টুকরো খবর

একটি কম বয়েসি হাতির অস্বাভাবিক মৃত্যু হল বড়জোড়ায়। রবিবার সকালে বড়জোড়া রেঞ্জের গদারডিহি বিটের দধিমুখা গ্রামের ঘটনা। এ দিন সকালে হাতিটিকে গ্রামের একটি ধান জমিতে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে গ্রামবাসী। খবর পেয়ে বনদফতরের আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে যান। বড়জোড়া রেঞ্জের আধিকারিক মোহন শীট জানান, মৃত পুরুষ হাতিটির বয়স ১২ বছর।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৫ ০২:৩৩
Share:

হাতির মৃত্যুতে ধোঁয়াশা
নিজস্ব সংবাদদাতা • বড়জোড়া

Advertisement

একটি কম বয়েসি হাতির অস্বাভাবিক মৃত্যু হল বড়জোড়ায়। রবিবার সকালে বড়জোড়া রেঞ্জের গদারডিহি বিটের দধিমুখা গ্রামের ঘটনা। এ দিন সকালে হাতিটিকে গ্রামের একটি ধান জমিতে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে গ্রামবাসী। খবর পেয়ে বনদফতরের আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে যান। বড়জোড়া রেঞ্জের আধিকারিক মোহন শীট জানান, মৃত পুরুষ হাতিটির বয়স ১২ বছর। সদ্য ১৭টি হাতির দলমার দলটি বড়জোড়া রেঞ্জে ঢুকেছে। মৃত হাতিটি ওই দলেরই সদস্য বলে জানাচ্ছেন বন দফতরের কর্মীরা। তবে হাতিটির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। ধানজমিতে যেখানে হাতিটির দেহ উদ্ধার হয় তার আশেপাশেই কিছু ছেঁড়া বিদ্যুতের তার পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। যা দেখে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েও হাতিটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান বনদফতরের। মোহনবাবু বলেন, “হাতিটির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার আগে বলা যাবে না। তবে মৃত হাতির পাশে ইলেট্রিকের ছেঁড়া তার পড়ে ছিল। যা থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই হাতিটির মৃত্যু হয়েছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” গত বছরেরও বিভিন্ন সময়ে বড়জোড়া রেঞ্জ এলাকায় কয়েকটি হাতির মৃত্যু হয়।

Advertisement

ফের হাতির হানা

দিন দশেক টানা তাণ্ডব চালিয়ে শুক্রবার মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থেকে বীরভূমে ফিরেছিল বুনো হাতিটি। প্রথমে দু’টি ও পরে সদ্য চলে যাওয়া দাঁতালটিকে নিয়ে নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল বন দফতরের। হুলাপার্টির তাড়ায় শনিবার হাতিটি ফেরায় হাঁফ ছেড়েছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দারাও। কিন্তু, দু’দিন যেতে না যেতেই ফের একটি হাতি হানা দিল সুতিতে। শনিবার সাতসকালে দাঁতালটি বীরভূমের জাজিগ্রাম হয়ে ঢোকে সুতির রাতুরি গ্রামে। ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ দাঁতালটি হাজির হয় নবিউল শেখের বাড়িতে। বিকট ডাক শুনে দরজা খুলতেই নবিউল দেখেন উঠোনে হাতি! তাঁর কথায়, ‘‘একেবারে ভিড়মি খাবার অবস্থা! কী করব ভেবে পাচ্ছিলাম না। কোনও রকমে দরজায় খিল তুলে ঘরেই ছিলাম। কপাল ভাল রক্ষা পেয়েছি।’’ রঘুনাথগঞ্জের রেঞ্জার বাবুকুমার রবিদাস জানান, রবিবার সন্ধ্যে পর্যন্ত দাঁতালটি সুতিতেই রয়েছে। বনকর্মীরাও রয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement