চোরাশিকারি ধরতে জঙ্গলে পুলিশি টহল
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার
চোরাশিকারিদের রুখতে এ বার বনকর্মীদের সঙ্গে পুলিশকে জঙ্গলে টহলদারিতে নামানোর চিন্তাভাবনা শুরু করলেন বনকর্তারা। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে একের পর এক হাতিকে গুলি করে দাঁত কেটে নেওয়ার ঘটনায় জঙ্গলে টহলদারির বাস্তব চিত্র সামনে আসায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পরেছে বনকর্তাদের। রাজ্যের শীর্ষ বনকর্তারা ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু করেছেন। শনিবার বক্সা জঙ্গলে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন সিসিএফ কল্যাণ দাস ও সিএফ রাজীব শর্মা। গত এক মাসে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে চোরাশিকারিরা গুলি করে তিনটি দাঁতাল হাতিকে মেরেছে। তার মধ্যে দু’টি হাতির দাঁত কেটে ভুটানে পাচার করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। এর আগেও জলদাপাড়া জঙ্গলে গুলি করে গন্ডার মেরে খড়গ কেটে নিয়েছে চোরাশিকারীরা। প্রতিটি ক্ষেত্রেই জঙ্গল টহলদারির গফিলতি সামনে এসেছে। চোরাশিকারিদের ধরতে ও জঙ্গল টহলদারি বাড়াতে শীর্ষ বনকর্তার ইতিমধ্যে পদস্থ পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল বন্যপ্রাণ আজম জাইদি বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অতিরিক্ত প্রধান মুখ্য বনপাল প্রদীপ ব্যাস ঘটনার তদন্ত করছেন। আরও দু’জন শীর্ষ বনকর্তা বক্সায় রয়েছেন। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জঙ্গলে চিরুনি তল্লাশির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চোরাশিকারির বিষয় নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি জেএমপি রেড্ডির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে।”
হরিণ বাঁচাল বন দফতর
নিজস্ব সংবাদদাতা • শামুকতলা
গ্রামে ঢুকে পড়া একটি হরিণকে পিটিয়ে মেরে ভোজ খাওয়ার মতলব রুখে দিল বন দফতর। শনিবার সকালে বক্সা ব্যঘ্র প্রকল্পের (পূর্ব) ভল্কা রেঞ্জের জঙ্গল লাগোয়া কুমারগ্রামের ঘটনা। জখম হরিণের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পথ ভুলে হরিণটি এ দিন সকালে ভল্কা জঙ্গল থেকে রায়ডাক নদী লাগোয়া এলাকায় ঢুকে পড়ে। ওই সময় একদল গ্রামবাসী লাঠি নিয়ে তাকে ধাওয়া করে। খবর পেয়ে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে যান।
পরিবেশ সম্পর্কে
২০১০ সালে সরকার পরিবেশ সম্পর্কিত যে বিধিনিষেধ তৈরি করেছিল তা অগ্রাহ্য করেই নয়াদিল্লির আশপাশে বহু নির্মাণকাজ চলছে। শনিবার সেগুলি অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দিল জাতীয় পরিবেশ আদালত।
কলকাতার চিড়িয়াখানায় রণজিৎ নন্দীর তোলা ছবি।