কিছু দিন আগেই দীপাবলি গিয়েছে। বাড়ি-ঘর নিশ্চয়ই আলো এবং প্রদীপ মোমবাতি দিয়ে সাজিয়েছিলেন। ভাবুন তো সামনের দীপাবলিতে যদি আপনার টবের ফুলগাছে বৈদ্যুতিন গোলাপ ফোটে। তা হলে কেমন হবে? ভাবছেন এ আবার নতুন কী, আজকাল টবে রাখা গাছের মতো দেখতে কত এলইডি আলো পাওয়া যায়, তেমন কোন আলো লাগালেই হবে। না আমি সে আলোর কথা বলছি না। আচ্ছা আসল গাছে যদি ফোটে বৈদ্যুতিন ফুল। না ফুলটাও কিন্তু এক্কেবারে আসল। তা’হলে কী হবে? ভাবছেন ঠাট্টা করছি। না একদম নয়।
এ’বার থেকে আসল গাছেও ফুটবে বৈদ্যুতিন গোলাপ। সুইডেনের একদল গবেষক এমনই চাঞ্চল্যকর কাণ্ডটি ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন।
কী ভাবে সম্ভব হল এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা?
সুইডেনের লিনকোপিং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক গোলাপ গাছটির সংবহনতন্ত্রের মধ্যে বৈদ্যুতিন তার ঢোকান। এই সংবনতন্ত্রের মাধ্যমেই মাটি থেকে জল এবং প্রয়োজনীয় খাদ্য গাছের প্রতিটি অংশে পৌঁছয়। সে’খানেই বৈদ্যুতিন তার, ডিজিটাল লজিক এবং ডিসপ্লে এলিমেন্ট বসানো হয়। গবেষক দলের প্রধান ম্যাগনাস বেরগ্রেন জানিয়েছেন, গাছেদের গঠনতন্ত্র যথেষ্ট জটিল। হরমোন এবং ‘আয়োনিক সিগন্যাল’-এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাজ করে গাছেরা।
এই সেই বৈদ্যুতিন গোলাপ।
কিন্তু এখানে সমস্যা একটাই যে যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ এবং জটিল পুরো প্রক্রিয়াটি। তাই গোলাপ গাছের অভ্যন্তরীণ রাসায়নিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে বৈদ্যুতিন সিগন্যাল ব্যবস্থা যোগ করলে গাছটির মধ্যে কী ভাবে ‘সেন্সর’ এবং ‘গ্রোথ রেগুলেটর’ কাজ করে তা জানা যাবে। এগুলি ছাড়াও কোন কোন যৌগ কী পরিমাণে গাছের মধ্যে জমা হয় এবং তা কী ভাবে গাছের বিকাশে সহায়ক হয় তাও জানা যাবে বলে আশা সুইডিশ গবেষকদের। গবেষণাপত্রটি সাইন্স অ্যাডভান্সডের জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।