জেমস ডি ওয়াটসন। — ফাইল চিত্র।
প্রয়াত আমেরিকার জীববিদ জেমস ডি ওয়াটসন। ডিএনএ-র গঠনের অন্যতম আবিষ্কর্তা তিনি। তাঁর সেই আবিষ্কারের ফলেই জিনবিদ্যার নতুন দিগন্ত খুলে গিয়েছে। জীবৎকালে বিতর্কেও জড়িয়েছেন বেশ কয়েক বার। নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, লং আইল্যান্ডে একটি হসপিসে মৃত্যু হয়েছে নোবেলজয়ীর। বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর।
ডিএনএ-র গঠন যে প্যাঁচালো, ১৯৫৩ সালে তা আবিষ্কার করেন জেমস। ব্রিটেনের পদার্থবিদ ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে সেই গবেষণা করেছিলেন তিনি। ১৯৬২ সালে চিকিৎসাবিদ্যায় নোবেল পান তাঁরা। জেমস এবং ফ্রান্সিসের আবিষ্কার জিনবিদ্যা, জৈব-প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণার নতুন দিক তুলে ধরেছিল।
নিজের অভিজ্ঞতার কথা লিখে ১৯৬৮ সালে একটি বই প্রকাশ করেন জেমস। নাম ‘দ্য ডাবল হেলিক্স’। সেখানে বিজ্ঞানীদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা, প্রতিযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরেন। তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। জেমসের দিকে আঙুল তুলেছিলেন তাঁর সহযোগী ফ্রান্সিসই। বিজ্ঞানী রোসালিন্ড ফ্রাঙ্কলিনকে নিজেদের গবেষণাপত্রে জেমস এবং ফ্রান্সিস কৃতিত্ব দেননি বলেও অভিযোগ উঠেছিল। সেই নিয়েও তৈরি হয়েছিল বিতর্ক।
১৯২৮ সালের ৬ এপ্রিল শিকাগোতে জন্ম জেমসের। ১৯ বছর বয়সে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশ করেন। ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ে জেনেটিকসে গবেষণা করে পিএইচডি পান। ১৯৫১ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাভেনডিশ গবেষণাগারে যোগ দেন জেমস। সেখানেই সাক্ষাৎ হয় ফ্রান্সিসের সঙ্গে। দু’জনে মিলে শুরু করেন ডিএনএ-র গঠন নিয়ে গবেষণা। ডিএনএ-র গঠন আবিষ্কারের পরে ১৯৫৬ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন জেমস। আণবিক জীববিদ্যায় আমেরিকাকে উল্লেখযোগ্য স্থানে নিয়ে গিয়েছেন তিনিই।
২০০৭ সালে একটি সাক্ষাৎকারে জেমস বলেছিলেন, আফ্রিকার মানুষজনের বুদ্ধিমত্তা তাঁদের থেকে অনেক কম। সেই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তার জেরে কোল্ড স্প্রিং হার্বর গবেষণাগার থেকে অবসর নিতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।