মৃত্যুর গন্ধ মানুষের জন্য বয়ে আনে বিপদের সংকেত। মৃত জীবের থেকে যে গন্ধ আসে তা অনান্য প্রাণীর মত মানুষকেও বলে দেয়, পারিপার্শ্বিকে বিপদ লুকিয়ে আছে। এই পরিস্থিতে হয় পালাও, অথবা যুদ্ধ করো।
কেন্ট স্কুল অফ সাইকোলজির অধ্যাপক ড: আরনড উইসম্যান জানিয়েছেন মৃতের শরীরে পচনশীল কোষ থেকে পিউটরেসেনিক নামের রাসয়ানিক বেরোয়। যার গন্ধ মস্তিষ্কে ‘ফাইট অর ফ্লাইট’ বোধের জন্ম দেয়।
চারটি পৃথক পরীক্ষায় সচেতন ও অসচেতন ভাবে বেশ কয়েকজনকে পিউটরেসেনিকের সামনে নিয়ে আসা হয়েছিল।
অসচেতন ক্ষেত্রে দেখা গেছে এই রাসায়নিক এমন এক সিগন্যাল হিসেবে কাজ করছে যা শরীরের ‘থ্রেট ম্যানেজমেন্ট’ প্রতিক্রিয়াকে সচল করে দেয়।
গবেষকরা দেখেছেন বহুক্ষণ ধরে পিউটরেসেনিকের সামনে থাকলে হয় পালাবার ইচ্ছা হয়, আর পালাবার উপায় না থাকলে, আগ্রাসী মনোভাবের জন্ম দেয় যা পরিস্থিতির সঙ্গে লড়ে নেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
এর আগে ঘামের গন্ধের রাসায়নিক সংকেত হিসেবে কাজ করার কথা জানা গেলেও, নির্দিষ্ট কোনও রাসয়ানিকের গন্ধ যে মানুষের ক্ষেত্রেও বিপদ সংকেত হিসাবে কাজ করে এই প্রথম তা বোঝা গেল। এই গন্ধে ব্যবহারেরও তাত্ক্ষণিক পরিবর্তন হয়।