কোন পোশাকে সবচেয়ে বেশি মানায় আপনাকে? কোন পোশাকে আপনিই সবচেয়ে আত্মবিশ্বাসী? এর কিন্তু অনেকটাই নির্ভর করে আপনার শরীরের গঠনের ওপর। ঠিক তেমনই কোন পোশাক কেমন ফিট করবে তা কিন্তু নির্ভর করে অন্তর্বাসের ওপর। সঠিক অন্তর্বাস পোশাকের সৌন্দর্য যেমন বাড়িয়ে দিতে পারে, তেমনই ভুল অন্তর্বাস সুন্দর পোশাক মাটি করে দিত পারে। জেনে নিন কোন পোশাকের সঙ্গে কেমন অন্তর্বাস পরবেন।
টি-শার্ট: নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে টি-শার্ট পরলে এই ধরনের ব্রা বেছে নিন। এই ধরনের ব্রা-তে কোনও ফ্রিল থাকে না। ফলে টি-শার্টের নীচে দেখা যায় না।
পুশ-আপ: যদি লো-কাট টপ বা গাউন পরতে চান আর যদি ক্লিভেজ লাইন দেখাতে চান তাহলে এই ব্রা পরতে পারেন। এই ধরনের ব্রা-এর প্যাডিং আর কাট এমনই হয় যে পোশাকের নীচ থেকে দেখা যায় না। কিন্তু আপনাকে পুশ-আপ লুক দেবে। যদি স্তন খুব ভারী হয় বা আপনি মোটা হন তাহলে এই ব্রা এড়িয়ে চলুন। অন্য দিকে স্তন ছোট হলে পুশ-আপ ব্রা আপনাকে সুন্দর লুক দেবে।
স্পোর্টস: এই ধরনের ব্র সব থেকে আরামদায়ক। একস্ট্রা সাপোর্টের জন্য এই ব্রা পরে দৌড়ঝাঁপ করা খুবই সুবিধাজনক। জিম করার সময় বা দৌড়ঝাঁপের দিন স্পোর্টস ব্রা পরুন।
ব্যালকোনেট: এই ব্রা পুশ-আপ ধরনের কিন্তু অতটাও নয়। লো-কাট টপের সঙ্গে হালকা ব্রেস্ট লাইনের আভাস ধরে রাখতে চাইলে ব্যালকোনেট পরতে পারেন। এই ব্রা দেখতে খুব ফ্যাশনেবল।
ব্যানডিউ: হল্টার নেক বা বড় করে হাতের টপ পরলে এই ব্রা পরুন। পোশাকের মধ্যে দিয়ে ডিজাইনার ব্যানডিউ দেখা যাওয়াটাও কিন্তু ফ্যাশন। তবে এই ব্রা খুব বেশি সাপোর্ট দেয় না।
ব্রালেট: যদি খুব বেশি সাপোর্ট না চান, আরামদায়ক ব্রা পরতে চান তাহলে ব্রালেট পরতে পারেন। এই ব্রা লুজ টপের ভিতর পরাই ভাল।
প্লাঞ্জ: এই ধরনের ব্রা-তে দুটো কাপের মাঝখানের অংশে কিছু থাকে না। তবে সাপোর্ট ভাল। যদি ডিপ নেক টপের সঙ্গে ব্রেস্টের ইনার লাইন দেখাতে চান তবে প্লাঞ্জ পরতে পারেন।
কনটোয়র: ফিটেড টপের জন্য এই ধরনের ব্রা সব থেকে ভাল। এতে শেপ সুন্দর দেখায়। সাপোর্ট ভাল তবে পুশ-আপ নয়।