আর মাত্র দু’বছরের অপেক্ষা।
পর্দা উঠল বলে।
কেননা হাজির হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম টেলিস্কোপ। ভাবা অ্যাটোমিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বার্ক)-এর বিজ্ঞানীদের তত্ত্বাবধানে ২০১৭ সালে বিশ্বের বৃহত্তম টেলিস্কোপের প্রকাশ ঘটবে। শুক্রবার কলকাতায় সে কথাই জানিয়েছেন বার্কে’র অধিকর্তা শেখর বসু।
সূত্রের খবর, মেজর অ্যাটমোস্ফিয়ারিক চেরেনকভ এক্সপেরিমেন্ট পদ্ধতিতে কাজ করবে এই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি টেলিস্কোপটি। হায়দরাবাদের সংস্থা ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার সহায়তায় চলছে এই টেলিস্কোপ নির্মাণের দক্ষযজ্ঞ।
কিন্তু কোথায় বসানো হবে টেলিস্কোপটি?
পরমাণু বিজ্ঞানী বসু জানিয়েছেন, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে ৪ হাজার মিটার উঁচুতে লাদাখের প্রত্যন্ত অঞ্চল হানলে গ্রামে বসানো হবে টেলিস্কোপটিকে। এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে শীতে তাপমাত্রা পৌঁছে যায় হিমাঙ্কের ৪০ ডিগ্রি নীচে, সেখানে কী ভাবে কাজ করবে টেলিস্কোপটি?
বার্ক সূত্রে খবর, সশরীরে উপস্থিত না থেকে মুম্বইয়ে বার্কের সদর দফতর থেকে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে বিজ্ঞানীরা চালিত করবেন টেলিস্কোপটিকে। ২০১৭ সাল থেকে কাজ শুরু করলে এটিই হবে উত্তর গোলার্ধের সর্ববৃহৎ গামা রে টেলিস্কোপ। ১৪ হাজার কোটি পূর্বে সৌর মণ্ডল কী রকম ছিল তা বিশ্লেষণ করবে ৪৫ মিটার ব্যাসের এই টেলিস্কোপটি। চেরেনকভ বিকিরণ থেকে বিচ্ছুরিত কণা বিশ্লেষণ করে বোঝা যাবে সৌররহস্য।