ঋতুস্রাবের সময় পরিষ্কার-পরিছন্ন থাকাটা যে জরুরি তা তো অনেকেই জানেন। তবে তা নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা আছে কি? এই সময় ঠিক ক’বার স্যানিটারি ন্যাপকিন বদলানো উচিত তা জানেন? মেন্সট্রুয়েশনের সময় কোন কোন দিকে খেয়াল রাখাটা জরুরি তা-ও জেনে নিন।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, মেন্সট্রুয়েশনের সময় চার ঘণ্টা অন্তর স্যানিটারি ন্যাপকিন বদলানো উচিত। ট্যাম্পন ব্যবহার করলে তা দু’ঘণ্টা অন্তর তা চেঞ্জ করতে পারেন। তবে স্যানিটারি ন্যাপকিন, ট্যাম্পনের কোয়ালিটি বা প্রত্যেকের প্রয়োজন উপরেও নির্ভর করছে সেগুলি কত বার পাল্টাবেন। হেভি ফ্লো-র সময় তা দুই বা চার ঘণ্টার কম সময়ে পাল্টে ফেলুন।
অনেক ক্ষণ ধরে একটি স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করবেন না। মেন্সট্রুয়াল ব্লাড অনেক ক্ষণ স্যানিটারি ন্যাপকিনে থাকলে তা দূষিত হতে শুরু করে। এই সমস্যা এড়াতে কয়েক ঘণ্টা অন্তর স্যানিটারি ন্যাপকিন পাল্টানোর অভ্যাস করুন।
হেভি ফ্লো না হলেও স্যানিটারি ন্যাপকিন পাল্টান। কারণ, বেশ কয়েক ঘণ্টা অন্তর তা না পাল্টালে ভিজে ন্যাপকিনের জেরে মূত্রনালীর সংক্রমণের মতো সমস্যাও হতে পারে।
স্যানিটারি ন্যাপকিন না ট্যাম্পন— কী ব্যবহার করবেন তা আগে থেকেই ঠিক করে ফেলুন। হেভি ফ্লো-র সময়ে অনেকে ট্যাম্পনের পাশাপাশি স্যানিটারি ন্যাপকিনও ব্যবহার করেন। এটি খুব একটা স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। এতে রক্ত শোষণ বেশি হয়। ফলে স্যানিটারি ন্যাপকিন কয়েক ঘণ্টা পরে পাল্টান না অনেকেই। ফলে ইনফেকশন হতে পারে।
মেন্সট্রুয়েশনের সময় হাইজিনের দিকে খেয়াল রাখুন। স্যানিটারি ন্যাপকিন পাল্টানোর পর ভাল করে লিক্যুইড সোপ দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। ব্যবহৃত ন্যাপকিনে তাড়াতাড়ি ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। ফলে ব্যবহারের পর তা যথাযথ ভাবে মুড়ে ডাস্টবিনে ফেলুন। এ ছাড়া, মেন্সট্রুয়েশনের সময় কোনও ইনফেকশন হলে তা অবহেলা করবেন না। শীঘ্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।