ছুটছে ‘টেসলা’ গাড়ি, মহাকাশে। ছবি- এলন মাস্কের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে।
সাঁই সাঁই করে মহাকাশে ছুটছে ‘টেসলা’ গাড়ি!
লক্ষ্য ছিল তার ‘লাল গ্রহ’ মঙ্গলের কোনও একটি কক্ষপথ। কিন্তু সেই গাড়ি পথ হারিয়ে ফেলেছে মহাকাশে। গাড়িটার কোনও ‘দোষ-ত্রুটি’ ছিল না। পৃথিবীর মাটি থেকে উৎক্ষেপণের সময় যার মাথায় চেপে মহাকাশে পাড়ি জমিয়েছিল সেই ‘টেসলা’ গাড়ি, এলন মাস্কের কোম্পানি ‘স্পেস-এক্স’-এর বানানো সেই ‘ফ্যালকন’ রকেটের একটি ইঞ্জিনেই ঘটেছিল সামান্য গোলমাল।
‘স্পেস-এক্স’-এর কর্ণধার এলন মাস্কই টুইট করে জানিয়েছেন এই খবর।
ঢিল ছুড়ে বহু দূরে পাঠাতে গেলে যেমন হাতের জোরের দরকার হয় ঠিক তেমনই মহাকাশে পৃথিবীর দূরদূরান্তের বা এই সৌরমণ্ডলের অন্য কোনও গ্রহের কোনও না কোনও কক্ষপথে কোনও মহাকাশযানকে ছুড়ে দেওয়ার জন্য সব রকেটেই থাকে ‘বুস্টার’। তাতে থাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জ্বালানি। সেই জ্বালানিই ঠেলেঠুলে বিভিন্ন কক্ষপথে পাঠিয়ে দেয় মহাকাশযানকে।
ঢিল ছুড়ে বহু দূরে পাঠাতে গেলে যেমন হাতের জোরের দরকার হয় ঠিক তেমনই মহাকাশে পৃথিবীর দূরদূরান্তের বা এই সৌরমণ্ডলের অন্য কোনও গ্রহের কোনও না কোনও কক্ষপথে কোনও মহাকাশযানকে ছুড়ে দেওয়ার জন্য সব রকেটেই থাকে ‘বুস্টার’। তাতে থাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জ্বালানি। সেই জ্বালানিই ঠেলেঠুলে বিভিন্ন কক্ষপথে পাঠিয়ে দেয় মহাকাশযানকে।
আরও পড়ুন- বৃহস্পতির চাঁদে প্রাণ আছে? বাঙালির চোখে খুঁজে দেখবে নাসা
কিন্তু সেই ‘জোর’টা এ বার অনেকটাই বেশি হয়ে গিয়েছে! এত বেশি যে, ‘ফ্যালকন’ রকেটের মাথায় চাপানো সেই ‘টেসলা’ গাড়ি রকেটের ‘মায়া-মোহ’ ছিঁড়ে তার লক্ষ্য ভুলে সাঁই সাঁই করে ছুটে চলেছে মঙ্গল আর বৃহস্পতির মধ্যে থাকা গ্রহাণুপুঞ্জ বা অ্যাস্টারয়েড বেল্টের দিকে।
কাকে গিয়ে সেই গাড়ি ধাক্কা মারবে, তা কেউই জানেন না! তবে যে দিকে যে গতিবেগে মহাকাশে ছুটে চসেছে সেই গাড়ি, তাতে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ধারণা, সেই ‘টেসলা’ গাড়ি প্রথমে পৌঁছবে গ্রহাণুপুঞ্জের অন্যতম সদস্য গ্রহাণু ‘সেরেস’-এ।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্রহাণুপুঞ্জে পৌঁছনোর আগে ধেয়ে আসা অন্য কোনও মহাজাগতিক বস্তুর ধাক্কায় তার তেমন ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। কারণ, চেহারায় সে খুবই ছোট্টখাট্টো।
তবে তাঁদের আশঙ্কা, গ্রহাণুপুঞ্জে পৌঁছলে হানাদার গ্রহাণুদের ঝড়-ঝাপ্টায় ‘টেসলা’ গাড়ি ‘প্রাণ’ হারাবে!