আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের ভিতরে শুভাংশুরা। ছবি: এক্স।
২৮ ঘণ্টার দীর্ঘ সফরের পর শুভাংশু শুক্ল-সহ চার নভশ্চরকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছোল ড্রাগন মহাকাশযান। ভারতীয় সময় অনুযায়ী বুধবার বেলা ১২টা ১ মিনিট নাগাদ আমেরিকার ফ্লরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ফ্যালকন ৯ রকেটে চেপে মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন শুভাংশুরা। তার পর কেটে গিয়েছে ২৮ ঘণ্টা। দীর্ঘ সফর শেষে শেষমেশ বিকেল ৪টে নাগাদ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) পৌঁছোলেন শুভাংশুরা।
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই শুভাংশুদের যান ‘ড্রাগন’-কে আইএসএস-এর সঙ্গে ‘ডকিং’ করানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল। দুপুর ৩টে থেকে আইএসএস থেকে স্পেসএক্সের ওই মহাকাশযান স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল বলে জানিয়েছিল মহাকাশ স্টেশন। গোটা সফরে ড্রাগনে কোনও গোলমাল দেখা দেয়নি। থ্রাস্টারও ঠিকঠাক কাজ করেছে। নাসার নির্ধারিত সময়মতো বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ (ভারতীয় সময় অনুযায়ী) আইএসএসের হারমনি পোর্টে ড্রাগনের ডকিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। সংযোগটি দু’টি পর্যায়ে ঘটে। প্রথমে চৌম্বকীয় ‘সফ্ট ক্যাপচার’ এবং দ্বিতীয় ধাপে যান্ত্রিক ‘হার্ড ক্যাপচার’-এর মাধ্যমে ডকিংয়ের জটিল প্রক্রিয়া শেষ হয়। শুভাংশুর হাত ধরে মহাকাশ স্টেশনে প্রথম পা পড়ে ভারতের। ইতিহাসে প্রথম বার!
ড্রাগনের পাইলট ছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু। মহাকাশযানটি চালিয়েছেন তিনিই। সঙ্গে ছিলেন নাসার প্রাক্তন নভশ্চর তথা অ্যাক্সিয়ম স্পেসের মানব মহাকাশযানের ডিরেক্টর পেগি হুইটসন। পুরো সময় ধরে ‘ডকিং’-এর প্রক্রিয়ার দিকে নজর রেখেছিলেন তাঁরা। সেই মুহূর্তের সরাসরি সম্প্রচারও করেছে অ্যাক্সিয়ম স্পেস। পৃথিবী থেকেই গোটা প্রক্রিয়াটি দেখা গিয়েছে।
শুভাংশুদের অভিযানের নাম ‘অ্যাক্সিয়ম-৪’। এই অভিযানের নেতৃত্বে রয়েছেন হুইটসন। এ ছাড়াও রয়েছেন পোল্যান্ডের স্লায়োস উজ়নানস্কি-উইসনিউস্কি এবং হাঙ্গেরির টিবর কাপু। ১৪ দিনের এই অভিযানের গোটা সময়টা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনেই থাকবেন চার নভশ্চর। সেখানে অন্তত ৬০টি পরীক্ষানিরীক্ষা চালাবেন তাঁরা।