আরও নিখুঁত নিশানায় ভারতের ‘ব্রহ্ম’ অস্ত্র

নিখুঁত ভাবে শত্রুপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিতে আরও শক্তি বাড়িয়ে হাজির হল ‘ব্রহ্ম’। ভারতীয় নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে এই সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে আইএনএস কোচি-র সঙ্গে। নৌবাহিনীর সদ্যোজাত এই যুদ্ধজাহাজটি গত ৩০ সেপ্টেম্বর আত্মপ্রকাশ করে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৫ ১৬:৪৪
Share:

নিখুঁত ভাবে শত্রুপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিতে আরও শক্তি বাড়িয়ে হাজির হল ‘ব্রহ্ম’। ভারতীয় নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে এই সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে আইএনএস কোচি-র সঙ্গে। নৌবাহিনীর সদ্যোজাত এই যুদ্ধজাহাজটি গত ৩০ সেপ্টেম্বর আত্মপ্রকাশ করে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যাধুনিক মানের ৭৫ হাজার টনের এই যুদ্ধজাহাজ থেকেই রবিবার পরীক্ষামূলক সফল উৎক্ষেপণ করা হয় ব্রহ্ম-র। এটি ব্রহ্ম-র ৪৯তম সফল উৎক্ষেপণ। এর আগে ২০১৪-র জানুয়ারি এবং এ বছরের ফেব্রুয়ারিতেও ব্রহ্ম-র সফল উৎক্ষেপণ করা হয়। কিন্তু, এ বার ব্রহ্মকে আরও নতুন ভাবে সাজিয়ে তুলে নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হল। বিমানবাহিনীর সঙ্গে সঙ্গে শত্রুকে কড়া টক্কর দিতে নৌবাহিনীও যে প্রস্তুত এ দিন তা এক বার প্রমাণ করে দেখাল ভারত।

Advertisement

ব্রহ্ম একটি স্বল্প মাত্রার সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। ভূমি, জল ও বিমান থেকে এই মারণাস্ত্রটি প্রয়োগ করা যায়। রাশিয়ান সংস্থা ও ডিআরডিও-র যৌথ উদ্যোগে এই মিসাইলটি তৈরি করা হয়। ব্রহ্মপুত্র এবং মস্কোভা নদীর নামের সংযুক্তিতে নাম দেওয়া হয় ব্রহ্ম। এটি বিশ্বের দ্রুতগামী ক্রুজ মিসাইল। গতিবেগ ম্যাক ২.৮-৩.০। দৈর্ঘ্য ৮.৪ মিটার। ২০০১-এ ওড়িশার চাঁদিপুর থেকে এর পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়। এর পর ২০০৪-এ ১৪ জুন মোবাইল লঞ্চারের মাধ্যমে ফের উৎক্ষেপণ করা হয়। ২০০৮-এ আইএনএস রণবীর-কে ব্রহ্ম ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত করা হয়। এর পর ভারতীয় সেনাবাহিনীতেও এর অন্তর্ভুক্তি হয়। ২০২১০-এও এর সফল উৎক্ষেপণ হয়।

টোমাহক মিসাইল থেকেও গতিশীল এই মিসাইলের লক্ষ্যভেদও নিখুঁত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement