Life style news

মোবাইল সম্বন্ধে চালু কিছু ভুল ধারণা

দৈনন্দিন জীবনে অপরিহার্য হয়ে উঠছে এই গ্যাজেট। কিন্তু স্মার্টফোনের সম্বন্ধে অনেক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে আমাদের। নিজের স্মার্টফোনকে ভালভাবে চিনে নিন। ভুল ধারণাগুলো দূরে সরিয়ে রাখুন

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৮ ১৬:১১
Share:
০১ ০৭

যত দিন যাচ্ছে প্রতি মুহূর্তের সঙ্গী হয়ে উঠছে স্মার্টফোন। দৈনন্দিন জীবনে অপরিহার্য হয়ে উঠছে এই গ্যাজেট। কিন্তু স্মার্টফোনের সম্বন্ধে অনেক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে আমাদের। নিজের স্মার্টফোনকে ভালভাবে চিনে নিন। ভুল ধারণাগুলো দূরে সরিয়ে রাখুন 

০২ ০৭

নেটওয়ার্ক সিগন্যাল: মোবাইলে নেটওয়ার্ক সিগন্যাল কেমন? জানতে প্রথমেই মোবাইল স্ক্রিনের দিকে তাকান তো। চট করে দেখে নেন কতগুলো নেটওয়ার্ক বার দেখা যাচ্ছে স্ক্রিনে। কিন্তু জানেন কি মোবাইল সিগন্যাল স্ট্রেনথ্ জানার এটা সঠিক পন্থা নয়। স্ক্রিনে ভেসে ওঠা নেটওয়ার্ক বার সংখ্যার সঙ্গে মোবাইল সিগন্যাল স্ট্রেনথ-এর কোনও সম্পর্ক নেই। অর্থাৎ বার বেশি হলে সিগন্যাল ভাল এমনটা কিন্তু নয়। নেটওয়ার্ক বার বোঝায় মোবাইলের কতটা নিকটে সিগন্যাল টাওয়ার রয়েছে। এ বার আপনার হ্যান্ডসেটের উপরে নির্ভর করছে, কতটা শক্তিশালী সিগন্যাল সেটি ধরতে পারবে।

Advertisement
০৩ ০৭

ওভারনাইট চার্জিং: সারা রাত চার্জ দিলে নাকি ফোনের ব্যাটারি খারাপ হয়ে যায়। এই ধারণা আমাদের বেশির ভাগেরই রয়েছে। কিন্তু জানলে অবাক হবেন, আপনার স্মার্টফোন কিন্তু অনেক বেশি স্মার্ট। স্মার্টফোনকে এমন ভাবে তৈরি করা হয় যাতে ১০০% হয়ে গেলেই অটোমেটিক চার্জ বন্ধ হয়ে যায়। তাই প্রযুক্তিগত সমস্যা না থাকলে ওভারনাইট চার্জে কোনও ক্ষতি হওয়ার কথা নয়।

০৪ ০৭

চার্জার: এখন যেহেতু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যে কোনও মোবাইল চার্জার দিয়ে স্মার্টফোনে চার্জ দেওয়া হয়, তাই অনেকেই মনে করেন, এতে কোনও ক্ষতি নেই। কিন্তু বারবার ভিন্ন চার্জার ব্যবহার করলে মোবাইল ব্যাটারির মারাত্মক ক্ষতি হয়।

০৫ ০৭

এইচডি ডিসপ্লে: কোয়াড এইচডি ডিসপ্লে আর ফুল এইচডি ডিসপ্লে— এই দুইয়ের মধ্যে অনেকেই মনে করেন যে কোয়াড এইচডি ডিসপ্লে বেশি ভাল। ৫.৫ ইঞ্চি স্ক্রিনের মোবাইলে কোয়াড এইচডি ডিসপ্লে-র পিক্সেল ডেনসিটি ৫৩৮ পিপিআই (পিক্সেল পার ইঞ্চি) এবং ফুল এইচডি ডিসপ্লে-র ৪৪০ পিপিআই। কিন্তু বিজ্ঞান বলে, ৩২৬ পিপিআই-য়ের বেশি পিক্সেল ডেনসিটির তফাত মানুষের চোখে ধরাই পড়ে না।

০৬ ০৭

ভাইরাস: অ্যাপল আর ভাইরাস— অসম্ভব! কি ঠিক এটাই ভাবেন তো? আপনার মতো আরও অনেকেরই একই ধারণা। একটু পরিষ্কার করা যাক, বিশ্বে ১০০ শতাংশ ভাইরাস-প্রুফ কোনও কম্পিউটার সিস্টেম নেই। ফলে অ্যাপল হোক বা অ্যানড্রয়েড— যে কোনও মোবাইলেই ভাইরাস আসতে পারে।

০৭ ০৭

কার্যক্ষমতা: মোবাইলের কার্যক্ষমতা বোঝার জন্য আমরা নির্ভর করি ‘কোর’এর উপর। চলতি ধারণা, যত বেশি কোর, তত বেশি ক্ষমতা। যেমন ডুয়াল কোরের চেয়ে কোয়াড কোর এবং তার চেয়ে অক্টাকোর বেশি ক্ষমতাশালী বলে মনে করা হয়। প্রযুক্তির দিক থেকে ধরলে এটা ঠিকই। প্রসেসরে যত বেশি কোর, তত বেশি মাল্টি টাস্কিংয়ের সুবিধা। ফলে যে কোনও অ্যাপ্লিকেশন ভাল চলার কথা। কিন্তু বাস্তব হল, বেশির ভাগ অ্যাপ্লিকেশন তৈরি হয় সিঙ্গল কোর বা ডুয়াল কোর প্রসেসরের কথা মাথায় রেখে। ফলে দুইয়ের বেশি কোর থাকলেও অ্যাপগুলি তা ব্যবহার করতে পারে না। আর তাই বেশি কোরের প্রসেসরযুক্ত অ্যানড্রয়েড ফোনের চেয়ে সিঙ্গল কোর অ্যাপলের স্পিড বেশি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement