গত দুই সপ্তাহ ধরে বাঘমুণ্ডি ও ঝালদা ১ ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় হাতির দল উপদ্রব চালাচ্ছে। দু’সপ্তাহে ওই দুই ব্লকে যথাক্রমে ১২ হেক্টর ও ১৫ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে হাতির দলের হানায়। এলাকার চাষিরা জানাচ্ছেন, হাতিরা হয় খেয়ে সাবাড় করে দিচ্ছে, নয়তো স্রেফ তছনছ করে দিচ্ছে খেতজমি। রাতের অন্ধকারে দলে দলে হাতি ঢুকছে। গ্রামবাসীদের কিছুই করার থাকছে না। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঘমুণ্ডির কালিমাটি বীট এলাকার পিররগড়িয়া জঙ্গলে ১৪টি হাতি ঘাঁটি গেড়ে আছে। দলটিতে দু’টি শাবক রয়েছে। বনকর্মী ও এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, শাবক থাকায় হাতির দলটি আপাতত এখানেই থাকবে। আর এতেই প্রমাদ গুণছেন চাষিরা। কারণ, দলটি এই জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়ে বসলে মাঠের সব্জির বারোটা বাজিয়ে দেবে। তার উপরে পুরুলিয়া জেলার তিনটি রেসিডেন্ট হাতির মধ্যে দু’টিই রয়েছে এই এলাকার পেড়েতোড়াং ও বাঁধডির জঙ্গলে। বাঘমুণ্ডির বিট অফিসার মনোজকুমার মল্ল বলেন, ‘‘তিনটি রেসিডেন্ট হাতির মধ্যে একটি খোঁজ নেই। কিন্তু দু’টি আলাদা আলাদা ভাবে এই এলাকাতেই অবস্থান করেছে।’’ বন দফতর সূত্রের খবর, বাঘমুণ্ডি ও ঝালদা ১ ব্লকের সীমানায় হেঁসলা পাহাড়ে ঘাঁটি গেড়েছে তিনটি হাতি। সব মিলিয়ে এতগুলি হাতি একটি এলাকাতেই জুটে যাওয়ায় পিররগড়িয়া, রাঙামাটি, মুকরু, কালিমাটি-সহ আশপাশের গ্রামগুলিতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।