ডাল ভাঙ্গি

বাঙালির সংসারে খুব বেশি ডালের রকমফের নেই। মধ্যযুগের ‘মুগ সূপে ইক্ষুরস’, ‘মসুরি মিশ্রিত মাস’ বা ‘ভ্রষ্ট মাস মদগ সুপে’র উল্লেখটুকুই রয়ে গিয়েছে প্রাচীন সাহিত্যে। আমাদের দৌড় তিতো-ডাল, সব্জি-ডাল আর আম-ডালে শেষ। অন্য ধরনের কিছু ডাল রান্নার রেসিপি লিখলেন ইরাবতী বসু। আজ রইল ডাল ভাঙ্গি। বাঙালির সংসারে খুব বেশি ডালের রকমফের নেই। মধ্যযুগের ‘মুগ সূপে ইক্ষুরস’, ‘মসুরি মিশ্রিত মাস’ বা ‘ভ্রষ্ট মাস মদগ সুপে’র উল্লেখটুকুই রয়ে গিয়েছে প্রাচীন সাহিত্যে। আমাদের দৌড় তিতো-ডাল, সব্জি-ডাল আর আম-ডালে শেষ। অন্য ধরনের কিছু ডাল রান্নার রেসিপি লিখলেন ইরাবতী বসু। আজ রইল ডাল ভাঙ্গি।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৬ ১৪:৪০
Share:

উপকরণ

Advertisement

অড়হর ডাল: এক কাপ

বেগুন: ছোট আকারের চারটে

Advertisement

কাঁচা লঙ্কা: দু’টো

রসুন কোয়া: তিনটে

গোটা জিরে: অাধ চা চামচ

নারকেল কোরা: দু’টেবিল চামচ

গুড়: এক চা চামচ

হিং: এক চিমটে

কারি পাতা: তিন-চারটে

সর্ষে: আধ চা চামচ

হলুদ গুঁড়ো: আধ চা চামচ

নুন: স্বাদ মতো

ধনে পাতা: এক মুঠো

পদ্ধতি

প্রেশার কুকারে নুন-হলুদ আর আড়াই কাপ জল দিয়ে এক কাপ ডাল সিদ্ধ করে নিন। ঠান্ডা হলে একটু ঘেঁটে নিতে হবে। মিক্সিতে জিরে, রসুন, কাঁচা লঙ্কা আর নারকেল কোরা ঘুরিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। বেগুনগুলোকে চৌকো আকারে কেটে নুন-জলে ডুবিয়ে রাখুন (কালো হবে না তাহলে)। কড়ায় তেল গরম করে সর্ষে ফোড়ন দিন। ফাটতে শুরু করলে কারি পাতা দিন। এবার পেস্টটা দিয়ে খানিকক্ষণ নেড়ে নিন। সুগন্ধ বার হলে বেগুনগুলো দিন কড়ায়। নেড়ে ভাল করে মশলা মাখিয়ে বেগুন ঢাকা দিন। অল্প অঁাচে বেগুন ভাজা হোক। বেগুনটা সিদ্ধ হয়ে গিয়েছে মনে হলে ডাল ঢেলে দেবেন কড়ায়। নুন চেখে নিন। মিষ্টত্বের জন্য গুড় দিন। গুড় না থাকলে এক চামচ চিনি দিলেও চলবে। খানিকক্ষণ ফুটিয়ে নামানোর সময় ধনেপাতা দেবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন