ছবি: নাসার সৌজন্যে।
এ যেন ‘স্টার ওয়ার্স’ ছবির দৃশ্য। ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে একটি গ্রহ। মনে হচ্ছে ঠিক যেন বাষ্পীভূত হয়ে যাচ্ছে। গ্রহের টুকরো টুকরো অংশ ছুটে যাচ্ছে একটি শ্বেতবামন নক্ষত্রের দিকে। নাসার মহাকাশ-দূরবীক্ষণযন্ত্র কেপলারের এই দৃশ্য দেখেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
প্রাণীর মতোই নক্ষত্রের জীবনও অনন্ত নয়। জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে ধীরে ধীরে নিভে আসে নক্ষত্র। তার পরে কী হয়? পদার্থবিজ্ঞানী সুব্রহ্মণ্যম চন্দ্রশেখর এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। যদি সেই নক্ষত্রের ভর আমাদের সূর্যের থেকে ১.৪৪ গুণের বেশি হয় তবে তা শ্বেতবামনে পরিণত হবে। এই অবস্থায় নক্ষত্রের আকার ছোট হয়ে আসে। সেই ছোট জায়গার মধ্যে বিপুল ভরের কারণে শ্বেতবামনের মাধ্যাকর্ষণ প্রবল হয়ে ওঠে। তার প্রভাবে নক্ষত্রের চার পাশে পরিবর্তন শুরু হয়। এমনই সে টান যে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে গ্রহ, গ্রহাণু, ধূমকেতুও।
কেপলারের চোখে পড়ছে এমনই দৃশ্য। গত বছরের মে থেকে অগস্টের মধ্যে কেপলার চোখ রেখেছিল কন্যারাশিতে বেশ কয়েকটি শ্বেতবামনের দিকে। সেখানেই একটি শ্বেতবামনের থেকে আসা আলোয় বেশ কিছু পরিবর্তন চোখে পড়ে। সাড়ে চার ঘণ্টা বাদে বাদে প্রায় ৪০ শতাংশ আলো কমে যেত। যা বিশ্লেষণ করে স্মিথসোনিয়ান সেন্টারের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারলেন শ্বেতবামনটির চারপাশে কোন গ্রহ বা গ্রহাণু ঘুরছে। সঙ্গে ঘুরছে তার টুকরো টুকরো অংশ। যা সেই গ্রহ বা গ্রহাণু থেকেই তৈরি। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানান, শ্বেতবামনের টানে গ্রহাণুটি যেন বাষ্পীভূত হয়ে যাচ্ছে।