা উঠুক, উনি তা চাইলেন না। এই মাত্রাবোধ, এই মর্যাদাবোধ অত্যন্ত বিরল।
মুখোমুখি: রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত এবং শম্ভু মিত্র।
চরম সঙ্কটের মুহূর্তেও এই বোধ থেকে তাঁকে টলে যেতে দেখিনি। হিমাংশু চট্টোপাধ্যায় যখন ‘বহুরূপী’ ছেড়ে থাকতে এলেন ‘নান্দীকার’-এ, অজিতেশ এবং আমার সঙ্গে তিনি কথা বলতে এলেন। তখন আমি বলেছিলাম, ‘‘না, এটা হবে না। এক দল থেকে আর একটা দলে আসতে গেলে আগের দলের অনুমতি নিয়ে তবেই আসতে হবে।’’ ঠিক হল যে, আমরাই গিয়ে শম্ভুদাকে ব্যাপারটা বলব। একগোছা ফুল নিয়ে এক দিন আমি আর অজিতেশ গেলাম ১১এ নাসিরউদ্দিন রোডের সেই বাড়িতে। গিয়ে দেখি, বাইরের ঘরের ইজিচেয়ারটায় হেলান দিয়ে শম্ভুদা বসে আছেন। তৃপ্তিদি পাশে বসে। চোখে অপারেশন হয়েছে, কালো চশমা পরে আছেন শম্ভুদা। সবে পদ্মভূষণ পেয়েছেন, মেজাজটা ভাল আছে। ফুল পেয়ে তো খুব খুশি। আমি বললাম, “শম্ভুদা একটা কথা আছে।’’ ‘‘হ্যাঁ, বলো!’’ “হিমাংশু তো আমাদের দলে আসতে চাইছে!’’ এক মুহূর্তে মুখটা ছাই হয়ে গেল। শুধু বললেন, ‘‘ওহ!’’ তার পর অনেক ক্ষণ নিস্তব্ধতা। শেষে বললেন, ‘‘হিমাংশু বলছে? বেশ।’’ আমাদের মনে হল যে, একটা বাচ্চা ছেলেকে ধরে মারলাম যেন! বেরোতে যাব, সিঁড়ির ল্যান্ডিংটার সামনে তৃপ্তিদি বললেন, ‘‘ওঁকে আজকের দিনে এটা বলার কি খুব দরকার ছিল?’’ বকুনি খাওয়া বালকের মতো আমরা বিদায় নিলাম। কাউকে কোনও দিন বলিনি, কিন্তু, সে দিন ওই কালো চশমার আড়াল থেকেও ওঁর চোখের কোলে হয়তো বা একটু জল দেখেছিলাম।
থিয়েটারকে কোনও দিন সময়ের থেকে আলাদা করে ভাবেননি শম্ভুদা। থিয়েটারকে সোসাইটির সিসমোগ্রাফার হিসেবে ভেবেছেন। কোন সময় উনি ‘অন্ধকারের নাটক’ নাম দিয়ে ‘রাজা’ আর ‘রাজা অয়দিপাউস’ করছেন? ১৯৬৪ সালে। চিনের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। পাকিস্তান সীমান্তে অশান্তি চলছে। আর চার-পাঁচ বছরের মধ্যে ভারতের অনেকগুলো রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতা হারাতে চলেছে। নকশাল আন্দোলনের বীজতলা তৈরি হয়ে আছে। শম্ভুদা ঠিক চিনেছিলেন অন্ধকারকে। এক বার উনি লিখেছিলেন যে, এই মুহূর্তে ভাবী কালের কাছে থিয়েটারের কোনও স্বীকৃতি নেই, কিন্তু কখনও কখনও আগামী দিনের পরিবর্তনের ‘গুরু গুরু’ ধ্বনি কোথাও মাটির তলায় বাজে, আমরা সেটা শুনতে পাই। অর্থাৎ থিয়েটার যে শুধুই এন্টারটেনমেন্ট নয়, থিয়েটার যে সমাজ, রাজনীতি, সময়, ব্যক্তি ও ইতিহাস সচেতন, এই বোধটা তাঁর মধ্যে সব সময় কাজ করেছে। ‘বর্বর বাঁশি’তে যখন অ্যাংরি ইয়াংম্যানকে দেখছি, তখন নকশালবাড়িতে আগুন জ্বলছে। শম্ভুদা বার বারই সময়কে ধরতে চেয়েছেন, ধরতে পেরেওছেন তাঁর নাটকে। কিন্তু, তিনি জানতেন, ‘প্রোপাগান্ডিস্ট থিয়েটার ইজ ব্যাড আর্ট, হোয়ারঅ্যাজ আর্ট ইজ অলওয়েজ প্রোপাগান্ডিস্ট।’ সেই জন্যই প্রোপাগান্ডিস্ট থিয়েটার থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখে শম্ভুদা চেয়েছেন থিয়েটারকে একটা স্বতন্ত্র মর্যাদা দিতে।
‘দশচক্র’
‘চার অধ্যায়’
ইবসেনের ‘এনিমি অফ দ্য পিপল’ থেকে ‘দশচক্র’ নাটকটা উনি বার বার করেছেন। তলিয়ে দেখলে আমার তো মনে হয় উনি নিজেই এক জন ডক্টর স্টকম্যান। স্টকম্যান বুঝেছিলেন যে, চার পাশে যেটা হচ্ছে সেটা ভুল হচ্ছে। তিনি বলেছিলেন, ‘স্ট্রংগেস্ট ইজ হি হু ইজ দ্য লোনলিয়েস্ট’। শম্ভুদার জীবনচর্যা আর বোধের মধ্যে এই কথাটা সবচেয়ে বেশি করে ছিল। চাঁদ সওদাগরের মধ্যেও ছিল। অসম্ভব সাহসী ছিলেন শম্ভুদা। নকশাল আন্দোলনের তুমুল সময়ে উনি ‘চার অধ্যায়’ নতুন করে করলেন। বুঝিয়ে দিলেন, সময় তৈরি নয়, দেশ তৈরি নয়। এই অবস্থায় আন্দোলনটা কিছু উগ্রপন্থী আর দুর্বৃত্তের হাতে চলে যাবেই, সাফল্য আসবে না। ট্রামের ভাড়া এক পয়সা বেড়েছে বলে পরের পর ট্রাম পুড়িয়ে দেওয়ার রাজনীতিতে ওঁর কোনও আস্থা ছিল না। উনি বুঝতেন যে, ওটা হচ্ছে প্রতিবাদের সহজ রাস্তা। ওতে বিপ্লব আসবে না। থিয়েটারের দায় আছে সত্যি কথা বলার। এই ব্রত থেকে তিনি কখনও সরে আসেননি।
অনেকের মধ্যে এই প্রশ্নটা আসতে পারে যে, ‘বহুরূপী’তে থাকা সত্ত্বেও শম্ভুদা কেন নাটমঞ্চ প্রতিষ্ঠা সমিতি তৈরি করেছিলেন? আমি নিজের মতো এর একটা উত্তর দিতে পারি। ওঁর মনে হয়েছিল যে, ‘বহুরূপী’র একটা ধাঁচা আছে, তার একটা চাহিদাও আছে। কিন্তু ‘বহুরূপী’তে ওঁর যা করার ছিল সেটা করা হয়ে গিয়েছে। আধুনিক অভিনয় করার ধারা তৈরি করা থেকে শুরু করে প্রমাণ করা গিয়েছে রবীন্দ্রনাথের নাটককেও সফল ভাবে মঞ্চায়িত করা যায়। সুযোগ দেওয়া যায় বাদল সরকার বা নীতীশ সেনের মতো নতুন নাট্যকারকে। অন্যান্য ভাষার নাটক অনুবাদ করে বাংলায় করা যায়। সব করে ফেলেছেন। ‘আমার’ কাজ শেষ, দেখা যাক ‘আমরা’ কী করতে পারি! এ বার এমন একটা মঞ্চ তৈরি করতে হবে, যেখানে প্রতিষ্ঠিত নির্দেশক ও অভিনেতারা নিজেদের দলের বাইরে আরও বড় করে, আরও বড় মাপের কাজ করতে পারবেন। এটা করতে পারলে বাংলা থিয়েটার আরও উঁচু একটা জায়গায় চলে যাবে। পাশাপাশি, সারা ভারতের থিয়েটারের সঙ্গে একটা সংযোগকেন্দ্র তৈরি হবে। এই বড় মাপের মানুষদের পাশাপাশি শিক্ষানবিশ হিসেবে আরও অনেক কমবয়সী, কিন্তু প্রতিভাবান ছেলেমেয়েকে নেওয়া হবে। তাঁরা থিয়েটারকে পেশা করবেন।
কিন্তু কিছুই করা গেল না। আমরা নিজেদের মধ্যে অনেক গোলমাল করলাম, রাজ্য সরকারও চালাকি করল। এই প্রসঙ্গে বিশদ ভাবে জানার দায় থিয়েটারের ভাল ছাত্রের আছে। কিন্তু সে প্রসঙ্গ স্বতন্ত্র। অথচ, তাঁর স্বপ্ন সত্যি হলে বাংলার তো বটেই, ভারতের থিয়েটারেও একটা বিপ্লব আসতে পারত। হয়তো প্রাসঙ্গিক নয়, তবু খুব জানতে ইচ্ছে করে, আজকের দিনে বেঁচে থাকলে শম্ভুদা কেমন করে থিয়েটারটা করতেন?
আনন্দবাজার আর্কাইভ এবং ‘বহুরূপী’র সৌজন্যে পাওয়া ছবি।