Object in Solar System

বাইরে থেকে সৌরজগতে ঢুকে পড়েছে রহস্যময় বস্তু, ছুটে যাচ্ছে সূর্যের দিকে! কী হতে পারে?

হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ক্যামেরায় গত ১ জুলাই ধরা পড়ে সৌরজগতে বহিরাগত বস্তুর উপস্থিতি। বর্তমানে এর গতি সেকেন্ডে ৬০ কিলোমিটার।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৫ ১৮:২৯
Share:

বাইরে থেকে সৌরজগতে ঢুকে পড়েছে ধূমকেতুর মতো বস্তু। —ফাইল চিত্র।

সৌরজগতের বাইরে থেকে রহস্যময় একটি বস্তু সৌরজগতে ঢুকে পড়েছে। তা ছুটে যাচ্ছে সূর্যের দিকে। এমন ঘটনা যথেষ্ট বিরল। এই নিয়ে মোট তৃতীয় বার ঘটল। অর্থাৎ, বাইরে থেকে এই নিয়ে তৃতীয় বার কোনও বস্তু সৌরজগতের ভিতরে ঢুকে পড়ল। তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে চর্চা শুরু হয়েছে। নিবিড় ভাবে এই বস্তুটির গতিবিধির দিকে তাঁরা নজর রেখেছেন।

Advertisement

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বহিরাগত বস্তুটি ধূমকেতুর মতো দেখতে। তাকে থ্রিআই/অ্যাটলাস বা সি/২০২৫ এন১ নামে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এটি সেকেন্ডে ৬০ কিলোমিটার গতিতে সূর্যের দিকে ছুটে যাচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, বাইরের কোনও নক্ষত্র থেকে এই বস্তুর উৎপত্তি। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নের অধীন মাইনর প্ল্যানেট সেন্টার (এমপিসি) ২ জুলাই এই বহিরাগত বস্তুটিকে ‘ইন্টারস্টেলার’ তকমা দিয়েছে। নক্ষত্র থেকে উৎপন্ন কোনও মহাজাগতিক বস্তুকে ‘ইন্টারস্টেলার’ বলা হয়। বস্তুটির গতিপথ বিশ্লেষণ করে এবং পর্যবেক্ষণের প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া গিয়েছে। সূর্যের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির দ্বারা এই বস্তু চালিত হচ্ছে না। এটি কেবল সৌরজগতের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার অ্যাটলাস সমীক্ষার ক্যামেরায় গত ১ জুলাই এই বহিরাগত বস্তুর উপস্থিতি ধরা পড়ে। ‘ইন্টারস্টেলার’ তাদেরই বলা হয়, যেগুলি সৌরজগতের অঙ্গ নয়। কোনও না কোনও সময়ে যেগুলি সৌরজগত ছেড়ে বেরিয়ে যাবে।

Advertisement

এর আগে সৌরজগতে এমন দু’টি মাত্র বস্তুর খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। ২০১৭ সালের সেই বস্তুর নাম ওইমুয়ামুয়া এবং ২০১৯ সালের বহিরাগত বস্তুর নাম দেওয়া হয়েছিল কমেট টুআই/বরিসভ। বিজ্ঞানীদের ধারণা, নতুন বহিরাগত বস্তুটি আদতে একটি ধূমকেতুই। তবে তার অধিকাংশ বরফে তৈরি। প্রাথমিক অনুমান বলছে, এই বস্তুর ব্যাস ১০ থেকে ২০ কিলোমিটারের মধ্যে। এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত বৃহত্তম ‘ইন্টারস্টেলার’ বস্তু এই থ্রিআই/অ্যাটলাস। এর আগের দু’টি বস্তু আকারে এর চেয়ে অনেক ছোট ছিল।

ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির কর্তা রিচার্ড মোইস্‌ল জানিয়েছেন, চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে এটি সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। সেই সময়ে তার সঙ্গে সূর্যের দূরত্ব হবে পৃথিবী-সূর্যের দূরত্বের দ্বিগুণ। মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথের মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে যাবে। ২০২৬ সালের এপ্রিলের মধ্যে এই বহিরাগত বস্তুটির গতি পৌঁছোবে সেকেন্ডে ৯০ কিলোমিটারে। আপাতত এর মাধ্যমে পৃথিবীর কোনও ক্ষতির আশঙ্কা করছেন না বিজ্ঞানীরা। শক্তিশালী টেলিস্কোপ দিয়ে আগামী বছর পর্যন্ত এই বস্তুটিকে দেখা যাবে। তার পর ক্রমশ তা ফিকে হয়ে আসবে। একসময়ে দূরত্বের কারণে আর তা পৃথিবীর ক্যামেরায় ধরা পড়বে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement