২০ বছরের মেগান ওয়ার্ড। বহুদিন ধরেই অদ্ভুত এক সমস্যায় ভুগছিলেন। কিন্তু সামাজিক কিছু ট্যাবুর জেরে মুখ ফুটে কাউকে বলতেও পারছিলেন না তাঁর সমস্যার কথা। ভুগছিলেন মানসিক অবসাদে। ২০১৩ সালে একটি ওয়েবসাইটে প্রথম নিজের কথা প্রকাশ্যে আনেন মেগান। জানান, চুড়ান্ত যৌন উত্তেজনার সময় তাঁর অর্গাজম হয় না।
বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্রী শুরুটা করার পর দেখা যায়, আস্তে আস্তে অনেকেই সরাসরি এই সমস্যার কথা বলতে শুরু করেন। ডাক্তাররা জানাচ্ছেন এই সমস্যাটা আসলে বিরল নয়। প্রতি ১০০ জনে ১৫জন মহিলা এই সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যার নাম অ্যানঅর্গাজমিয়া।
গবেষণা জানাচ্ছে শুধু মহিলারা নন, একই সমস্যা দেখা যায় পুরুষদের মধ্যে। তবে, মেয়েদের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা অনেক বেশি।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, সেক্সুয়াল স্টিমুলেশন সত্ত্বেও অর্গাজম না হওয়ার পিছনে বেশ কিছু কারণ আছে। একটি বড় কারণ, এখনও বহু মহিলারাই যৌনমিলনকে একটা নিয়ম বা দায়িত্ব হিসাবে দেখেন। তাঁরা ভুলে যান যৌনমিলন তাঁদেরকেও মানসিক ও শারীরিক আনন্দ দিতে পারে। নিজেদের ভাল লাগা বা খারাপ লাগা গুলো নিয়ে তাঁরা সহজে মুখ খোলেন না। ফলে মিলনটা তাদের কাছে বহু ক্ষেত্রেই যান্ত্রিক হয়ে ওঠে। বিশেষজ্ঞরা, এ ক্ষেত্রে চলতি সমাজ ব্যবস্থাকেই দায়ী করছেন। যেখানে এখনও প্রকাশ্যে যৌনতা সংক্রান্ত আলোচনা সমস্যা বলেই ধরা হয়।
আরও পড়ুন-প্রেগন্যান্সি নিয়ে প্রচলিত ৭ মিথ
নিজের অভিজ্ঞতা থেকে মেগান বলছেন ‘‘সঙ্গীর ভূমিকা এ ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ। যৌনমিলনের সময় পার্টনারের ভাল লাগা, খারাপ লাগার কথা খেয়াল রাখা জরুরি, প্রয়োজনে তার সঙ্গে কথা বলে জড়তা কাটাতে এগিয়ে আসতে হবে তাদেরকেও।’’
অ্যানঅর্গাসমিয়ার পিছনে এ ছাড়াও কিছু হরমোনাল বা অনান্য শারীরিক সমস্যাও থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে সংকোচ কাটিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।