টুকরো খবর

শিলিগুড়ির কাছে ব্যাঙডুবি সেনা ছাউনিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেল একটি অন্ত্বঃসত্ত্বা হাতি। খাবারের সন্ধানে সেনা ছাউনির পশু-খাদ্য গোলায় হানা দিয়েছিল সে। বন দফতরের অভিযোগ, সেনাবাহিনীর প্রশস্ত গোয়ালঘরের লাগোয়া ওই পশু-খাদ্য গোলাটি বিদ্যুৎবাহী তার দিয়ে মোড়া। হস্তিনীটি সেই তারের ফাঁক দিয়ে শুঁড় গলিয়ে গো-খাদ্যের সন্ধান করতে গিয়েই বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যায় ওই হস্তিনী।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৪ ০১:৪০
Share:

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতির মৃত্যু

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

শিলিগুড়ির কাছে ব্যাঙডুবি সেনা ছাউনিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেল একটি অন্ত্বঃসত্ত্বা হাতি। খাবারের সন্ধানে সেনা ছাউনির পশু-খাদ্য গোলায় হানা দিয়েছিল সে। বন দফতরের অভিযোগ, সেনাবাহিনীর প্রশস্ত গোয়ালঘরের লাগোয়া ওই পশু-খাদ্য গোলাটি বিদ্যুৎবাহী তার দিয়ে মোড়া। হস্তিনীটি সেই তারের ফাঁক দিয়ে শুঁড় গলিয়ে গো-খাদ্যের সন্ধান করতে গিয়েই বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যায় ওই হস্তিনী। তবে বনকর্মীদের এই সে খবর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি সেনা কর্তৃপক্ষ। ব্যাঙডুবির পদস্থ এক সেনা কর্তা বলেন, “ওই গোলায় বিদ্যুৎবাহী তার রয়েছে ঠিকই, তবে তা হাতির হানা ঠেকাতে নয়। হাতিটি কী করে মারা গেল তা-ও আমাদের জানা নেই।” তবে স্থানীয় একটি প্রকৃতিেপ্রেমী সংগঠনের অভিযোগ, সেনাছাউনির ওই পশু-খাদ্য গোলায় প্রায়ই লেগে থাকে হাতির উৎপাত। তা রুখতেই গোলাটি বিদ্যুতের তার দিয়ে ঘিরে রাখা হয়। রাতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে দেওয়া হয়। তারই শিকার হাতিটি। গ্রামবাসীরা জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকেই হাতিটি ওখানে পড়ে ছিল। কিন্তু সেনাবাহিনীর তরফে বন দফতরে কোনও খবর দেওয়া হয়নি। কেন? উত্তরবঙ্গের এক পদস্থ বন কর্তা বলেন, “সন্দেহ, হাতিটি মারা যাওয়ার পরে দায় এড়াতে সেনা আমাদের খবর দেননি। দেহটিতে পচন ধরতে খবর দেওয়া হয়।” স্থানীয় প্রকৃতিপ্রেমী সংস্থা এনএইচও-র পক্ষে সন্দীপ সরকারের অভিযোগ, “এলিফ্যান্ট করিডর বা হাতিদের চলাচলের পথে কোনও কিছু বিদ্যুৎবাহী তার দিয়ে ঘিরে রাখা বেআইনি। অথচ সেনাবাহিনী তার তোয়াক্কা করে না।”

Advertisement

লোকালয়ের মধ্যেই কাঁটাতারের বেড়া জড়িয়ে দাঁড়াশ সাপ। শনিবার, সল্টলেকে। ছবি: দেবনাথ শাহ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement