বামনগ্রহ সেরেস-এর আরও কাছে চলল ডন

‘আরও কাছাকাছি। আরও কাছে এস।’ হয়তো এ ভাবেই ডন-কে ডাকছে সেরেস। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সেরেস-এর আরও কাছে যাওয়ার জন্য তার আয়ন ইঞ্জিন চালু করল ডন। এমনই জানাচ্ছে নাসা। সন্দেহ বামনগ্রহ সেরেস-এর আছে জল। আর জল মানেই তো...

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৫ ২০:৫৮
Share:

সেরেস-এর উজ্জ্বল অংশ ডন-এর চোখে।

‘আরও কাছাকাছি। আরও কাছে এস।’ হয়তো এ ভাবেই ডন-কে ডাকছে সেরেস। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সেরেস-এর আরও কাছে যাওয়ার জন্য তার আয়ন ইঞ্জিন চালু করল ডন। এমনই জানাচ্ছে নাসা। সন্দেহ বামনগ্রহ সেরেস-এর আছে জল। আর জল মানেই তো...

Advertisement

এই সৌরজগতের সবচেয়ে বড় বামনগ্রহ সেরেস। নেপচুনের চারপাশে ঘুরে চলা সেরেস সবার আগে মানুষের নজরে পড়ে, সেই ১৮০১-এ। প্রথমে গ্রহ, পরে ধূমকেতু হয়ে শেষমেশ বামনগ্রহের মর্যাদা পেয়েছে সেরেস। গোলাকার এই বামনগ্রহটির পরিধি ৯০৯ কিলোমিটার। অনেকটাই পৃথিবীর মতো গড়ন। ভিতরে ভারী আর উপরে হাল্কা পদার্থ নিয়ে তৈরি। এই বামনগ্রহের খাদের ভিতরে জল লুকিয়ে আছে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের। এমনকী, এই বামনগ্রহের মেরুতে বরফ জমে থাকতে পারেও বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। তাই সেরেস-কে আরও ভাল ভাবে জানতে ‘ডন’ যানটিকে পাঠিয়েছে নাসা।

চলতি বছরের মার্চেই সেরেস-এর কক্ষপথে পৌঁছে যায় ডন। এর পরে শুরু হয় ছবি তোলা। বিজ্ঞানীদের বিশেষ ভাবে আকর্ষণ করে সেরেস-এর কেন্দ্রে ওকাটর খাদের উজ্জ্বল অংশ। এখন সেরেস-কে প্রায় ১৪৭০ কিলোমিটার দূর থেকে পাক খেয়ে চলেছে ডন। এ বার আরও কাছে যাবে সে। নাসার লক্ষ্য, সেরেস থেকে ডনের দূরত্ব কমিয়ে ৩৮০ কিলোমিটারে নিয়ে আসা। তার পরে সেরেস-এর অসংখ্য ছবি নেবে ডন। বিজ্ঞানীদের ধারণা, চলতি বছরের মাঝ-ডিসেম্বর নাগাদ সেই সব ছবি তাঁদের হাতে আসবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement