হাতি তাড়াতে অবরোধ

এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শতাধিক হাতি। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসল। বার বার বন দফতরের কাছে জানিয়েও কোনও সুরাহা না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত অবরোধে নামতে বাধ্য হলেন সোনামুখীর রপট, হামিরহাটি, যশড়া, পলসড়া ইত্যাদি গ্রামের বাসিন্দারা। রবিবার সকালে বাঁকুড়া-বর্ধমান রাস্তায় সোনামুখীর রপট গ্রামের কাছে এই অবরোধের ফলে প্রায় চার ঘণ্টা বন্ধ থাকে যান চলাচল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সোনামুখী শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:৪১
Share:

পথে নেমেছেন সোনামুখীর কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা।—নিজস্ব চিত্র।

এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শতাধিক হাতি। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসল। বার বার বন দফতরের কাছে জানিয়েও কোনও সুরাহা না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত অবরোধে নামতে বাধ্য হলেন সোনামুখীর রপট, হামিরহাটি, যশড়া, পলসড়া ইত্যাদি গ্রামের বাসিন্দারা। রবিবার সকালে বাঁকুড়া-বর্ধমান রাস্তায় সোনামুখীর রপট গ্রামের কাছে এই অবরোধের ফলে প্রায় চার ঘণ্টা বন্ধ থাকে যান চলাচল। পুলিশ ও স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের অনুরোধে সকাল ১০টার পর অবরোধ ওঠে। বিক্ষোভকারীরা জানান, এ বার ভাল বৃষ্টি না হওয়ায় ধান চাষ শুরু করতে দিরি হয়েছে। ভাল ভাবে ধান হওয়ার আগেই চারা নষ্ট করে দিচ্ছে হাতির দল।

Advertisement

সোনামুখীতে মারা গেল হস্তিশাবক।

দ্রুত হাতির দলকে এলাকা ছাড়া না করা গেলে তাঁদের না খেয়ে মরতে হবে। বন দফতরকে বলে কাজ না হওয়ায় অবরোধে নামতে বাধ্য হয়েছেন। বিডিও (সোনামুখী) বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, “ব্লক প্রশাসনের এক প্রতিনিধিকে পাঠিয়ে আলোচনার মাধ্যমে অবরোধ তোলা সম্ভব হয়েছে। হাতি তাড়ানো নিয়ে বন দফতরের সঙ্গে কথা বলব বলে গ্রামবাসীদের জানানো হয়েছে।” এ দিকে বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে রপট গ্রামের কাছে একটি চার মাসের শিশু হাতির মৃত্যু হয়েছে। ময়না তদন্তের পর দেহটিকে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। সোনামুখী রেঞ্জের আধিকারিক নবীন লোহার বলেন, “দীর্ঘ রোগভোগের কারণে ওই শিশু হাতির মৃত্যু হয়েছে। ফসল ক্ষতি এড়াতে হাতির এই দলটিকে খেদানোর কাজ শুরু হবে।”

Advertisement

প্লাস্টিক ব্যবহার রুখতে উদ্যোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল

চলছে সাফাই। —নিজস্ব চিত্র।

শহর জুড়ে পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করে দূষণমুক্ত পরিবেশ ও ‘সবুজ’ ঘাটাল তৈরিতে উদ্যোগী হলেন ঘাটালের মহকুমাশাসক রাজনবীর সিংহ কাপুর। রবিবার ঘাটাল মহকুমাশাসকের সভাকক্ষে মহকুমার পাঁচটি পুরসভার চেয়ারম্যান-সহ অনান্য কাউন্সিলর, স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের নিয়ে শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। শিবির শেষে মহকুমাশাসক নিজে ঝাঁটা নিয়ে অফিসের একাধিক জায়গা পরিষ্কার করে এই প্রকল্পের সূচনা করেন। রবিবার চটের ব্যাগও বিলি করেন মহকুমাশাসক। তাঁর কথায়, “আপাতত পাঁচটি পুরশহরকে দূষণমুক্ত করা হবে। পরে ধাপে ধাপে পঞ্চায়েতেও এই কাজ চলবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন