টুকরো খবর

উচ্চতা প্রায় ১০ ইঞ্চি। চওড়ায় দু’ফুটেরও বেশি। এমনই গোলাকার ছত্রাক দেখতে সকাল-সন্ধ্যা ভিড় জমেছে পুঞ্চার জেলেপাড়ায় অশ্বত্থ গাছের তলায়। সেখানেই অশ্বত্থ গাছের নীচে ওই বড় আকারের ছত্রাকটি রয়েছে। তা দেখতে কৌতুহলীদের ভিড় জমছে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৫ ০২:৪৩
Share:

ছত্রাক দেখতে ভিড়
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুঞ্চা

Advertisement

উচ্চতা প্রায় ১০ ইঞ্চি। চওড়ায় দু’ফুটেরও বেশি। এমনই গোলাকার ছত্রাক দেখতে সকাল-সন্ধ্যা ভিড় জমেছে পুঞ্চার জেলেপাড়ায় অশ্বত্থ গাছের তলায়। সেখানেই অশ্বত্থ গাছের নীচে ওই বড় আকারের ছত্রাকটি রয়েছে। তা দেখতে কৌতুহলীদের ভিড় জমছে। স্থানীয় বাসিন্দা মোহন পরামানিক, মোস্তাক শাহ বলেন, ‘‘প্রায় দু’সপ্তাহ আগে গাছতলায় ওই ছত্রাকটি সকলের নজরে আসে। এত বড় ছত্রাক আমরা আগে কখনও দেখিনি।’’ অনেকে আবার অলৌকিক ঘটনা ভেবে পুজোপাঠ শুরু করে দিয়েছেন। প্রণামী বাক্সও রাখা একপাশে। যদিও পুঞ্চার লৌলাড়া রামানন্দ সেন্টিনারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যার প্রাক্তন শিক্ষক মলি ডিকোস্টা বলেন, ‘‘এর মধ্যে অলৌকিক কিছু নেই। এটি এক বিশেষ শ্রেণির ছত্রাক। এই ধরনের দূর্লভ ছত্রাক সংরক্ষণ করা উচিত।’’

Advertisement

অসমে গন্ডার শিকারে গ্রামরক্ষীও
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি

চোরাশিকার রুখতে যাঁদের উপরে বেশি ভরসা করছেন বনমন্ত্রী থেকে বনরক্ষীরা— সেই গ্রামরক্ষী বাহিনীও গন্ডার শিকারে জড়িত! গত কাল গোলাঘাট পুলিশ অভিযান চালিয়ে কাজিরাঙার আশপাশ থেকে ছ’জন সন্দেহভাজন চোরাশিকারীকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের মধ্যে দারিক কর্মকার ডিফলু চা বাগানের গ্রামরক্ষী বাহিনীর সম্পাদক। ধৃতেরা জেরায় জানিয়েছে, দারিকের ঘরে বসেই গন্ডার শিকারের ছক তৈরি করা হয়। হর্ক বাহাদুর মিজার ও পেগু নামে দুই ব্যক্তি নাগাল্যান্ড ও ডিমাপুরের শিকারিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ১০ এপ্রিল ডিমাপুর ও ইম্ফল থেকে আসা দুই শিকারিকে গন্ডারের সন্ধান দেওয়া ও ওরাং জাতীয় উদ্যানের ভিতরে পথ দেখানোর কাজ করে দারিকরা। গন্ডার মারার পরে, অসমের সাহায্যকারীদের ৩৫ লক্ষ টাকা দেয় শিকারিরা। তার মধ্যে ধৃত ছ’জন পায় ১৩ লক্ষ টাকা। দারিক নিয়েছিল আড়াই লক্ষ টাকা। আদালত ধৃতদের দু’দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠায়।

হাতির তাণ্ডব

গাছপালা নষ্ট করে গিয়েছে হাতিরা। সোমবার রাতুড়িয়ায় তোলা নিজস্ব চিত্র।

হাতির দলের তাণ্ডবে রবিবার গভীর রাতে দুর্গাপুরের রাতুড়িয়া এলাকায় বেশকিছু জমিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন রাতে প্রায় ৬টি হাতির একটি দল দামোদর পেরিয়ে রাতুড়িয়া গ্রামে ঢোকে। সেখানে বেশকিছু জমিতে ভুট্টা, কুমড়ো, শসা, ঝিঙে প্রভৃতি ফসল নষ্ট করে হাতির দলটি। স্থানীয় বাসিন্দা নারায়ণ ধাড়া, সুনীল মণ্ডলরা বলেন, ‘‘ফসলের ক্ষতির পাশাপাশি এলাকার অনেক গাছও নষ্ট করেছে হাতির দলটি।’’ বন দফতরের কর্মীরা আসার আগেই হাতির দলটি এলাকা ছাড়ে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দলটির গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে।

চিতাবাঘের দেহ

চা বাগানের ঝোপ থেকে উদ্ধার হল একটি চিতাবাঘের দেহ। সোমবার সকালে ফালাকাটা ব্লকের তাসাটি চা বাগানের ঘটনা। মাথায় আঘাত পেয়ে বাঘটি মারা গিয়েছে বলে ময়নাতদন্তের পরে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। গভীর রাতে বাঘটি রাস্তা পেরোতে গিয়ে গাড়ির ধাক্কায় জখম হয় বলে অনুমান করছেন বন দফতরের কর্তারা। এদিন সকালে পাতা তুলতে গিয়ে ঝোপের মধ্যে চিতাবাঘটিকে শুয়ে থাকতে দেখেন কয়েক জন শ্রমিক। লোকজনের হইচইয়েও সারা না দেওয়ায় চিতাবাঘটি মৃত বুঝতে পেরে খবর দেওয়া হয় বন দফতরের দলগাঁও রেঞ্জে।

সাপ দেখতে ভিড়

কিং কোবরা সাপ দেখতে ভিড় উপচে পড়ল কালচিনি ব্লকের দক্ষিণ লতাবাড়ি ও রাজাভাত খাওয়া এলাকায়। প্রায় ২০ দিন ধরে দক্ষিণ লতাবাড়ি এলাকায় নারায়ণ বরার বাঁশ ঝাড়ে আশ্রয় নিয়েছে একটি মস্ত বড় কিং কোবরা। রাজাভাতখাওয়া চেক পোস্ট লাগোয়া একটি ঝোরাতেও ৬-৭ দিন ধরে একটি কিং কোবরা সাপ দেখা যাচ্ছে। সেখানে গাড়ি থামিয়ে পর্যটক থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা ভিড় জমাচ্ছেন। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডিএফডি অপূর্ব সেন বলেন, “এই সময় কিং কোবরা সাপেদের প্রজননের সময়। তাই খোলা মেলা জয়াগায় চলে আসে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement