ঘুমপাড়িয়ে ধরা হল বাঁদর
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া
ক’দিন ধরেই এপাড়া-ওপাড়ায় ঝামেলা পাকানোর নালিশ শোনা যাচ্ছিল তার নামে। এই কোনও পথচারীর গায়ে নোখের আঁচড় কেটেছে তো খানিক পরেই অন্য পাড়ায় একটি ঘরের ভিতরে ঢুকে খাবার আত্মসাৎ করে এসেছে সে। শেষে একটি ঘরে ঢুকে পড়ে আটকে পড়ায় সেই দুষ্টু বাঁদরকে বাগে পেয়ে ধরে নিয়ে গেলেন বনকর্মীরা। রবিবার বাঁকুড়া শহরের পাটপুরের ঘটনা। তবে সেই বাঁদরকে ধরতেও কম নাকানিচোবানি খেতে হয়নি তাঁদের। ঘুমপাড়ানি গুলিতে অজ্ঞান করে তবেই তাকে নিজেদের হেফাজতে পান তাঁরা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত তিনদিন ধরে বাঁদরটির বাঁদরামিতে এলাকার বাসিন্দারা তিতিবিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন। বাঁদরটির কামড়ে ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়েছেন জনা আটেক। কখনও এর তার বাড়িতে ঢুকে পড়ে জিনিসপত্র লন্ডভন্ড, খাবার খেয়ে পালাচ্ছিল। এলাকার যুবক রুদ্র রায়, দীপক প্রামানিক, মনি যাদবের মতো বহু বাসিন্দা বাঁদরের হামলায় আহত হয়েছেন। বাসিন্দাদের কথায়, “ঘর থেকে বের হওয়া দায় হয়ে পড়েছিল। আতঙ্ক ছড়িয়ে ছিল এলাকায়। শেষে রবিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দা প্রশান্ত গরাইয়ের বাড়িতে ঢুকে পড়ে বাঁদরটি। যেই না ঢোকা, অমনি বাড়ির দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়ে সোজা বন দফতরে ফোন করেন গৃহকর্তা। বন দফতরের লোকজন এসে ঘুমপাড়ানি গুলি করে বাঁদরটিকে। তারপর তাঁরা বাঁদরটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন এলাকার লোকজন। বাঁকুড়ার রেঞ্জ আধিকারিক দেবরাজ শূর বলেন, “বাঁদরটিকে চিকিৎসা করে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। জখম ব্যক্তিদেরও নিয়মমাফিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।”
হাতির হানায় মৃত্যু
হাতির পায়ে পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম বঙ্কিম পাল (৪০)। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে মেদিনীপুর সদর ব্লকের অন্তর্গত ভাদুলিয়ার জঙ্গলে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই দিন জঙ্গলে মহুল কুড়োতে গিয়েছিলেন বঙ্কিমবাবু। তখনই একটি রেসিডেন্সিয়াল হাতি তাঁর সামনে এসে পড়ে। মুহুর্তে ওই বৃদ্ধকে পায়ে পিষে মারে হাতিটি। খবর পেয়ে জঙ্গলে যান বন দফতরের কর্মীরা। বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার করা হয়।
গরমের দুপুরে ক্লান্তির ঘুম। খয়েরবাড়ি পুর্বাসন কেন্দ্রে রাজকুমার মোদকের তোলা ছবি।
মধুর খোঁজে: জার্মানির এরফুর্টে রবিবার। ছবি: এপি।