এ বার মুম্বইও পাড়ি দিচ্ছে চাঁদে। নেপথ্যে রয়েছেন সে রাজ্যেরই তিন যুবক— সৌমিল বৈদ্য, ঐশ্বর্য মুঙ্গালে ও অনিকেত কামাথ। দলের নেতৃত্বে রয়েছেন সৌমিল।
টিম ইন্ডাস আয়োজিত ল্যাব-২ মুন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন সৌমিলরা। সেখানে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিযোগীরা এসেছিলেন তাঁদের প্রোজেক্ট নিয়ে। সেই প্রতিযোগিতায় জিতে চাঁদে তাঁদের প্রোজেক্ট পাঠানোর সুযোগ পাকা করে নেন।
টিম ইন্ডাস, ভারতের প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি একটি লুনার মিশন। সেই মিশনেরই এ বার অংশীদার হলেন মুম্বইয়ের এই তিন যুবক।
সৌমিল পুণেতে একটি সংস্থায় কাজ করেন। তিনি জানান, তাঁদের এই প্রোজেক্টের মূল লক্ষ্য হল ভবিষ্যতে যে সব মানুষ চাঁদে বাস করবেন, তাঁদের রেডিয়েশনের হাত থেকে বাঁচানো। তাঁদের প্রোজেক্টের নাম ইয়ারস। অর্থাত্ ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক অ্যাক্টিভ রেডিয়েশন শিল্ড।
সৌমিল জানান, তাঁদের কাছে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এই প্রোজেক্ট পাঠানোর জন্য স্পনশরশিপ জোগাড় করা। প্রায় ৪ কোটি টাকা খরচ এই প্রোজেক্ট পাঠাতে।
আরও পড়ুন
টিম ইন্ডাস-এর মূল উদ্যোক্তা দিল্লির এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার রাহুল নারায়ণ। এখনও পর্যন্ত চাঁদে তিনটে দেশ স্পেশক্র্যাফ্ট পাঠানোতে সফল হয়েছে। ভারতই বা পিছিয়ে থাকবে কেন। এই ভাবনা থেকেই নিজের উদ্যোগে তৈরি করেন টিম ইন্ডাস।
‘টিম ইন্ডাস’ একটা প্রাথমিক রূপরেখা নিজেদের ওয়েবসাইটে দিয়েছে। পিএসএলভি’তে চড়ে মহাকাশে পৌঁছে চন্দ্রযান ছুটে চলবে চাঁদের দিকে। চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে তার গতি ধীরে ধীরে কমবে। সন্তর্পণে চাঁদের মাটি ছোঁবে তার চারটি পা। স্বয়ংক্রিয় অবতরণ কর্মসূচিটি (প্রোগ্রাম) আগাগোড়া কম্পিউটার মারফত যানের মগজে আগাম ঠেসে দেবেন বিজ্ঞানীরা।
সবচেয়ে যে বিষয়টি উল্লেখযোগ্য তা হল, টিম ইন্ডাস এই মিশনে অরবিটার, ল্যান্ডার এবং রোভার এই তিনটেকেই এক সঙ্গে পাঠাবে। যা এর আগে কোনও দেশ পারেনি। এমনকী আমেরিকাও না।