গন্ডার সুমারি
বুধবারের নিজস্ব চিত্র।
বুধবার ভোর ছ’টা থেকে ডুয়ার্সের গরুমারা জাতীয় উদ্যান এবং লাগোয়া বনাঞ্চলে শুরু হল গন্ডার সুমারি। জলপাইগুড়ি বন্যপ্রাণী বিভাগের কর্মীরা জানান, দু’দিনের এই সুমারিতে ২৫০ জন বনকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক যোগ নেন। ১৩টি কুনকি হাতিকেও ব্যবহার করা হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার অবধি সুমারি চলবে।
গাছ কাটতে চিঠি
জঙ্গলে গাছ কাটতে চেয়ে গ্রাম সভার অনুমতি চাইল বন দফতর। বুধবার আলিপুরদুয়ারে এক সাংবাদিক বৈঠকে এমন দাবি করেন উত্তরবঙ্গ বনজন শ্রমজীবী মঞ্চের সদস্যরা। মাদারিহাট রেঞ্জের নর্থ খয়েরবাড়ি এলাকায় গত ডিসেম্বর মাস থেকেই বন দফতরের সঙ্গে জঙ্গল কাটা নিয়ে বিরোধ চলছিল গ্রাম সভার সদস্যদের। নর্থ খয়েরবাড়ি গ্রামসভার সম্পাদক প্রদীপ রাভা বলেন, “২০০৬ অরন্যের অধিকার আইনে জঙ্গলে গাছ কাটার আগে বন দফতরকে গ্রাম সভার অনুমতি নিতে হবে। সেই নিয়ে দীর্ঘ দিন আমাদের আন্দোলন চলছিল। গত ডিসেম্বর মাসে আমরা এলাকায় গাছ কাটতে বাধা দিই বন দফতরকে। গত ৬ মার্চ বন দফতরের তরফে জঙ্গলে গাছ কাটতে চেয়ে গ্রামসভার কাছে লিখিত চিঠি পাঠানো হয়েছে।” উত্তরবঙ্গ বনজন শ্রমজীবী মঞ্চের উত্তরবঙ্গের আহ্বায়ক লাল সিংহ ভূজেল জানান, ওই চিঠি দিয়ে বন দফতর বনবস্তিবাসীদের অধিকার স্বীকার করে নিয়েছে। তবে একজন রেঞ্জ অফিসার গ্রাম সভার কাছে লিখিত অনুমতি চাইলেও এ রাজ্যে পঞ্চায়েতি এলাকায় গ্রামসভার কোন ভূমিকা নেই বলে জানান রাজ্য বন উন্নয়ন নিগমের জলপাইগুড়ি শ’ মিল ডিভিশনের ম্যানেজার পিনাকী মিত্র। তাঁর কথায়, “গ্রাম সংসদকে চিঠি দিয়ে জানানো এ রাজ্যে প্রথা। সেই জায়গায় ভুল করে গ্রামসভাকে চিঠি লিখেছেন কেউ। এর বাইরে আমি কিছু বলব না।”
গাছ কাটার নালিশ
ইলামবাজারের দ্বারন্দায় বেআইনি ভাবে গাছ কাটার অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার স্থানীয় আদিবাসীরা বিক্ষোভ সভা করেন। তবে কোথাও কোনও অভিযোগ হয়নি। পুলিশ জানায়, অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।