Mars

একসময়ে প্রাণের উপযুক্ত পরিবেশ ছিল মঙ্গলে, দাবি গবেষণায়

নাসার মঙ্গলযান, যা সেই গ্রহে এই শুকনো হ্রদগুলি পরীক্ষার জন্যই গিয়েছে, সেটি একে একে ভূমির উপাদানগত তথ্য পাঠাচ্ছে পৃথিবীতে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২০ ১৮:৫৫
Share:

নাসার মঙ্গলযান, যা সেই গ্রহে এই শুকনো হ্রদগুলি পরীক্ষার জন্যই গিয়েছে, সেটি একে একে ভূমির উপাদানগত তথ্য পাঠাচ্ছে পৃথিবীতে।

নাসার গবেষণায় মঙ্গলগ্রহ নিয়ে উঠে এল চমকপ্রদ তথ্য। নাসার মঙ্গলযান ‘কিউরিওসিটি’-র পাঠান তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, মঙ্গলে যে বিশাল শুকনো হ্রদ রয়েছে, সেগুলিতে প্রায় ৪০০ কোটি বছর আগে ভয়ানক বন্যা হয়েছিল। মঙ্গলে এক সময় প্রাণের উপযুক্ত পরিবেশ ছিল।

Advertisement

নাসার মঙ্গলযান, যা সেই গ্রহে এই শুকনো হ্রদগুলি পরীক্ষার জন্যই গিয়েছে, সেটি একে একে ভূমির উপাদানগত তথ্য পাঠাচ্ছে পৃথিবীতে। সেই পলির তথ্য বিচার করেই এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা। নভেম্বর ২০১১ সাল থেকে এই যানটি রয়েছে মঙ্গলে। তখন থেকেই গ্রহের আদিম জলভাগের পলি পরীক্ষা করে তথ্য পাঠাচ্ছে এটি।

তথ্যের ভিত্তিতে মনে করা হচ্ছে, এই ভয়ানক বন্যার জল শুকিয়ে গিয়েছিল গ্রহাণুর ধাক্কায়, মঙ্গলে তীব্র উত্তাপ তৈরি হওয়ার ফলে। সেই ধাক্কাতেই বরফ গলে তৈরি হয়েছিল বন্যা। আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক আলবার্টো জি জানিয়েছেন, ‘‘প্রথমবারের জন্য আমরা মঙ্গলের ‘মেগা ফ্লাড’ বা বিশাল আকারের বন্যার তথ্য হাতে পাচ্ছি। বিজ্ঞানীদের হাতে এসে পৌঁছেছে কিউরওসিটি যানের করা পলি পরীক্ষার তথ্যও। তার ভিত্তিতেই বিজ্ঞানীরা বলেছেন, প্রায় ৪০০ কোটি বছর আগে মঙ্গল থেকে জলের অস্তিত্ব মুছে গিয়েছিল।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: পাঁচতারা হোটেলের লোকদেখানো খাবার, বাঁকুড়ায় অমিতকে কড়া মমতা-কটাক্ষ

স্রোতের মতো পলির যে স্তর দেখা গিয়েছে মঙ্গলে তা বন্যারই চিহ্ন বয়ে নিয়ে চলেছে। লাল গ্রহের শুকিয়ে যাওয়া হ্রদের যে চেহারা দেখা গিয়েছে পৃথিবীতেও বরফ গলে জল প্রবাহিত হওয়ার এমন রূপ তৈরি হয়েছিল প্রায় দুশো কোটি বছর আগে।

আরও পড়ুন: ৭০ শতাংশ কার্যকরী অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা, দাবি

গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ভয়ানক বন্যা তৈরি হওয়ার কারণ বরফ গলে যাওয়া। হয়ত কোনও গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ হওয়ার ফলে মঙ্গলের ভূমিতে থাকা বরফ গলে গিয়েছিল, সেই কারণেই বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন