কাজিরাঙায় বনমন্ত্রী
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি
কাজিরাঙায় গন্ডার চোরাশিকার রুখতে কঠোর পদক্ষেপ করতে চান কেন্দ্রীয় বন প্রতিমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। আজ তিনি ওই জঙ্গলে ঘুরে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলেন। কাজিরাঙা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অরণ্য-সুরক্ষার খুঁটিনাটি নিয়ে বৈঠকও করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। পাশাপাশি, গুয়াহাটিতে প্রকাশ্য সভায় অসমের বনমন্ত্রী রকিবুল হুসেনকে পাশে বসিয়ে অরণ্য ও বন্যপ্রাণ নিয়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগ শুনলেন। চোরাশিকার রুখতে রাজ্যে সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনাও করেন প্রকাশ।
পরিবেশ মামলা
কলকাতা হাইকোর্ট থেকে গত দু’বছরে বহু মামলা জাতীয় পরিবেশ আদালতে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, সেই সব মামলার কাগজপত্র এখনও পরিবেশ আদালতে পৌঁছয়নি! সেই নথি কোথায় গেল, তা খতিয়ে দেখতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুরকে চিঠি দিয়েছেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। তাঁর বক্তব্য, কলকাতায় জাতীয় পরিবেশ আদালতের পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চ গঠিত হয়েছে। কিন্তু হাইকোর্ট থেকে মামলার কাগজ সেখানে না-পৌঁছনোয় পরিবেশ আদালতের কাজ ঠিকমতো হচ্ছে না। হাইকোর্টে যে নিয়মিত জনস্বার্থ মামলার শুনানি হচ্ছে না, চিঠিতে তা-ও উল্লেখ করেছেন সুভাষবাবু। তাঁর অভিযোগ, ২০১২ সালের ডিসেম্বর থেকে হাইকোর্টে পরিবেশ সংক্রান্ত মামলা ঠিকমতো তালিকাভুক্ত হচ্ছে না। ফলে সেগুলির যথাযথ শুনানিও হচ্ছে না। ওই চিঠিতে তাঁর দায়ের করা ১৩টি মামলা পড়ে থাকার কথাও লিখেছেন সুভাষবাবু।
সর্পদষ্টের মৃত্যু
সর্পদষ্ট হয়ে মৃত্যু হল রবি মার্ডি (৬৫) নামে এক ব্যক্তির। সাগরদিঘির আদিবাসী বেলডাঙার বাসিন্দা রবিবাবু বৃহস্পতিবার রাতে ঘুমোচ্ছিলেন। তখনই তাঁকে সাপে কাটে। সাগরদিঘি গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর।
ঝাড়ফুঁকে সর্পদষ্টের মৃত্যু
ফসলে কীটনাশক দিতে গিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে সর্পদষ্ট হয়েছিলেন গোঘাটের আনুড় গ্রামের বাসিন্দা অসিত পাত্র (৪৭)। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বদলে পরিজনরা তাঁকে নিয়ে গিয়েছিলেন ওঝার কাছে। প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে ঝাড়ফুঁকের পরে শুক্রবার সকালে তাঁকে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হল ঠিকই, কিন্তু বাঁচানো যায়নি। দোষ মেনে নিয়েছেন মৃতের পরিবারের লোকজন। অসিতবাবুর ভাইপো লক্ষ্মীকান্ত পাত্র বলেন, “ওঝার দোষ ছিল না। তিনি প্রথমে হাসপাতালেই যেতে বলেছিলেন।” হাসপাতালের সুপার হাসপাতাল সুপার শান্তনু নন্দী বলেন, “সর্প দংশনের সঙ্গে সঙ্গেই গ্রামবাসীদের হাসপাতালে যাওয়ার জন্য শিবির করে প্রচার সত্ত্বেও এই ঘটনায় আমরা হতাশ।”
জল-যাত্রা। পরিবেশ সচেতনতা, ড্রাগের বিরুদ্ধে প্রচার ও গঙ্গা দূষণ রোধের বার্তা নিয়ে নৌ-বাহিনীর
পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের এনসিসি-র একটি দল আজ, শনিবার নিউ ফরাক্কা থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেবে। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।
পার্পল হেরন। গজলডোবায়।