—নিজস্ব চিত্র।
মালবাজার পুর এলাকা থেকে মাত্র ২কিলোমিটার দূরে সপ্তমীর সকালে হাজির এক দল হাতি। ডুয়ার্সের মালবাজার শহরের কাছেই নিউগ্লাংকো চা বাগানে মঙ্গলবার দিনের আলো ফুটতেই এক দল হাতিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর বেলা যত গড়িয়েছে ততই ভিড় বেড়েছে। পর্যটক থেকে পুজো দেখতে আসা দর্শনার্থী হাতিদর্শনে বাদ যাননি কেউই। মাঝেমাঝেই হাতির দল তেড়ে গিয়েছে অত্যুত্সাহীদের দিকে , হাতির তাড়া খেয়ে দৌড়ে পালাতে গিয়ে পড়ে গিয়ে জখমও হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
সোমবার গভীর রাতে ভুট্টাবাড়ির জঙ্গল থেকে প্রায় ২৫টি হাতির একটি দল মালবাজারের রাঙামাটি চা বাগানের দিকে চলে আসে। দলে একাধিক শাবক থাকায় হাতির চলার গতি শ্লথ হয়ে পড়ে। প্রায় ১০কিমি দূরে চেল নদী পেরিয়ে কাঠামবাড়ি জঙ্গলে পৌঁছনের আগেই ভোর হয়ে যায়। রাঙামাটি চা বাগান থেকে বেরিয়ে ৩১নম্বর জাতীয় সড়ক টপকে হাতির দলটি নিউ গ্লাংকো চা বাগানে ঢুকে পড়ে। দিনের আলো ফুটে যাওয়ায় আর এগোতে পারেনি দলটি। হাতি দাঁড়িয়ে রয়েছে খবর শুনেই উত্সাহীরা ভিড় জমান। শিলিগুড়ি-মালবাজার ৩১নম্বর জাতীয় সড়কেও গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। হাতির ছবি তোলার পাশাপাশি শুরু হয় নিজস্বী তোলার ভিড়ও। ভিড় সামলাতে বনকর্মী এবং মালবাজার থানার পুলিশ অসহায় হয়ে পড়েন। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে এসএসবি জওয়ানদের নামানো হলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। ডুয়ার্সের পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য সুজিত দাসের কথায়, “আমরা নিজেদের উত্সাহের ঝোঁকে হাতিদের কাছে চলে গেলেও এতে যেমন আমাদের বিপদ বাড়ে তেমনি হাতিদেরও চরম অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়।” তবে সন্ধ্যা না নামা পর্যন্ত অবশ্য চা বাগান থেকে হাতির দলকে সরানো যাবে না বলেই মনে করছেন বনকর্মীরা। সন্ধ্যার পর নিউ গ্লাংকো চা বাগানের থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্ব দিকে কাঠামবাড়ির জঙ্গলে হাতির দলকে ফেরানোর চেষ্টা করা হবে বলে জানান তাঁরা।