Artificial Moon

বিদ্যুত্ খরচ কমাতে কৃত্রিম চাঁদ বানাচ্ছে চিন!

আকাশে কৃত্রিম চাঁদ বানিয়ে রাতের অন্ধকারকে আলোকিত করার চেষ্টায় মেতেছে চিন। বিদ্যুতের খরচ কমাতে, এমনকি স্ট্রিট লাইটের ব্যবহার বন্ধ করতেই এমন অভিনব পরিকল্পনা করেছে ড্রাগনের দেশ। চায়না ডেলি-র রিপোর্ট অনুযায়ী,  সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২০ সালের মধ্যেই এই কৃত্রিম চাঁদ তৈরি করে ফেলবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন সে দেশের বিজ্ঞানীরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৮ ২৩:১৬
Share:

অমাবস্যার রাতে চাঁদ দেখেছেন কখনও? বা পূর্ণিমাতে একাধিক চাঁদ? কথাটা শুনে কোনও হেয়ালি মনে হতেই পারে। কিন্তু এ কোনও হেয়ালি নয়, বাস্তবে যে এমনটাই হতে চলেছে চিনে।

Advertisement

আকাশে কৃত্রিম চাঁদ বানিয়ে রাতের অন্ধকারকে আলোকিত করার চেষ্টায় মেতেছে চিন। বিদ্যুতের খরচ কমাতে, এমনকি স্ট্রিট লাইটের ব্যবহার বন্ধ করতেই এমন অভিনব পরিকল্পনা করেছে ড্রাগনের দেশ। চায়না ডেলি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২০ সালের মধ্যেই এই কৃত্রিম চাঁদ তৈরি করে ফেলবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন সে দেশের বিজ্ঞানীরা।

প্রাথমিক ভাবে চিনের চেঙদু শহরে একটি কৃত্রিম চাঁদ লাগানো হবে। যদি সেই প্রকল্প সফল হয়, তা হলে ২০২২-এর মধ্যে আকাশে আরও তিনটি চাঁদ ‘ঝোলাবে’ চিন। এমনটাই জানিয়েছেন, চেঙদু অ্যারোস্পেস সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি মাইক্রোইলেকট্রনিক্স সিস্টেম রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর চেয়ারপার্সন উ চুনফেঙ। তাঁরাই এই প্রকল্পের কাজটি করছেন বলে জানিয়েছেন চুনফেঙ।

Advertisement

আরও পড়ুন: চাঁদ থেকে ছিটকে আসা কণা নিলামে বিকোল সাড়ে ৪ কোটি টাকায়!

তাঁর কথায়,‘‘আসল চাঁদের আলোতেই আলোকিত হবে এই কৃত্রিম চাঁদ। কিন্তু চাঁদের থেকেও আট গুণ বেশি হবে এই কৃত্রিম চাঁদের আলো। এই কৃত্রিম চাঁদ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা আজ নয়, শুরু হয়েছিল দু’বছর আগেই। আর এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে হাজির এই প্রকল্পের কাজ। ’’

কিন্তু এ হেন চিন্তাভাবনা কার মস্তিষ্কপ্রসূত?

চুনফেঙ বলেন, ‘‘ একজন ফরাসি আর্টিস্টের পরিকল্পনা থেকেই আমাদের মাথায় এই কৃত্রিম চাঁদের চিন্তাভাবনা আসে। প্যারিসের রাস্তায় কী সুন্দর ভাবে আয়না দিয়ে একটি ঝুলন্ত নেকলেস তৈরি করে সূর্যের আলোকে কাজে লাগানোর কথা ভেবেছিলেন তিনি!’’

আরও পড়ুন: মহাকর্ষীয় তরঙ্গ আবিষ্কারে কী ভূমিকা ছিল ভারতীয়দের

চায়না ডেলি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, এক্কেবারে আয়নার মতোই কাজ করবে এই কৃত্রিম চাঁদ। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ৫০০ কিলোমিটার উঁচুতে থাকবে এই চাঁদ। এতে সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়ে যে আলোর সৃষ্টি হবে সেটাই আলোকিত করবে চিনের শহর-মফস্‌সলকে।”

তবে এই কৃত্রিম চাঁদের আলো কি পশুপাখিদের কোনও ক্ষতি করবে? বা জ্যোতির্বিজ্ঞানের পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত কোনও অসুবিধার সৃষ্টি করবে?

চুনফেঙের কথায়, ‘‘মানুষের হাতে তৈরি চাঁদ। সেই আলোর প্রাবল্য ওঠানামার বিষয়টাও মানুষেরই হাতে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement