নাইট পার্টি। ড্রেস, জুতো, অ্যাক্সেসরিজ সব রেডি। ঠিক মেকআপ করার আগের মুহূর্তে দেখছেন আইশ্যাডো ভেঙে দিয়েছে? শেষ হয়ে গিয়েছে কনসিলার? কুছ পরোয়া নেহি। বিভিন্ন রঙের লিপস্টিক স্টকে রয়েছে নিশ্চয়ই? ব্যস! তা হলেই চলবে। জেনে নিন লিপস্টিকের নানা রকম ব্যবহারে কী ভাবে সেরে ফেলতে পারবেন মেকআপ।
কনসিলার: মেকআপ শুরু করার আগে মুখে দাগ, ছোপ ঢেকে ফেলতে কনসিরার খুবই জরুরি। অনেকেই বুঝতে পারেন না ঠিক কোন শেডের কনলিসার কিনবেন। ন্যুড লিপস্টিক বা গ্লস সকলের কাছেই থাকে। এই লিপস্টিক বা গ্লস অনায়াসে কনসিলার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। কনসিলার লাগিয়ে প্রেসড পাউজার ব্লেন্ড করে নিন।
ব্লাশ: হালকা রঙের লিপস্টিক অনায়াসে ব্যবহার করতে পারেন ব্লাশ হিসেবে। গ্লসি পিঙ্ক বা ম্যাট কোরাল ব্লাশ যে কোনও পার্টির জন্য আদর্শ।
আইশ্যাডো: প্যালেটে অনেক রং থাকলেও অনেক সময় পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে ঠিক মনের মতো আইশ্যাডো পাওয়া যায় না। লিপস্টিক ব্লেন্ড করেও পেয়ে যেতে পারেন কাঙ্ক্ষিত আইশ্যাডো লুক। লাল, বেগুনি, প্লাম লিপস্টিক এর জন্য আদর্শ।
চিক গ্লো: সন্ধের অনুষ্ঠানে গ্লস বা গ্লিটার লিপস্টিক নিশ্চয়ই ব্যবহার করেন? সেই গ্লস বা গ্লিটার লিপস্টিক দিয়ে অনায়াসে হাইলাইট করে নিতে পারেন চিক বোন। ন্যুড গ্লস দিয়ে হাইলাইট করলে অসাধারণ ফিনিশ আসবে মেকআপে।
কনট্যুরিং: ব্রাউন লিপস্টিক কনট্যুরিং করার জন্য অনায়াসে ব্যবহার করতে পারেন। গালের হাড়, ভ্রু-র হাড়, চোয়াল, নাকের চারপাশে লাগিয়ে ব্রাশ দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।
আইলাইনার: রোজ রোজ কালো আইলাইনার লাগাতে একঘেয়ে লাগে? পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে যে কোনও উজ্জ্বল রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন আইলাইনার হিসেবে। সরু ব্রাশে লিপস্টিক লাগিয়ে চোখের উপরের পাতায় লাগিয়ে নিন। দেখতেও সুন্দর লাগবে, ঘেঁটে যাওয়ার সমস্যাও নেই।